কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক জেনে সতর্ক হন

বাচ্চাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম কতটা উপকারীআপনারা কি কোয়েল পাখিরে ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে আপনাদের কি কি ক্ষতি হচ্ছে সেই নিয়ে চিন্তিত আছেন? তাহলে চিন্তিত না হয়ে আমাদের লিখা কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলটি পড়ুন। আপনাদের চিন্তা দূর করার সমাধান আমরা আমাদের আর্টিকেল কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক এর ভেতর তুলে ধরেছি।
কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক
তাই যদি আপনাদের সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকাঃ কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

বর্তমানে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমের পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিমের ও চাহিদা বেড়েই চলেছে। দামের দিক থেকে অন্যান্য ডিমের চাইতে এই ডিমের দাম কম হওয়ায় প্রতিটি মানুষ এই ডিম কিনে খেয়ে থাকেন। 
অনেকেই কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন আবার অনেকেই কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে না জেনেই প্রতিনিয়ত কোয়েল পাখির ডিম খাচ্ছে। আর সেই কারণেই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। 

আমরা আমাদের আর্টিকেলের দ্বারা আপনাদের সামনে কোয়েল পাখির ডিমের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আজ আমরা একসাথে জানবো কোয়েল পাখির ডিমের সম্পর্কে।

কোয়েল পাখি ডিমের পুষ্টিগুণ

আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদেরকে কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ এর সাথে পরিচিতি করিয়ে দেব। আপনারা যেই কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে থাকেন সেই কোয়েল পাখির ডিমে আসলে কতটুকু পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানতে পারবে। 

আকারে অনেক ছোট হলেও কোয়েল পাখির ডিম রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। দেখতে ছোট কিন্তু পুষ্টিগুণে পুর ভরপুর এই ডিম। জেনে নিন কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণঃ
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন ই
  • ভিটামিন ডি
  • ভিটামিন বি১২
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ফসফরাস
  • কোলেস্ট্রল
  • প্রোটিন
  • ফ্যাট
  • আয়রন
  • কার্বোহাইড্রেট
  • চিনি
  • জিংক
  • ফলেট
একটি কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে উপরে উল্লেখিত সকল পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকে। সেহেতু বলা যেতেই পারে যে কোয়েল পাখির ডিম হচ্ছে পুষ্টিতে ভরপুর।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

যেহেতু কয়েল পাখির ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন সেহেতু বলা যেতেই পারে যে এই ডিমের উপকারিতা ও অনেক। এই ডিম খাওয়ার কারনে যে পুষ্টি আমাদের শরীরে যাই তাতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম ছোট বড় সমস্যা সমাধান হয়। 
আপনাদের যদি কোন কারনে কোয়েল পাখির ডিম পছন্দের ডিমের মধ্যে না পড়ে তাহলে আজকে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা জানার পর কোয়েল পাখির ডিম আপনার পছন্দের ডিমের তালিকায় অবশ্যই থাকবে। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সমূহ আলোচনা করলাম।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনির উপাদান আর সেই সকল খনিজ উপাদান আমাদের শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খান তাহলে শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

হার্টকে ভালো রাখেঃ বিভিন্ন দেশে হার্টের সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর আপনি আপনার হার্টকে ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খান। কোয়েল পাখির ডিমের উপস্থিত রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্যাট। আর এই ফ্যাট আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

হাঁপানি শিথিল করেঃ আপনি যদি হাঁপানির মত সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে নিশ্চিন্তে আপনার সেই হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে নিয়মিতভাবে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে তাতে থাকা উপস্থিত পুষ্টি উপাদান যেকোনো ধরনের হাঁপানিকে শিথিল করে।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত রয়েছে লাইসিন নামক একটি অ্যামিনো এসিড। আর এই অ্যামিনো এসিড আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কারণ এই অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধি করে। কোলাজেন আমাদের ত্বক সুন্দর ও কোমল রাখে।

এলার্জির সমস্যা সমাধান করেঃ কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত রয়েছে এক ধরনের প্রোটিন যেই প্রোটিনের নাম হচ্ছে ওভোমিউকয়েড। আর এই প্রোটিন অ্যান্টি অ্যালার্জি উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই বলা যাই যে কোয়েল পাখির ডিম এলার্জির সমস্যা সমাধান করে।
চোখের সমস্যার সমাধান করেঃ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি ভিটামিন। যা আমাদের চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে থাকে। আর সেই কারণে আমাদের চোখের যে কোন ধরনের সমস্যা দূর হয়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ কোন কোন ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার কারণে অতিষ্ট হয়ে ওঠেনি। আপনার সমস্যা যদি এমনটা হয় তাহলে আপনি এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে। কারণ কোয়েল পাখির ডিম রয়েছে পটাশিয়াম। আর এই পটাশিয়াম আমাদের রক্তনালিকার চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করেঃ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে একজন ব্যক্তি গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যার হাত থেকেও খুব সহজে মুক্তি পাই। নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

যকৃত ভালো রাখেঃ কোয়েল পাখির ডিম আমাদের হার্টের পাশাপাশি যকৃতকেও ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার যকৃতকে ভালো রাখতে চান তাহলে আজ থেকেই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া শুরু করুন।

বার্ধক্য দূর করেঃ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে এমন এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যা আমাদের ত্বকের উপর খুব ভালো প্রভাব ফেলে। আর সেই কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বার্ধক্য অনেকটাই কমে যায়।

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের অনেক পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও এটির কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কারণ কথাই আছে যে কোন জিনিসের যেমন ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমন রয়েছে খারাপ দিক। তাই কোন জিনিসের যে শুধুমাত্র ভালো দিক থাকবে আর খারাপ দিক থাকবে না তা তো হতে পারে না। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতিকর দিক। 

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে হতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা। তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদের সামনে কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি করতে পারেঃ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল। অন্যান্য ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই যদি কোন ব্যক্তির অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে এই ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারকঃ যদি কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকে আর সেই ডাইবেটিস তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত ফ্যাট ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।

হৃদরোগের সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারেঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে তাতে উপস্থিত ফ্যাট আমাদের শরীরের উপকারিতার বদলে অপকারিতা করতে পারে। হৃদরোগের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারেঃ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কোয়েল পাখির ডিম খান তাহলে সেই কারণে শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যাবে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে পারে আর সেই কারণে দেখা দিতে পারে পানি শূন্যতা।

নিম্ন রক্তচাপের ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকারকঃ কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে জীবন যাপন করছে। তারা অবশ্যই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ কোয়েল পাখির ডিম আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই প্রথম থেকে যদি আপনার নিম্নচাপের সমস্যা হয় তাহলে আপনার শরীরে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায়ী অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তারা জানে না যে গর্ভাবস্থায় সেই জিনিস খাওয়া তাদের জন্য উপকারী নাকি অপকারী। 

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন আর আপনার মনে প্রশ্ন জাগে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম আপনার জন্য কতটা উপকারী তাহলে আমরা বলব যে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক। 

কিন্তু গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা রয়েছে বলেই বেশি পরিমাণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যাবেনা। অল্প পরিমানে খেতে হবে। উপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ
  1. গর্ভাবস্থায় নারীদের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় রক্তস্বল্পতা। কোয়েল পাখির ডিম এই রক্তস্বল্পতা দূর করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত আয়রন গর্ভবতী মহিলার শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।
  2. কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। কিন্তু কোয়েল পাখির ডিম গর্ভবতী মহিলার এই ধরনের গর্ভপাতের ঝুঁকি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  3. কোয়েল পাখির ডিম রক্তস্বল্পতা দূর করার সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
  4. কোয়েল পাখির ডিম গর্ভাবস্থায় সময় গর্ভবতী মায়েদের অম্বল ভাব দূর হয়।
  5. কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মহিলার এবং গর্ভে থাকা শিশুর কোষ কে বিভিন্ন রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
  6. কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত রয়েছে কিছু উপাদান সেই সকল উপাদান গর্ভবতী মহিলার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে আর শরীরে যেকোনো ধরনের দূষিত পদার্থ ধ্বংস করে।
  7. কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত রয়েছে অ্যামাইনো এসিড এবং ভিটামিন ও মিনারেল যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক বেশি উপকারী।

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম অন্যান্য ডিমের মতন। এই ডিম অন্যান্য ডিমের মত সেদ্ধ করে অথবা ভেজে এবং রান্না করে খেতে পারবেন। এই ডিম খাওয়ার জন্য অন্য কোন নিয়ম নেই। এই ডিমে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান আপনার শরীরের জন্য উপকারী। 

আপনারা যে নিয়মেই এই ডিম খান না কেন এই ডিম দ্বারা শরীরে ডিমের পুষ্টিগুণ পৌছালেই এর কার্যকারিতা দেখতে পারবেন। অনেকেই রয়েছে এই ডিম সেদ্ধ করে খেতে বেশি পছন্দ করে আবার অনেকেই ভেজে খেতে আবার কেউ রান্না করে খেতে। 

আমরা আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে কোয়েল পাখির ডিম রান্নার রেসিপি আলোচনা করলাম। আপনারা ইচ্ছা করলেই এই পদ্ধতিতে কোয়েল পাখি রান্না করে খেতে পারবেন।

কোয়েল পাখির ডিম রান্নার রেসিপি

প্রথমেই কোয়েল পাখির ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করা হয়ে গেলে কোয়েল পাখির খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে কোয়েল পাখির ডিমে সামান্য পরিমাণ লবণ এবং হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সেই ডিম প্যান থেকে একটি বাটিতে উঠিয়ে নিতে হবে। এবার সেই প্যানে অল্প পরিমাণে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। 

তেল গরম হয়ে গেলে তার ভেতরে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। পেয়াজ কুচি হালকা বাদামি কালার হয়ে আসলে তার ভেতরে আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা, হলুদ, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুড়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এখন মসলা কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে তার ভেতরে কোয়েল পাখির ডিম দিতে হবে। 

কোয়েল পাখির ডিম দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষণ মসলা কষিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তার ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিতে হবে। ডিম নামানোর পূর্বে সামান্য পরিমাণ গরম মসলার গুঁড়ো উপরে ছিটিয়ে দিতে পারেন এতে করে খাবার থেকে একটি সুন্দর সুঘ্রাণ বের হবে এবং সুস্বাদু হবে।

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে

অনেক সময় দেখা যায় যে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরে কারো কারো এলার্জির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর সেই কারণে সেই মনে করে যে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে তার এলার্জি হচ্ছে। আপনার ভাবনা যদি এমনটা হয় তাহলে এটি একেবারেই ভুল ভাবনা। 

কারণ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে কোন রকম এলার্জির মত সমস্যা দেখা দেয় না। বরং কোয়েল পাখির মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে সকল উপাদান আমাদের শরীরের এলার্জির অ্যান্টি ওষধ হিসেবে কাজ করে। তাই বলা যায় যে কোয়েল পাখির ডিম এলার্জি ভালো করে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে এলার্জি হয় না। 

যদি আপনার কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরে এলার্জি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে এটি আপনার শরীরে পূর্ব থেকেই বাসা বেধেছে। শুধুমাত্র কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে এলার্জি হচ্ছে না। কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি রয়েছে কিনা তা জানতে হলে প্রথমে আপনাকে কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে দেখতে হবে।

কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায়

কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ রয়েছে বলেই এক দিনে অনেক বেশি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া কখনো উচিত নয়। প্রতিটি জিনিস খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। যখন আপনারা সেই মাত্রা অনুযায়ী খাবার খাবেন তখন সেই খাবার আপনাদের উপকারিতা হিসাবে কাজে লাগবে মাত্রাতিরিক্ত খাবেন তখন তা হিতে বিপরীত হতে পারে। 

তাই কোয়েল পাখির ডিম কখনোই একদিনে অনেক বেশি খাওয়া উচিত নয়। কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায় এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে আপনারা কোয়েল পাখির ডিম এক দিনে দুই থেকে তিনটা খেতে পারবেন এর থেকে বেশি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেখকের মন্তব্যঃ কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

আশা করছি আপনারা কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক আর্টিকেলটি পড়ে কোয়েল পাখির ডিম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। কোয়েল পাখির ডিম খেলে কোন কোন উপকার হবে এবং এই ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি সেই সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন। 

আমাদের আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। তাই আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে কোয়েল পাখির ডিম সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের তথ্যগুলো যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা আর্টিকেলটি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।

''ধন্যবাদ''

কোয়েল পাখির ডিম সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর


কোয়েল পাখির ডিম হাফ বয়েল খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিম আপনারা বয়েল দিতে পারেন। হাফ বয়েল খেলে কোনরকম সমস্যা হবে না কিন্তু হাফ বয়েল খাবার কারণে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা হতে পারে তাই হাফ বয়েল না খাওয়াই ভালো।

রাতে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

উত্তরঃ রাতে কোয়েল পাখির ডিম খেলে কোনরকম সমস্যা দেখা দেবে না। বরং রাতে কোয়েল পাখির ডিম খেলে মন শান্ত থাকে এবং এটি ঘুমের জন্য অনেক ভালো।

কখন ডিম খেলে বেশি ভালো রাতে নাকি সকালে?

উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিম আপনারা যখনই খান না কেন এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে। ডিম খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। কিন্তু সকালে ডিম খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যাই।

কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি বমি হয়?

উত্তরঃ কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে বমি হচ্ছে। কোন ব্যক্তি যদি দিনে চার থেকে পাঁচটির বেশি কোয়েল পাখির ডিম খাই তাহলে তার ক্ষেত্রে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু একটি দুইটি ছেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি মোটা হয়ে যায়?

উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার সাথে মোটা হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। কোয়েল পাখির ডিমে উপস্থিত রয়েছে কোলেস্ট্রল। কিন্তু ডিম খেলে মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url