টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেল টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম দ্বারা আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা যদি টাইগার মুরগির সম্পর্কে সকল তথ্য এবং সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে দেরি না করে আমাদের লেখা আর্টিকেল টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পারে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম পড়ুন।
টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম
আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির সম্পর্কে সবকিছু জানাবো এবং টাইগার মুরগির বাচ্চা কোথায় পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কেও জানাবো।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে অনেক খামারি টাইগার মুরগি লালন পালন করে লাভবান হচ্ছেন। এই মুরগি লালন পালন করে লাভবান হওয়াই আমাদের দেশের টাইগার মুরগি পালনের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। টাইগার মুরগি পালনে যতটুকু লাভ হচ্ছে এর থেকেও অধিক লাভ হবে যদি খামারিরা টাইগার মুরগির সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে জানেন তাহলে। 
কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে খামারি এটা টাইগার মুরগির সম্পর্কে অনেক তথ্য জানেনা। আপনিও যদি মনে মনে টাইগার মুরগি লালন পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই খামার তৈরি করার পূর্বে টাইগার মুরগির সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করবেন।

আপনি যদি সকল তথ্য জেনে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে অধিক লাভবান হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে । তাই চলুন দেরি না করে আপনারা টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম আর্টিকেলটি পড়ে টাইগার মুরগির সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন।

টাইগার মুরগির বৈশিষ্ট্য কি

টাইগার মুরগির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে আর সেই সকল বৈশিষ্ট্য দেখে খুব সহজেই টাইগার মুরগী নির্ণয় করা সম্ভব। টাইগার মুরগির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
  • টাইগার মুরগির ডিম দেওয়ার সংখ্যা প্রায় ১০৬ - ১৮০ টি।
  • একটি পূর্ণাঙ্গ টাইগার মুরগির দিনে সাধারনত ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম খাবার গ্রহণ করে থাকে।
  • টাইগার মুরগির ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে যে সকল টাইগার মুরগি মোরগ সেই সকল টাইগার মুরগির সর্বোচ্চ ওজন হয় ৭ থেকে ৮ কেজি আর যেই সকল মুরগি সেটগুলোর ওজন হয় সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ কেজি।
  • একটি টাইগার মুরগির সাধারণত ডিম দেওয়ার সময়কাল হচ্ছে দুই থেকে আড়াই বছর। এই সময় পার হলে টাইগার মুরগির ডিম দেওয়ার ক্ষমতা কমতে থাকে।
  • একটি টাইগার মুরগি ৫ থেকে ৬ মাস পর থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে।
  • একটি টাইগার মুরগির বসবাসের জন্য দেড় থেকে দুই বর্গফুট জায়গা লাগে।
  • টাইগার মরে গিয়ে বিক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে এক থেকে আড়াই মাসে এবং মোরগ বিক্রয় যোগ্য হয়ে উঠে এক থেকে দুই মাসে।

টাইগার মুরগি চেনার উপায়

আমরা উপরে আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আপনাদের সামনে টাইগার মুরগি চেনার উপায় গুলো তুলে ধরব। টাইগার মুরগি এমন এক ধরনের মুরগি যা চিনতে অনেকেই ভুল করে থাকেন। 
বাজার থেকে টাইগার মুরগি কিনে আনতে গিয়ে অন্য জাতের মুরগি কিনে নিয়ে আসেন। তাই অনেক সময় আফসোসও করেন। তাই আমরা আপনাদের জানার সুবিধার্থে টাইগার মুরগি চেনার উপায় আলোচনা করব যেন আপনারা বাজারে গিয়ে খুব সহজেই টাইগার মুরগি চিনতে পারেন।
  • টাইগার মুরগি দেখতে অন্যান্য মুরগি থেকে বেশি অনেক বড় হয় তাই এদেরকে টাইগার মুরগি বলা হয়ে থাকে।
  • টাইগার মুরগির পা অনেক মোটা হয় এবং বড় হয়।
  • টাইগার মুরগি দেখতে অনেকটা দেশি মুরগির মতোই হয়ে থাকে। তবে দেশি মুরগির গায়ের রং টকটকে লাল হয় কিন্তু এদের হালকা লাল লাল এবং ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।
  • টাইগার মুরগি দেখতে অনেকটা গোলগাল ধরনের হয়ে থাকে।
  • অন্যান্য মুরগির তোলা নাই টাইগার মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হয়। তাই এই মুরগির ওজন বেশি হয়।
  • বাজারে সাধারণত চার ধরনের টাইগার মুরগি দেখা যায়। যেমন : সাদা, লাল, কালো এবং এই তিন রঙ্গের সংমিশ্রণে একটি রং।
  • টাইগার মুরগির গায়ের রং এর একটি আলাদা পরিচিতি বহন করে তাই আপনারা বাজারে গিয়ে টাইগার মুরগির গায়ের রং দেখেই টাইগার মুরগি চিহ্নিত করতে পারবেন।

টাইগার মুরগির পালন পদ্ধতি

টাইগার মুরগি পালন করার পর অধিক লাভবান হওয়ায় অনেকেই আবেগবশত ভাবে টাইগার মুরগি পালন করা শুরু করে দেয়। কিন্তু টাইগার মুরগির সঠিক পালন পদ্ধতির না জানাই লাভের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক খামারি। 
টাইগার মুরগি পালন করতে হলে প্রথমেই টাইগার মুরগি পালনের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি টাইগার মুরগি পালন পদ্ধতি না জানেন তাহলে টাইগার মুরগি পালন করতে গিয়ে খুব বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। 

তাই আপনিও যদি মনে মনে ঠিক করে থাকেন টাইগার মুরগি পালন করে ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে প্রথমে টাইগার মুরগির পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন তারপরে ব্যবসা শুরু করুন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমরা আমাদের আর্টিকেলে এখন টাইগার মুরগির পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।
  1. টাইগার মুরগি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাদেরকে টাইগার মুরগি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে হবে।
  2. টাইগার মুরগি পালন করার জন্য আপনারা খোলা জায়গা অথবা আবদ্ধ জায়গা নির্বাচন করতে পারেন। দুই পদ্ধতিতেই আপনারা টাইগার মুরগি পালন করতে পারবেন।
  3. টাইগার মুরগি পালন করার জন্য যদি আবদ্ধ জায়গা নির্বাচন করেন তাহলে সেই জায়গার পরিমাণ একটু বড় রাখতে হবে কারণ টাইগার মুরগির খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  4. টাইগার মুরগি পালনের স্থানটি শুষ্ক এবং পরিষ্কার স্থান হতে হবে। তা না হলে মুরগির বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেবে।
  5. মুরগির জন্য নির্বাচিত খামারটিতে অবশ্যই নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি সঠিক সময়ে নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন না দেন তাহলে মুরগির বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেবে।
  6. টাইগার মুরগি স্থান দিয়ে খামারে প্রবেশ করবে সেই স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  7. বাইরে থেকে যদি কোন নতুন মুরগি অথবা পশুপাখি আনা হয় তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সেটি রোগমুক্ত হয়। যদি সেটি রোগমুক্ত না হয় তাহলে আপনার মুরগি সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
  8. মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে ধাপে বিভিন্ন রকম ঔষধ খাওয়াতে হয় অবশ্যই সেই সকল ঔষধ খাওয়াতে হবে এবং পশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
  9. মুরগির খাবারের তালিকায় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
  10. আপনারা যদি উপরোক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী টাইগার মুরগি পালন করেন তাহলে টাইগার মুরগি পালন করার পর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই টাইগার মুরগি পালন করুন কিন্তু সঠিক পদ্ধতি মেনে পালন করুন।

টাইগার মুরগির খাবার তালিকা

একটি টাইগার মুরগি কত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে এবং কত তাড়াতাড়ি ডিম দিবে তা অনেকটাই নির্ভর করে মুরগির খাবারের উপর। আপনার মুরগিকে যদি সঠিক সময়ে সঠিক খাবার দেন তাহলে অবশ্যই সেই মুরগীর দ্রুত বাড়বে এবং ওজন বৃদ্ধি পাবে। টাইগার মুরগি পালন করে লাভবান হতে চাইলে অবশ্যই টাইগার মুরগির খাবার তালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

তাই আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা জরুরি টাইগার মুরগির খাবার তালিকা কি। টাইগার মুরগির খাবার তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় দানাদার খাদ্য রাখতে হবে। এছাড়াও টাইগার মুরগির একদিনের বাচ্চাকে স্টাটার ফিড খাওয়াতে হবে। 

এই ফির বাচ্চাকে একদিন থেকে শুরু করে একমাস বয়স পর্যন্ত খাওয়াতে হবে। বাচ্চার বয়স যখন এক মাস পার হয়ে যাবে তখন বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে গোয়ার ফিড। এই ফিড বাচ্চাকে এক মাস থেকে দুই মাস পর্যন্ত খাওয়াতে হবে। টাইগার মুরগির বয়স যখন দুই মাস পার হয়ে যাবে তখন তাকে লেয়ার ১ খাবার খাওয়াতে হবে । 

এই খাবার খাওয়ালে টাইগার মুরগির ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করবে।এগুলোর পাশাপাশি অবশ্যই মুরগিকে দানাদার জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টাইগার মুরগির খাদ্য তালিকা।

টাইগার মুরগির দাম কত

আমরা ব্যবসার ক্ষেত্রে হোক বা বাসায় খাওয়ার জন্যই হোক না কেন টাইগার মুরগী কিনতে গেলে বিভিন্ন সময় লসের মুখোমুখি হয়ে থাকি। লস এর সম্মুখীন হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে টাইগার মুরগির সঠিক দাম না জানা।বাজারে যে সকল মুরগি দেখতে পাওয়া যায় সকল মুরগির থেকে টাইগার মুরগির ওজন একটু বেশি হয়ে থাকে তাই কেজি প্রতি এর দাম ও অনেক বেশি পরে। 

তাই এই মুরগি দিয়ে যদি আপনারা ব্যবসা শুরু করতে চান প্রথমেই টাইগার মুরগির সঠিক দাম জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। টাইগার মুরগির সঠিক দাম না জেনে কখনোই ব্যবসা শুরু করবেন না। টাইগার মুরগির ব্যবসায় অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ এই মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে ফলে এর পেছনে অনেক বেশি খরচ করতে হয় না। 

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে টাইগার মুরগির দাম কেজি প্রতি দেখা যায় ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা হয়ে থাকে।তবে আমরা যেই দামটি আপনাদের সামনে আলোচনা করলাম সেই দামটি যে থাকবে তা কিন্তু নয় সময়ের পরিবর্তনের কারণে মুরগির দাম ও পরিবর্তন হতে পারে।

আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির দাম আলোচনা করে আপনাদের একটি আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম প্রতি কেজিতে টাইগার মুরগির দাম কত হতে পারে।আপনারা টাইগার মুরগী বাজারে কিনতে গেলে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপর টাইগার মুরগি ক্রয় করবেন।

টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম

আপনি যদি টাইগার মুরগি পালন ব্যবসায়িকভাবে করতে চান অর্থাৎ টাইগার মুরগি পালন করার জন্য একটি খামার তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই সবকিছুর পূর্বে আপনাকে জানতে হবে টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম কত। 

কারণ আপনি যদি টাইগার মুরগির বাচ্চার সঠিক দাম না জানেনা তাহলে আপনি এই ব্যবসা করতে গিয়ে লসের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই আমরা আজকে আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে আলোচনা করব। 

একটি টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম বর্তমান সময়ের সাপেক্ষে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়ে থাকে। এই মুরগির বাচ্চার ওজন ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। আর যখন টাইগার মুরগির বাচ্চার ওজন ১০০ গ্রাম হয় তখন তার দাম হয় ১৮০ টাকা।

টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে

টাইগার মুরগি কতদিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম কত আর্টিকেল দ্বারা আমরা সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে তা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করব একটি টাইগার মুরগির ডিম পাড়ার বয়স কত। 

একটি টাইগার মুরগির বয়স যখন পাঁচ থেকে ছয় মাস হয় তখন থেকেই সেই মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে। একটি টাইগার মুরগির ডিম পাড়ার বয়সকাল হচ্ছে দুই থেকে আড়াই বছর। একটি টাইগার মুরগি ১৬০ টি থেকে ১৮০ টি পর্যন্ত ডিম দেয়। তারপর থেকে টাইগার মুরগির ডিম দেওয়ার ক্ষমতা কমতে শুরু করে।

টাইগার মুরগির ভিটামিনের তালিকা

কিছু কিছু ভিটামিন ঔষধ রয়েছে যে সকল ঔষধ টাইগার মুরগীকে সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করতে হবে। যদি আপনারা সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করেন তাহলেই টাইগার মুরগি পালন করে লাভবান হতে পারবেন। 

তার পাশাপাশি এই সকল ভিটামিন প্রয়োগের ফলে মুরগির ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং ডিম উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আসুন একসাথে সেই সকল ভিটামিনের নাম জেনে নেই।
  • এডি৩ই - এই ভিটামিন সপ্তাহে দুই দিন সকালের পানিতে দিতে হবে। আর এই ভিটামিনের পরিমাণ হবে ১ মিলি ২ লিটার পানিতে।
  • জিংক - এই ভিটামিন মুরগিকে সপ্তাহে একদিন দিতে হবে। আর এই ভিটামিনের পরিমাণ হবে ১ মিলি ১ লিটার পানিতে।
  • ই-সেল - এই ভিটামিন মুরগিকে এক সপ্তাহে পরপর দুইদিন দিতে হবে। আর এই ভিটামিনের পরিমাণ হবে এ১ মিলি ২ লিটার পানিতে।
  • লিভার টনিক - এই ভিটামিন মুরগিকে সপ্তাহে একদিন দিতে হবে। আর এই ভিটামিনের পরিমাণ হবে ১ মিলি ৩ লিটার পানিতে।
  • ক্যালসিয়াম - এই ভিটামিন মুরগিকে সপ্তাহে ১ দিন দিতে হবে বিকেল বেলাই। আর এই ভিটামিনের পরিমান হবে ১ মিলি ১ লিটার পানিতে।

টাইগার মুরগির ঔষধের তালিকা

আমরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির ভিটামিনের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আপনাদের সামনে টাইগার মুরগির বিভিন্ন ঔষধের নাম আলোচনা করব। আপনারা যদি ব্যবসায়ী খেতে রেট এবার মুরগি পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই উল্লেখিত ঔষধ গুলো মুরগিকে দিতে হবে।
  1. প্রথম দিন মুরগি কেয়া লাইসোভিট বা গ্লুকোজ ও সব দিতে হবে।
  2. টানা দুই থেকে চার দিন দিতে হবে এমক্সাসিলিন।
  3. তিন থেকে পাঁচদিনে দিতে হবে আইবি ও এনডি লাইভ ভ্যাকসিন।
  4. ১০ থেকে ১২ দিনে দিতে হবে গামবোরো লাইভ ভ্যাকসিন।
  5. ১২ থেকে ১৪ দিনে দিতে হবে লিভার টনিক ও ভিটামিন।
  6. ১৮ থেকে ২২ দিনে দিতে হবে গামবোরো লাইভ ভ্যাকসিন।
  7. ২৪ থেকে ২৬ দিনে দিতে হবে এম্প্রোলিয়াম + সিপ্রো।
  8. ৩০ দিনে দিতে হবে ফাউল পক্স ভ্যাকসিন।
  9. ৩৫ দিনে দিতে হবে কৃমিনাশক ঔষধ।
  10. ৪৫ থেকে ৪৮ দিনে দিতে হবে রানীক্ষেত লাইভ ভ্যাকসিন।
  11. ৫০ দিন থেকে দেওয়া শুরু করতে হবে প্রবায়োটিক + ভিটামিন + লিভার টনিক।
আপনারা নিয়মিত উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো মুরগিকে দিলে আপনার মুরগি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং ডিম দেওয়া শুরু করবে। এছাড়াও আপনাদের মুরগির কোনরকম রোগ দেখা দিবে না।

পরামর্শমূলক কিছু কথা

আশা করছি আপনারা  টাইগার মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে - টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মুরগি পালন শুরু করে কোনরকম জ্ঞান অর্জন না করেই। 

আর সেই কারণে সেই সকল খামারি লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয় বেশি। কোন কিছু শুরু করার পূর্বে অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পনা এবং সেই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে তারপর সেই কাজ শুরু করতে হবে। যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং সঠিক জ্ঞান নিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করেন তাহলে অবশ্যই সেই ব্যবসা থেকে লাভবান হবেন। 

তাই আপনারা যদি মনে মনে টাইগার মুরগী পালন করবেন ব্যবসা হিসেবে তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে ব্যবসা শুরু করতে হবে। টাইগার মুরগির সম্পর্কে আরও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা আপনাদের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

''ধন্যবাদ''

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url