ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত দিন সঠিক তথ্য জানুন
ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণগুলো জানুনবর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরিমাণ বেড়েই
চলেছে। তাই আজকে আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন এই বিষয়
নিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আমরা আমাদের আর্টিকেল ব্রেস্ট ক্যান্সার
স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন এর ভেতর ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি আপনারা আমাদের আর্টিকেল ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন
করলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে কি কি করতে হবে এবং হওয়ার পূর্বে করণীয় কি সেই
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়
এখনকার সময়ে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার এর তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন
চিকিৎসকগণ আরো বলেছেন যে মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার এর তীব্রতা
ভবিষ্যতে আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রকম উন্নত দেশগুলোতেও
ব্রেস্ট ক্যান্সার এ জীবন হারাচ্ছে অসংখ্য নারী। বেস্ট ক্যান্সার মহিলাদের
ক্ষেত্রে একটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে।
আরও পড়ুনঃ টিউমার চেনার উপায় জেনে নিন
বিশেষ করে যে সকল মহিলারা ৩০ বছর বয়স পার করেছে তাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রথম অবস্থায় ধরা
পড়লে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব কিন্তু যদি এটি ধরা পড়ে দেরিতে তাহলে খুব
কম সংখ্যক মহিলা রয়েছেন যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি
পেয়েছেন।
এখন অনেক নারীর মনেই প্রশ্ন জাগছে মহিলারা কেন ব্রেস্ট ক্যান্সার এর আক্রান্ত
হচ্ছে। আপনাদের জানার জন্যই আমরা আমাদের এই পর্বে ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় সেই
সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যাতে খুব সহজেই বুঝতে পারেন কোন কোন কারণে একজন
মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
একজন মহিলা বিভিন্ন রকম কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারের শিকার হতে পারেন। সেই সকল
কারণগুলো নিচে আলোচনা করলাম।
- কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বিভিন্ন রকম প্রদাহ থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার হচ্ছে। আর তা পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে।
- কোন কোন মহিলা দীর্ঘদিন যাবত হরমোনের ইনজেকশন গ্রহণ করে। সে সকল মহিলার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- এখনকার সময়ে আমাদের লাইফস্টাইলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণেই একজন মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।
- কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বংশগতভাবেই তাদের বংশে ব্রেস্ট ক্যান্সার হচ্ছে। এটিও হতে পারে একজন মহিলার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার কারণ।
- আমরা এখন যে সকল খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক সেই সকল খাবার বেশি খেয়ে থাকি। রাস্তার পাশে ঠান্ডা পানিও অথবা বিভিন্ন রকম প্যাকেট করা খাবার। আর সেই কারণেই মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার বেড়ে গেছে।
- অনেক মহিলা রয়েছেন যারা তাদের নবজাতক শিশুদেরকে বুকের দুধ খাওয়ার না। এর কারণেও অনেক মহিলা স্তন ক্যান্সারের শিকার হয়।
ব্রেস্ট ক্যান্সার এর লক্ষণ
কোন মহিলা যখন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তখন সেই মহিলার মধ্যে কিছু কিছু
লক্ষণ প্রকাশ পাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে প্রথম অবস্থায় যে সকল লক্ষণ
প্রকাশ পায় তা অনেক মহিলায় অবহেলা করে।
আরও পড়ুনঃ বেনাইন টিউমার চেনার উপায় জেনে নিন
আর সেই কারণেই পরবর্তীতে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রথম অবস্থাতেই যদি
প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের হাত
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনাদের জানার সুবিধার্থে ব্রেস্ট ক্যান্সার এর
লক্ষণগুলো নিচে আলোচনা করলাম।
- স্তনের ভেতর থেকে তরল জাতীয় কিছু বের হওয়া।
- স্তনের আকৃতির মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেওয়া।
- স্তনের আশেপাশে ফুসকুড়ি অথবা র্যাস জাতীয় কোন কিছু দেখতে পাওয়া।
- স্তনের আশেপাশে গোটা হওয়া অথবা শক্ত হয়ে যাওয়া।
- বগলের নিচে কোন অংশ ফুলে ওঠা অথবা শক্ত হয়ে যাওয়া।
- স্তনের রং পরিবর্তন হওয়া।
- স্তনের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে চুলকানি হওয়া।
ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করণীয়
কথায় আছে যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ করা বেশি জরুরী।
প্রতিরোধ বলতে কোন রোগ হওয়ার পূর্ব থেকেই সচেতনতা অবলম্বন করা। আমরা যদি কোন রোগ
হওয়ার পূর্বেই সচেতনতা অবলম্বন করি তাহলে সেই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে
যায়।
আর যদি কোন রোগ হওয়ার পর আমরা বিভিন্ন রকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করি তাহলে
সেই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে
প্রতিকারের সাথে সাথে প্রতিরোধের ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। কোন মহিলা যদি
ব্রেস্ট ক্যান্সার এর শিকার হন তাহলে অবশ্যই তাকে কিছু করণীয় মেনে চলতে হবে।
তাহলে জেনে নেই ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করণীয় গুলো কি কি।
- শরীরে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- যে সকল খাবারে অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে সে সকল খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।
- বিভিন্ন রকম ধূমপান অথবা অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেকোনো ধরনের তামাক জাতীয় নেশা করা বন্ধ করতে হবে।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
- কারো কারো দেখা যায় পোস্টমেনোপজাল হরমোন বেশি থাকে তাদের এই হরমোন থেরাপি সীমিত রাখতে হবে।
- নিজের স্তনের আকৃতি এবং রঙের সঙ্গে পরিচিত থাকতে হবে। কোনরকম পরিবর্তন দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভালো হয়
কোন মহিলার ব্রেস্ট ক্যান্সার ভালো হবে কিনা সেটি নির্ভর করে সেই মহিলাটি ব্রেস্ট
ক্যান্সারের কত নাম্বার স্টেজে রয়েছে। কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা
যায় যে প্রথম অবস্থাতে ধরা পড়লে সেই ক্যান্সার ভালো হয় কিন্তু যদি ব্রেস্ট
ক্যান্সার শেষ পর্যায়ের দিকে ধরা পড়ে তাহলে সেই ক্যান্সারের হাত থেকে সহজে
মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু।
বিভিন্ন রকম চিকিৎসায় দেখা গেছে যে যে দেশ উন্নত সেই সকল দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার
হওয়ার পরও কোন মহিলা পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থেকেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল
দেশগুলোনে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার পর পাঁচ বছরের কম বেঁচে থাকে। আমরা এখন
আপনাদের সামনে ক্যান্সারের ধাপ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ১ঃ স্টেজ ১ এ স্তনের টিউমার দুই সেন্টিমিটার এর
কম আকারের হয়ে থাকে। এটি শরীরের আশেপাশের ছড়িয়ে পড়ে না। যে স্থানে টিউমার হয়
এর আশেপাশেই অল্প স্থান জুড়ে এর বিস্তৃতি থাকে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ঃ স্টেজ ২ এ টিউমার এর আকৃতি বড় হয়ে ৫
সেন্টিমিটার হয়। এছাড়াও এটি বগলের আশেপাশের লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু
করে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ৩ঃ স্টেজ ৩ এ বলা যায় যে ক্যান্সার এর কিছুটা
ধাপ বাড়ে। তবে এর বৃদ্ধি থাকে সীমাবদ্ধের মধ্যে। এই স্টেজে টিউমারের আকৃতি ৫
সেন্টিমিটারের বড় হয় এবং আশেপাশের লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ৪ঃ স্টেজ ৪ এ ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন অংশে
ছড়িয়ে পড়ে। যেমনঃ ফুসফুস, লিভার, হাড় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে। এক্ষেত্রে
রোগের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা
আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের বিস্তার লাভ কেমন হবে তা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে
আমাদের খাদ্যাভাসের উপর।
মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার এবং মুম্বাইয়ের ডাঃ ভান্দানা মাথুর বেশ কিছু খাবারের
নাম সম্পর্কে বলেছেন যে সকল খাবার একজন মহিলার স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি
কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই অবশ্যই ব্রেস্ট ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায়
সে সকল খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। জেনে নিন সেই সকল খাবারের নাম।
স্যামন মাছঃ স্যামন মাছের ভেতর উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন ডি ও ওমেগা ৩
ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কোষ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে
ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
গ্রিন টিঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি অনেক বেশি কার্যকরী তা আমরা সকলেই জানি। ওজন
নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও গ্রিন টি এর ভূমিকা অনেক। কারণ
গ্রিন টি এর ভেতর রয়েছে ফাইটোকেমিকল। তাই অবশ্যই নিয়মিত দুই কাপ গ্রিন টি খাবার
অভ্যাস গড়ে তুলুন।
হলুদঃ হলুদের ভেতর উপস্থিত রয়েছে কার কিউমিন। যা ব্রেস্ট ক্যান্সার
প্রতিরোধে অন্যতম উপাদান। এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে ও
সাহায্য করে থাকে। এক চিমটি হলুদ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
কাঁচা মরিচঃ মরিচের ভেতরে রয়েছে ফাইটোকেমিকল। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
করতে সক্ষম। এছাড়াও মরিচের ভেতর পাওয়া যায় হেলাপিণতে যা আমাদের শরীরের
অতিরিক্ত কোষ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্রকলিঃ ব্রকলির মধ্যে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফোরোফেন। যা
আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ব্রকলি রাখার চেষ্টা করুন।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকম
উপাদান উপস্থিত রয়েছেন। আর সেই কারণে যদি নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া হয় তাহলে
তাতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন আমাদের শরীরের ক্যান্সারের পাশাপাশি বিভিন্ন
রকম সমস্যা সমাধান করে।
ডালিমঃ স্তন ক্যান্সারে ডালিম এর ভূমিকা অনেক। ডালিমের ভেতর রয়েছে এক
ধরনের এলার্জিক অ্যাসিড যার নাম হচ্ছে পলিফেনল। এটি আমাদের শরীরে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সরবরাহ করে যার ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই
কমে যায়।
রসুনঃ রসুন আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। নিয়মিত
কেউ যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে
রসুন খাই
তাহলে তার শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়ে যায়। রসুন আমাদের শরীরের টিউমার
বৃদ্ধি রোধের পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও অনেক বেশি সাহায্য করে।
এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার আপনারা আপনাদের
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। যেমনঃ
- তিসি
- মিষ্টি আলু
- অর্গানিক মাংস
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার
- টক দই
- বেরি
- ক্যাবেজ
- ব্রাজিল নাটস
- বিনস
- মাশরুম
- গোটা শস্য দানা
- ফাইবার যুক্ত খাবার
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত দিন
অনেক মহিলায় রয়েছেন যারা ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ এর মধ্য দিয়ে পার করছেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ সাধারণত ক্যান্সারের প্রথম পর্যায়ের দিক হিসাবে ধরা
হয়ে থাকে। এই স্টেজে ক্যান্সার স্তনের আশেপাশে ছড়ায়। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন
অংশে ছড়িয়ে পড়ে না।
ব্রেস্ট ক্যান্সার এমন এক ধরনের ক্যান্সার যা চিকিৎসা করার মাধ্যমে ভালো হয়ে
যাওয়ার পরে আবারো ফিরে আসতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সার ভালো হওয়ার এক থেকে দুই
বছরের মধ্যেই আবার ফিরে আসতে দেখা যায়।
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন এই প্রশ্নের উত্তরে ওরা বলবো যে
স্টেজ ২ রোগী কতদিন বাঁচবে সেই সম্পর্কে একেবারেই সঠিক ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়।
এই রোগী কত দিন বাঁচবে তা কারো পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে
দেখা গেছে যে স্টেজ ২ রোগীর ক্ষেত্রে গড় ৫ বছরের মতো বেঁচে থাকার সম্ভাবনার হার
প্রায় ৯৩%।
পরামর্শমূলক কিছু কথা
আশা করছি আপনারা আমাদের লিখা আর্টিকেল ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত
দিন পরে বুঝতে পেরেছেন যে একজন মহিলার কোন কোন কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে
থাকে। যদি কোন মহিলার ব্রেস্ট ক্যান্সার হয় তাহলে তার করণীয় গুলো কি কি।
আমরা আপনাদের এটাই বলব যে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার পরে করনীয় গ্রহণ না করে
ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন রকম সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেহেতু
মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে তাই প্রাথমিক অবস্থাতে
কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে তা অবহেলা না করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানার থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে
জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url