প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম(সঠিক নিয়মে)

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে রচনাপ্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল জীবনে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন রকম দরখাস্ত লিখতে হয়। সেইটা হতে পারে এক্সাম হল কিংবা কোন কারনে স্কুল কলেজ ছুটি নেওয়া। কিন্তু অনেকেই সঠিক নিয়মে দরখাস্ত তে গিয়ে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই আমরা আজকে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম দিয়ে আজকে আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আপনারা প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে দরখাস্ত সঠিক নিয়মে কিভাবে লিখবেন তা জানতে পারবেন।
প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তাই যদি সঠিক পদ্ধতিতে দরখাস্ত লিখতে চান তাহলে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকাঃ প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

একটি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে দরখাস্ত লিখাটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লিখতে হয়। তাই প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই কিভাবে সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লিখলে সেটি জানতে হয়। প্রতিটি ক্লাসের এক্সামে অবশ্যই তাদেরকে একটি করে দরখাস্ত লিখতে হয়। 

তাছাড়াও বিভিন্ন কারণে যদি স্কুল কিংবা কলেজ থেকে ছুটি নিতে চাই তাহলে তাদেরকে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত প্রেরণ করতে হয়। স্টুডেন্ট লাইফের সাথে দরখাস্ত লিখাটা যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে। 

তাই প্রতিটি স্টুডেন্টকে সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হয়। তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি হারিয়েছি। যেন তারা একটি আর্টিকেলের মধ্যেই বিভিন্ন রকমের দরখাস্ত লিখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারে।

আবেদনপত্র/দরখাস্ত কাকে বলে

যখন কোন কারনে ছুটি চেয়ে অথবা কোন পদে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র লেখা হয় তখন তাকে আবেদন পত্র অথবা দরখাস্ত বলা হয়ে থাকে। আবেদন পত্র অথবা দরখাস্ত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। 

যেমনঃ চাকরির জন্য আবেদন পত্র, ছুটি চেয়ে আবেদনপত্র, বিভিন্ন সমস্যার কারণে আবেদন পত্র, বিভিন্ন রকম সাহায্য চেয়ে আবেদনপত্র ইত্যাদি। আবেদনপত্রে শুধুমাত্র যেটি প্রকাশ পায় তা হচ্ছে বক্তব্য। আবেদন পত্রে শুধুমাত্র যেটি মূল বক্তব্য সেটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়। 

এছাড়া এর মধ্যে কোনরকম ভাব কিংবা আবেগ প্রকাশ পায় না। আবেদন পত্র লিখার সময় শুদ্ধ ভাষায় এবং বিশেষ কিছু নিয়মে লিখতে হয়। আবেদনপত্র লিখার সময় কোনরকম ভুল হলে সেই আবেদনপত্রকে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় না।

দরখাস্ত/আবেদন পত্র লিখার সাধারণ নিয়ম

দরখাস্ত লিখার সময় অবশ্যই ভাষার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দরখাস্ত লিখার সময় ভাষাগুলো যেন শুদ্ধ হয় এবং বোধগম্য হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। নির্ভুল বানান এবং সঠিক শব্দ ব্যবহারের উপর একজন ব্যক্তির দক্ষতা অনেকটাই নির্ভর করে। দরখাস্ত লিখার সময় কোনরকম কাটাকাটি করা যাবে না। 

দরখাস্তটি দেখতে যত সুন্দর হবে কর্তৃপক্ষের নিকট সেটি তত গ্রহণযোগ্য হবে। দরখাস্ত লিখার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে অবশ্যই সেই সকল নিয়ম মেনে দরখাস্ত গুলো লিখতে হবে। দরখাস্ত অবশ্যই একটি পৃষ্ঠায় লিখে শেষ করতে হবে। 

দরখাস্তের ভেতরে শুধুমাত্র মূল বক্তব্য দিয়ে কর্তৃপক্ষক কথা বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। ভাব আবেগ দ্বারা দরখাস্ত বড় করা যাবে না। বর্তমান সময়ে দরখাস্ত লেখার একটি নিয়ম হচ্ছে সবকিছু বাম পাশের মার্জিন এর সোজাসুজি লিখতে হবে। দরখাস্ততে অবশ্যই প্রাপককে অভিবাদন জানাতে হবে।

প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লিখার অংশ কয়টি

স্কুল কলেজে বিভিন্ন কারণে আমরা প্রধান শিক্ষকের নিকট যেই সকল দরখাস্ত লিখে থাকি সেই সকল দরখাস্তের অংশ হয় সাধারণত পাঁচটি। আমরা এখন সেই পাঁচটি অংশ আপনাদের সামনে আলোচনা করব।
  • প্রথম অংশঃ দরখাস্তর প্রথম অংশ সেটিকে বলা হয় Heading। হেডিং এর মধ্যে উল্লেখ থাকে ঠিকানা এবং তারিখ। কিন্তু কখনো কখনো শুধুমাত্র তারিখ লিখলেই হয়।
  • দ্বিতীয় অংশঃ দরখাস্তের দ্বিতীয় অংশকে বলা হয় Greating/Salutation। দরখাস্তের এই অংশে প্রাপককে অভিবাদন জানানো হয়। যার কাছে দরখাস্ত লিখছেন তার নাম লিখতে হয়। যেমন যদি প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখেন তাহলে লিখতে হবে প্রধান শিক্ষক।
  • তৃতীয় অংশঃ দরখাস্তের তৃতীয় অংশকে বলা হয় Body। দরখাস্তের এই অংশে মূল বক্তব্য সম্পর্কে লেখা হয়ে থাকে।
  • চতুর্থ অংশঃ দরখাস্তের চতুর্থ অংশকে বলা হয় Complimentary Closing। দরখাস্তের এই অংশেই মূল বক্তব্য শেষ করা হয়।
  • পঞ্চম অংশঃ দরখাস্তের পঞ্চম অংশকে বলা হয়ে থাকে Signature অংশ। দরখাস্তের এই অংশে দরখাস্তকারীর স্বাক্ষর উল্লেখ থাকে।

ছুটির আবেদন পত্র লিখার নিয়ম

ছুটির আবেদন পত্র লিখতে অবশ্যই যতটুকু মার্জিত কথা শুধু মাত্র ততটুকুই লিখতে হবে। অতিরিক্ত কোনরকম কথা আবেদন পত্রের ভেতর লেখা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সঠিক কর্তৃপক্ষের নিকটই আবেদন পত্র লিখতে হবে। কোন কারনে ছুটি চাচ্ছেন অবশ্যই সেটি আবেদন পত্রের উল্লেখ করতে হবে। 

এছাড়াও কয়দিনের জন্য ছুটি চাচ্ছেন সেটিও অবশ্যই আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। অবশ্যই যেই দিন ছুটি আবেদন করবেন সেদিনের তারিখ পত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। পত্রের মধ্যে কোনরকম লেখার কাটাকাটি করা যাবে না।

ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন পত্রের নমুনা

১ জানুয়ারি ২০২৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা
বিষয়ঃ ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি চলতি বছর খ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় অত্যন্ত ভালো রেজাল্টের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমি আমার পরবর্তী লেখাপড়া আপনার স্কুলে চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমি আপনার বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে চাচ্ছি।

অতএব, সবিনা নিবেদন এই যে, আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান করতে আপনার মর্জি হোক।

বিনীত নিবেদক,
বিপাশা
খুলনা

অনুপস্থিতির জন্য ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লেখার নমুনা

তারিখঃ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ক স্কুল এন্ড কলেজ, রাজশাহী
বিষয়ঃ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি। এই তিন দিন আমি প্রচন্ড জরে সময় পার করেছি। আমার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে জমা করা হয়েছে।

অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে উক্ত তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করলে আমি কৃতার্থ হব।

বিনীত নিবেদক
আপনারা নিয়মিত ছাত্র
সালমা খাতুন
সপ্তম শ্রেণী
রোল নাম্বারঃ ২৬

বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদনপত্র লিখার নমুনা

তারিখঃ০৩ জানুয়ারি ২০২৪
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
খ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ
বিষয়ঃ ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। আমার বাবা সরকারি চাকরিজীবী। আমার বাবাকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে। আর সেই কারণে আমরা পুরো পরিবার রাজশাহীতে চলে যাব। তাই এই স্কুল থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে আপনার এই বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র প্রদান করে আমাকে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক
সুহানা আক্তার
অষ্টম শ্রেণী, রোলঃ৯

বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ লাভের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন এর নমুনা

১২ মার্চ,২০২৪
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
গ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ
বিষয়ঃ বিনা বেতনে অধ্যায়নের জন্য আবেদন।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের নবম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষায় আমি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি। আমার বাবা একজন সাধারণ কৃষক এবং মা একজন গৃহিণী। আমরা মোট দুই ভাই আর দুই বোন। আমার দুই বড় বোন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করছে। আমার বাবার ইনকাম দ্বারা আমাদের সংসার চলছে। বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থতার কারণে আমার বাবার শরীর ভালো নেই। তাই তার পক্ষে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। আর আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।

অতএব, আমাদের পরিবারের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে আমাকে বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ প্রদানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক,
আশিক হাসান
নবম শ্রেণী, রোলঃ০২

জরিমানা মওকুফের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লেখার নমুনা

১২ মে ২০২২
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা।
বিষয়ঃ জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। আমি নিয়মিত প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে সকল বেতন পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু এই মাসে অফিসের কাজে আমার বাবা ঢাকার বাইরে অবস্থান করাই যথাসময়ে বেতন পরিশোধে আমি ব্যর্থ হই।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমার এই সমস্যা বিবেচনা করে আমাকে চলতি মাসের বেতন জরিমানা ব্যতীত পরিশোধ করার অনুমতি দানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক
আপনার অনুগত ছাত্রী
নিশিতা আক্তার
সপ্তম শ্রেণী, রোলঃ ০৫

ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন পত্র লেখার নমুনা

২৭ জুলাই ২০২৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ম উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ
বিষয়ঃ ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন ছাত্র। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে আমি এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি। অষ্টম শ্রেণীতে আমি প্রথম স্থান অধিকার করেছি। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জন করার ব্যক্তি। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে আর সেই কারণে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি ছাড়া আমার আরো দুই ভাই লেখাপড়া করছি। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা পেলে আমিও আমার পরিবার উপকৃত হতাম।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাকে ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক
শামীম আহমেদ
অষ্টম শ্রেণী, রোলঃ ০১

শেষ কথাঃ প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম এর কিছু নমুনা তুলে ধরেছি। এছাড়াও আপনাদের সামনে দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হবে সেই নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লিখবেন তা বুঝতে পেরেছেন। এই সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url