চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে সঠিক তথ্য জানুন ও সতর্ক হন

হাঁতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানুনআপনারা যারা চিরতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্যই আজকে আমরা আমাদের চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে এই আর্টিকেলের ভেতর আমরা চিরতা সম্পর্কে ছোট বড় সকল রকম তথ্য দিয়েছি। আমরা আর্টিকেলের ভেতর চিরতার জল খাওয়ার নিয়ম ও চিরতার উপকারিতা ও অপকারিতা কি সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি।
চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে
আমরা আমাদের আর্টিকেল চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে এর ভেতর এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং ট্রিক্স রেখেছি যা জানলে আপনারা অবাক হবেন। তাই সেই সকল টিপস সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে।

চিরতা কি?

এটি অনেকের কাছেই অতি পরিচিত একটি নাম হলেও অনেকের কাছেই একটি অপরিচিত শব্দ। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা চিরতা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। আবার এমনও ব্যক্তি রয়েছেন যিনি আমাদের আর্টিকেল দ্বারাই প্রথমবার চিরতার নাম শুনছেন। এমনটা হতেই পারে কারণ এটি একটি এমন উদ্ভিদ যা সকলের জানার কথা নয়। 
চিরতা এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর প্রধান জন্মস্থান বলা যেতে পারে ভারত বর্ষ। কারণ ভারতবর্ষেই এই উদ্ভিদের প্রচুর জন্ম। এছাড়াও ভারতবর্ষের আশেপাশের বিভিন্ন দেশেও এ উদ্ভিদ দেখা যায়। Swertia Chirayita এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম। 

চিরতা গাছের উচ্চতা দেড় মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। চিরতা গাছের ফল ৬ মিলিমিটার এবং পাতা কমবেশি ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছের মাথা অনেকটা সূচালো ধরনের হয়। এই গাছ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে যেই সকল সমস্যার সমাধান করতে চিরতার ভূমিকা অনেক বেশি। পুরো আর্টিকেল জুড়ে চিরতা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নিন।

চিরতার পুষ্টিগুণ

চিরতার মধ্যে এমন অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের কাছে অজানা। এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আর্টিকেলের এ অংশে আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম চিরতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ফসফরাস
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন বি
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন ই
  • আয়রন
  • ফাইবার
  • আমিষ
  • শর্করা

চিরতা ও কালমেঘ কি একই

আপনাদের মাঝে অনেকেই আছে যাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে চিরতা ও কালমেঘ কি একই? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে চিরতা ও কালমেঘ একই উদ্ভিদ। অনেকেই রয়েছেন যারা এই উদ্ভিদকে চিরতা নামে চেনেন আবার অনেকেই রয়েছেন যারা এই উদ্ভিদ কে চেনেন কালমেঘ নামে। 

দুইটি নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও এই দুটি একই ভেষজ উদ্ভিদ। জায়গা এবং স্থানভেদে এই উদ্ভিদের নাম ভিন্ন ভিন্ন নামে ব্যবহৃত হয়।

চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে

আপনাদের মাঝে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা রয়েছে। তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদের সামনে এই প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরেছি। এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে চিরতা আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। 
চিরতা নিয়ে গবেষণা করার পর কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে চিরতা আমাদের কিডনি রোগের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে এবং কিডনি উন্নত করতে সাহায্য করে। কিন্তু বর্তমান কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে চিরতা কিডনির ক্ষতি করে। প্রাণীদের ওপর কিছু গবেষণা করার পর দেখা গেছে যে এটি কিডনির জন্য উপকারী কিন্তু সেই উপকারিতা মানুষের উপর সীমিত। 

আবার কিছু মানুষের উপর গবেষণা করার পর দেখা গেছে যে এটি কিডনি বিকল হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই চিরতা খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তারপরে খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিরতা না খাওয়াই ভালো।

চিরতার উপকারিতা

যেহেতু চিরতা এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ সেহেতু বলা যেতেই পারে যে এর উপকারিতা অনেক বেশি। ভেষজ উদ্ভিদ খুব বেশি পরিচিত না হলেও ভেষজ উদ্ভিদের কার্যকারিতা খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে ভেষজ উদ্ভিদের ভূমিকা অনেক বেশি থাকে। 

আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের সামনে চিরতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। নিম্নে চিতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

পেটের সমস্যা সমাধান করেঃ আমরা অনেক সময় পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ে থাকি। যেমনঃ পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে পেটের ব্যথা পর্যন্ত বিভিন্ন ছোট ছোট সমস্যা হয়ে থাকে। সে সকল পেটের সমস্যা সমাধান করতে চিরতার ভূমিকা অনেক বেশি। 

এছাড়াও পেটের ভেতর কৃমির সমস্যা অথবা ডায়রিয়া সারিয়ে তুলতেও চিরতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ অনেকেই রয়েছেন যাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি। আর সেই কারণে দেখা দেয় শরীরে বিভিন্ন রকম জটিল সমস্যা। সে সমস্যা সমাধান করার জন্য বারবার চিকিৎসকের নিকট গিয়ে অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

আপনি যদি নিয়ম করে চিরতা খাওয়া শুরু করতে পারেন তাহলে রক্তে সুগার বৃদ্ধি পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ চিরতা এমন একটি উদ্ভিদ যা আমাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

দীর্ঘদিনের ঘা সারাতে সাহায্য করেঃ অনেকেরই দেখা যায় যে তাদের শরীরে দীর্ঘদিন যাবত এক ধরনের ঘা রয়েছে। যা কিছুতেই ভালো হতে চাই না। এক্ষেত্রে আপনারা সাহায্য নিতে পারেন চিরতার। এক কাপ মত কুসুম গরম পানিতে কিছুটা পরিমাণ চিরতা রাতের বেলা ভিজিয়ে রাখতে হবে। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল ছেকে নিয়ে যেই স্থানে ঘা রয়েছে সেই স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন যে আপনার ঘা অনেকটা শুকিয়ে গেছে।

লিভার ক্যান্সারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাঃ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে এখন একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিভারের সমস্যা। লিভারের চর্বি জমা থেকে শুরু করে লিভারের ক্যান্সার যেন মানুষের জন্য মরণব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিভারের এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনারা চিরতা খাওয়া শুরু করতে পারেন।

ত্বকের সমস্যা সমাধান করেঃ চিরতা এমন এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ যদি আপনি এটি পিষে আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় আমাদের ত্বকে বিভিন্ন রকম ফুসকুড়ি অথবা লাল লাল ভাব দেখা যায়। এরকম সমস্যার জন্য চিরতা অনেক ভালো কাজ করে।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে যেকোনো ধরনের তিতা উদ্ভিদ অনেক বেশি কাজ করে। যেমনঃ নিম। এই নিম এতটা তিতো যে এটি খেলে খুব সহজেই আমাদের রক্ত পরিষ্কার হয়। নিম এর পরিবর্তে আমরা যদি চিরতা খাই তাহলেও আমাদের রক্ত পরিষ্কার হয়। কারণ চিরতার স্বাদ ও অনেকটা নিমের মতোই তিতো।

বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করেঃ অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের অতিরিক্ত জ্বরের কারণে সব সময় বমি বমি ভাব মনে হয়। এই ধরনের বমি বমি ভাব কমাতে চিরতার ভূমিকা অনেক বেশি। বমি বমি ভাব কমানোর জন্য আপনারা দুই কাপ গরম পানিতে কিছুটা পরিমাণ চিরতা বেটে ভিজিয়ে রাখবেন। 

ভিজিয়ে রাখা যখন দুই থেকে তিন ঘন্টা হয়ে যাবে তখন সেই পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিতে হবে। এতে করে বমি ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেঃ চিরতা আমাদের শরীরের সুগার লেভেল কে নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু চিরতা খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের রক্তে সুগার কন্ট্রোলে থাকে সেহেতু বলা যায় যে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ আমরা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করার জন্য কত কিছুই না করে থাকি। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠির মত সমস্যায় পড়েন অন্য কোন সমাধান না ভেবে নিশ্চিন্তে চিরতা খেতে পারেন। কারণ চিরতা খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আমরা আমাদের ওজন কমাতে কত কি না করি। কখনো ডায়েট করি আবার কখনো করি ব্যায়াম। তাও অনেক সময় দেখা যায় যে ওজন কিছুতেই কমতে চাই না। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে চিরতার মাঝে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খুব সহজেই একজন ব্যক্তির ওজন কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ইমিউনিটি শক্তি আমাদের শরীরের যেকোনো ধরনের সমস্যার সাথে লড়াই করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির গুনাগুন রয়েছে চিরতার মধ্যে। চিরতা খেয়ে আপনারা খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

হাঁপানি রোগের সমাধানঃ যে সকল ব্যক্তি প্রচুর হাঁপানির কাছে কাবু হয়ে আছে তাদের জন্য এটি মহা ঔষধ ও বলা যায়। কারণ চিরতা যে কোন ধরনের প্রবল হাঁপানি উপশম করতে জাদুর মত কাজ করে। 

হাঁপানি কমানোর জন্য চিরতার গুঁড়ো করে সেইগুলো তিন ঘন্টার পর পর যদি মধুর সাথে চেটে খাওয়া যায় তাহলে প্রবল ধরনের হাঁপানি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

চিরতার অপকারিতা

আমরা উপরে আপনাদের জানার সুবিধার্থে চিরতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব চিরতার অপকারিতা। প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমন রয়েছে অপকারিতা। 

তাই বলা যায় চিরতার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অপকারিতা। যদিও চিরতার অপকারিতা থেকে উপকারিতা বেশি তাও আমাদের অবশ্যই চিরতার অপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত। জেনে নিন চিরতার অপকারিতা সমূহ কি কি।
  • গর্ভবতী মায়েরা চিরতা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খেলে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত তেতো হওয়ায় এটি খাওয়ার পরে অনেকের বমি বমি ভাব চলে আসে।
  • এটি যেহেতু রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে তাই যাদের রক্তের সুগারের মাত্রা কম তাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

চিরতার জল খাওয়ার নিয়ম

চিরতার যখন তখন যে কোন নিয়মে খেলেই তার থেকে ভালো ফলাফল পাবেন না। তা থেকে ভালো ফলাফল পেতে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। যদি নিয়ম মেনে খেতে পারেন তাহলেই এটি থেকে ভালো ফলাফল পাবেন। 

চিরতার জল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি সেই নিয়ম অনুযায়ী চিরতার জল খান তাহলে তা থেকে পর্যাপ্ত উপকারিতা পাবেন। সেই কারণে আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি চিরতার জল খাওয়ার নিয়ম। 

এক গ্লাস গরম জলে চার থেকে পাঁচ গ্রাম শুকনো চিরতা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়ার পর খালি পেটে সেই জল খেয়ে ফেলুন। এতে করে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে জাদুর মতো।

খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা উপকারিতা অনেক বেশি। সকালে যদি আপনি খালি পেটে চিরতা খান তাহলে শরীরের বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে যেই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কোন কোন সমস্যার সমাধান হবে সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে জেনে নিন।
  1. সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে যদি কোন ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে সেই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যায়।
  2. যদি কোন ব্যক্তির তীব্র জ্বর থাকে তাহলে সেই জ্বর সারাতেও চিরতার জল খেতে পারেন।
  3. সকালে খালি পেটে চিরতা খেলে লিভারের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান হয়।
  4. সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার ফলে ত্বকের বার্ধক্য অনেকটাই কমে যায়।
  5. শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতেও সকালে খালি পেটে চিরতার জলের ভূমিকা অনেক বেশি।
  6. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে সকালে খালি পেটে চিরতার জল খান।
  7. চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করার জন্য সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন।
  8. কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পেটের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন।

চিরতার কতদিন খাওয়া যায়

আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন জাগে যে চিরতার কতদিন খাওয়া যায় তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে কখনোই একটানা ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি চিরতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ যদিও চিরতার উপকারিতা অনেক বেশি তবুও বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে এটি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। 

তাই যদি কোন ব্যক্তি একটানা ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি চিরতা খাই তাহলে সেই ব্যক্তির কিডনির সমস্যা হতে পারে। কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ও সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম যৌন সমস্যা ও দেখা দিতে পারে।

দ্রষ্টব্যঃ এই আর্টিকেলে আমরা চিরতা কতটা উপকারী তা আলোচনা করেছি শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে। অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের উপর ভিত্তি করে চিরতা খাবেন না। এটি খাওয়ার পূর্বে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তারপর সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

পরামর্শমূলক কিছু কথাঃ চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে দ্বারা বুঝতে পেরেছেন যে এটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং এর ক্ষতিকারক গুলো কি কি।এছাড়াও এটি আমাদের কিডনির জন্য কতটা ক্ষতিকর সেই সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করেছেন। 

যেহেতু এটি একটি উদ্ভিদ তাই এটি খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবেন তারপরে খাবেন। চিরতা অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।চিরতা সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেব।

''ধন্যবাদ''

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url