সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণে যেমন আমাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয় ঠিক তেমনই
অস্বস্তিতে করতে হয় ওজন যদি একেবারেই না থাকে। অনেকেই দেখা যায় যে ওজন বাড়ানোর
জন্য বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। আপনিও যদি এদের মধ্যে হয়ে থাকেন
তাহলে সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে আর্টিকেলটি পড়ুন। আমরা সকালে খালি পেটে
কি খেলে ওজন বাড়ে আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি বাসায় বসে ওজন বাড়াতে চান তাহলে সকালে খালি পেটে কি
খেলে ওজন বাড়ে আর্টিকেলটি পড়ুন।
আমরা সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে আর্টিকেলের মধ্যে এমন কিছু তথ্য দিয়েছি
যে সকল তথ্য আপনাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
ওজন না বাড়ার কারণ
একজন মানুষের বিভিন্ন কারণে ওজন বাড়ে না। একজন মানুষের স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে
যদি ওজন কম হয় তাহলে বুঝতে হবে কোন কারণ রয়েছে সেই কারণে সেই ব্যক্তির ওজন
বাড়ছে না। কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা অনেক খাবার খায় কিন্তু ওজনের দিঘি
দিয়ে দেখা যায় যে একেবারেই রোগা।
আর সে কারণে তারা অনেক চিন্তিত হয়ে থাকে। ওজন বাড়ার জন্য বিভিন্ন রকম পদ্ধতি
অবলম্বন করে। অনেকের অনেক রকম পরামর্শ নেয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করে। তারপরেও
কিছুতেই ওজন বাড়ে না। আপনি যদি আপনার ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রথমে জানতে হবে
আপনার কোন কারণে ওজন বাড়ছে না।
ওজন বাড়াতে হলে ওজন না বাড়ার কারণ খুঁজে বের করুন। কারণ খুঁজে পেলে তারপর তার
সমাধান করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। একজন
ব্যক্তির কোন কোন কারণে ওজন বাড়ে না সেই সম্পর্কে জেনে নিন।
- একজন ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি না পাওয়ার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে জেনেটিক কারণ। কিছু কিছু মানুষের রয়েছে যাদের প্রাকৃতিকভাবেই চর্বিহীন শরীর নির্দেশ করে। তাই তারা যতই খাবার খায় না কেন সেই খাবার তাদের গায়ে লাগেনা এবং অনেক বেশি রোগা থাকে।
- ওজন বৃদ্ধি না পাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে প্রদানক পেটের রোগ। কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে খাওয়ার কোনরকম কমবেশি হলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিয়েছে।আর কিছুদিন পর পরে এই রকম ডায়রিয়ার সমস্যার কারণে সেই ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি হতে দেখা যায় না।
- একজন ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি না পাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে টাইপ ১ ডায়বেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের যার কারনে মানুষের ওজন খুব দ্রুত কমতে দেখা যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে একজন ব্যক্তির রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় আর সেই কারণে সেই ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে ওজন কমতে শুরু করে।
- কোন ব্যক্তি যদি হাইপারথাইরায়েডিজম রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে সেই ব্যক্তির খুব দ্রুত ওজন কমতে দেখা যায়। এই রোগের যদি সঠিক ঔষধ না ব্যবহার করা হয় তাহলে মানুষের শরীর থেকে ওজন দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করে।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে - ভিটামিনের নাম গুলো
আমাদের জানা মতে, সকল প্রকার ভিটামিন মানুষের শরীরের জন্য এবং প্রতিটি অঙ্গ
পতঙ্গের জন্য প্রয়োজন। আর ভিটামিন খাবার হিসেবে মানুষকে খেতে বলা হয় সব সময়
সুষম খাবারগুলো।
সুষম খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের ভিটামিনের চাহিদা সহজেই পুরণ হয়ে যায়।
অন্যদিকে নিয়ম অনুযায়ী সুষম খাবার খেয়েও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ না হলে, অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিনের কি অভাব রয়েছে সে বিষয়ে জেনে ওষুধ সেবন করতে
হয়।
এক্ষেত্রে যে সকল মা গর্ভাবস্থায় রয়েছে তাদেরকে সুস্থ থাকার জন্য সব সময় সুষম
খাদ্য খেতে হবে এবং যে খাদ্য তে ভিটামিন বেশি থাকে। বেশি পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত
খাবার খাওয়ার ফলে ভিটামিনের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি গর্ভে থাকা বাচ্চার অনেক
উপকার হয়।
বিশেষ করে প্রতিটি মানুষের উচিত স্বাস্থ্যকর ও ভিটামিন পাওয়ার জন্য টাটকা শাক
সবজি এবং মৌসুমী ফলগুলো খাওয়া। আমাদের বাংলাদেশ অসংখ্য পরিমাণের মৌসুমি ফল
উৎপাদিত হয় এবং এই মৌসুমির ফলগুলো গ্রামে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। তাই আমাদের
উচিত সেই মৌসুমী ফল গুলো খাবার হিসেবে গ্রহণ করা।
আর তার ফলশ্রুতিতে দেখতে পারবেন আপনাদের ভিটামিনের চাহিদা অনেকাংশেই কমে যাবে এবং
চাহিদা পূরণ হবে।
এক্ষেত্রে যাদের ওজন একেবারে কম তাদের ওজন বৃদ্ধি করতে হবে, আর ওজন বৃদ্ধি করতে
হলে তাদেরকে কোন ভিটামিন খেতে হবে আসলে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে।
আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব, কোন ধরনের ভিটামিন খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে।
তো শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিমাণের ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এ্যামাইনো
এসিড, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ এবং বি খাওয়ার ফলে অবশ্যই শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।
তাই আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা উপরে উল্লেখিত এই বেশ কয়েকটি উপাদান গুলো যে
খাবারের মধ্যে বেশি ভিটামিন রয়েছে আপনারা সেই খাবারগুলো খাওয়া শুরু করতে পারেন।
তাতে করে আপনাদের ওজন দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে।
আর ওপরে উল্লেখিত খাবারগুলো খাওয়ার পরও যদি দেখেন অর্জন বৃদ্ধি হচ্ছে না, তখন
আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তার কারণ হলো এই খাবারগুলো খাওয়ার
মাধ্যমে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পায়।
তবে আপনার যদি এই খাবার গুলো খাওয়ার পর ওজন বৃদ্ধি না হয়। সে ক্ষেত্রে বুঝতে
পারবেন, আপনার শরীরে অন্যান্য কোন রোগ বাধা বেধেছে। আপনারা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ
করার পর উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো খাওয়ার ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ওজন বাড়ানোর ঔষধ
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য ওষুধ শরীরে বাড়াতে চান। ওষুধ
খেয়ে শরীর মোটা তাজা করতে চাইলে অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
তার জন্য আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচের আলোচনায় কোন ধরনের ওষুধ সেবন করলে, ওজন
বৃদ্ধি করতে পারবেন সেই বিষয়ে জানিয়ে দেব। তবে আমাদের বলা ওষুধগুলো খাওয়ার আগে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- সিনকারা সিরাপ - খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
- ভিটামিন ক্যাপসুল - খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন।
- গুড হেলথ ক্যাপসুল - খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ভিটামিন যুক্ত খাবার তালিকা
আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলে এসেছেন তারা অবশ্যই কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন৷ আমরা উপরে উল্লেখিত আলোচনায় কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
তার কিছু নাম জানিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু এখন আমি আপনাদের জানাবো কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে অর্থাৎ ভিটামিনযুক্ত
খাবার তালিকা সম্পর্কে।
আমাদের জানামতে দ্রুত শরীরে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত কলা, মাছ, ডিম, দুধ,
আলু, ডাল, বাদাম, দেশি মুরগির মাংস, ভাত ও ভাতের মার খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তো
চলুন এই খাবার তালিকা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
কলাঃ আমাদের জানা মতে কলা একটি জনপ্রিয় সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল হিসেবে
পরিচিত। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণ এর শর্করা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি,
ক্যালসিয়াম সহ আরো বিভিন্ন খাদ্য শক্তি। আপনারা যারা দ্রুত ওজন বাড়াতে চান,
তারা নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করতে পারেন।
দুধঃ দুধ মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টিগুণ প্রদান করা
থাকে। কারণ দুধে আছে প্রচুর পরিমাণ এর ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, এনিমো এসিড,
ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। আর মানুষ যখন নিয়মিত দুধ পান করে তখন এই প্রতিটি ভিটামিন
শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
মাছঃ আপনারা যদি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান, তাহলে প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই
মাছ রাখবেন। কারণ মাছ এ রয়েছে অনেক প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরার, পটাশিয়াম,
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি।
বাদামঃ বাদাম আমাদের কাছে অনেক পরিচিত একটি নাম। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
গিয়ে এবং খেলাধুলা দেখতে গিয়ে বাদাম কিনে খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে
এমন অনেকে রয়েছে যারা এখনো জানে না বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি করানো
যায়।
কিসমিসঃ কিসমিস মানুষের ওজন বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে
পরিচিত। শুকানো আঙুর ফলের উৎপাদন থেকে এই কিসমিস তৈরি করা হয়।
কিসমিসগুলোতে আছে ভিটামিন বি৬, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম কপার, লৌহা, পটাশিয়াম, জিংক
সহ আরো অনেক পুষ্টিগুণ৷ এই প্রতিটি উপাদান আমাদের শরীরের শক্তি যোগান করতে
সহায়তা করে, তেমনি ভাবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ডালঃ মানুষের দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য এমন একটি খাবার তালিকার মধ্য রয়েছে
ডাল। ডাল এমন একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার, যা গরু এবং খাসির মাংস যে প্রোটিন
রয়েছে তার সবকিছুই ডালের মধ্যে বিদ্যমান।
গরুর মাংস এবং খাসির মাংসঃ গরুর মাংস এবং খাসির মাংস তে চর্বি থাকে, তাই
বলা যায় গরুর মাংস এবং খাসির মাংসের তুলনায় ডাল অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এছাড়া
ডালের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টিগণ। আর
ডাল খাওয়ার সময় একটি কথা মাথায় রাখবেন। যাতে করে ডাল পাতলা হয়, পাতলা ডালে
উপকারিতা বেশি।
ডিমঃ ডিম হচ্ছে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। আমরা জানি ডিম
বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আপনারা যেভাবে খাবেন সেভাবেই পোষ্টি গুন পাবেন। ডিমের
মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মাধ্যমে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
ভাত এবং ভাতের মারঃ আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি।
তাই আমাদের দেশে এমন একটি মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা কিনা ভাত খায় না।
ভাত এমন একটি খাবার যেখানে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেড থাকে, যার শরীরের ওজন
বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
অন্যদিকে ভাতের মাড় আরেকটি পোষ্টটি সমৃদ্ধ খাবার, যা হালকা লবণের সাথে মিশিয়ে
খেতে পারলে, শরীরের ওজন বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
দেশি মুরগির মাংসঃ প্রতিদিন দুপুরে খাবারের তালিকায় মুরগির মাংস রাখতে
পারেন। কারণ মুরগির মাংসা থাকা উপাদান গুলো মানুষের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
আলুঃ আমাদের জানামতে আলু এমন একটি উপাদান যা প্রতিটি রান্নার সময়
প্রয়োজন হয়। আর এই আলুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন, খনিজ লবণ
এবং উদ্ভিজ প্রোটিন। তাই প্রতিদিন যে কোন রান্নার সাথে আলু সংযুক্ত করে রান্না
করে খাওয়ার পর দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
আপনারা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা জানতে চেয়েছেন সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন
বাড়ে। এমন কোন খাবার নেই যেই খাবারে খেলে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে যে আপনার
ওজন বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু কিছু কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার আপনার শরীরের জন্য
অনেক বেশি ভালো।
আর আপনারা যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে সেই সকল খাবারগুলো খেতে পারেন তাহলে আপনার
ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আপনারা এই সকল খাবার কোন নির্দিষ্ট সময়
পর্যন্ত খেলেই যে মোটা হবেন তা কিন্তু নয়।
এই সকল খাবার খাওয়ার কারণে লক্ষ্য করবেন আস্তে আস্তে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেনে নিন খাবার গুলো কি কি।
কলাঃ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন বি ৬। যার কারনে
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে
হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেহেতু কলা খাওয়ার কারনে যে কোন খাবার খুব সহজেই হজম হয়
তাই কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ভতাই প্রতিদিন ২ টি করে কলা
খাওয়া শুরু করুন।
খেজুরঃ খেজুরে উপস্থিত রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুন। যেমনঃ ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি। যা আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে এবং হজম শক্তি
বৃদ্ধি করে। আর সেই কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি
যদি চান আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে তাহলে প্রতিদিন সকালে কয়েকটি খেজুর খাওয়া শুরু
করুন।
দুধঃ আমরা সকলেই জানি দুধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। দুধ খাওয়ার
কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার হবার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি হয়। দুধে
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই নিয়মিত দুধ খাওয়ার কারণে
খুব সহজেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
ডিমঃ আমরা জানি দুধে ভিটামিন সি ব্যতীত বাকি অন্য সকল ভিটামিন উপস্থিত
রয়েছে। যা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রথম সারিতে থাকে। নিয়মিত
ডিম খাওয়ার কারণে আমাদের ত্বক থেকে শুরু করে চোখ পর্যন্ত ভালো থাকেন।
তাই আমাদের উচিত নিয়মিত ডিম খাওয়া। এগুলোর পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিতেও ডিমের ভূমিকা
অনেক বেশি। তাই প্রতিদিন একটি থেকে দুটি করে ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন
কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ওজনের পরিবর্তন হচ্ছে।
বাদাম এবং কিসমিসঃ বাদাম এবং কিসমিসে উপস্থিত অ্যামাইনো এসিড এবং প্রোটিন
আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও এ দুটি উপাদান আমাদের হজম
শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন
ঘুম থেকে উঠে কিছুটা পরিমাণ বাদাম এবং কিসমিস খাওয়া শুরু করুন।
চিনি যুক্ত খাবারঃ চিনি যুক্ত খাবার আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে কতটা উপকারী তা
আমরা সকলেই জানি। ওজন বৃদ্ধিতে চিনি যুক্ত খাবার সবার উপরে। আপনিও যদি আপনার ওজন
খুব সহজে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ঘুম থেকে উঠেই কিছু চিনিযুক্ত খাবার খান। যেমনঃ
বিস্কুট, কেক, ফলের জুস কিংবা চিনি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার।
রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে
ওজন কমানো যেমন একটি কঠিন ব্যাপার ঠিক তেমন কঠিন ব্যবহার হচ্ছে ওজন বাড়ানো। কেউ
কেউ ওজন কমানোতে ব্যস্ত আবার কেউ কেউ ব্যস্ত ওজন বাড়াতে। কিছু কিছু খাবার যেমন
ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিক তেমন কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে।
কিছু খাবার রয়েছে সেই সকল খাবার যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন
বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার যদি আপনি
রাতের বেলা ঘুমানোর আগে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাহলে এখন জেনে
নিন রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে।
- আপনি যদি আপনার ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে ভাত খাওয়া শুরু করুন। ভাতের ভেতর রয়েছে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি যা খুব সহজে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে।
- ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে অন্যান্য সবজির থেকে বেশি আলু খাওয়া শুরু করুন। আলুতে উপস্থিত প্রোটিন এবং ফাইবার আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় আলু যোগ করুন।
- ওজন বাড়াতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে বাদাম খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনার ব্রেন বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে। ঘুমানোর পূর্বে কিছুটা পরিমাণ বাদাম খেতে পারেন। এতে করে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- কলা যেমন সকালে খালি পেটে খেলেও আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঠিক তেমন রাতে ঘুমানোর পূর্বেও কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। কলা সকালে খান অথবা রাতে তার ভেতরে উপস্থিত উপাদান আপনার ওজন বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। তাই ঘুমানোর পূর্বে একটি অথবা দুটো কলা খেতে পারেন।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে যদি আপনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান তাহলে খুব সহজেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। এটিতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে ঠিক কিন্তু এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক হবে। তাই আমাদের পরামর্শ হবে এবং বাড়ানোর জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই না খাওয়া।
শেষ কথাঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা শিখতে পারলেন সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন
বাড়ে। আমরা আপনাদের যে পরামর্শ গুলো দিয়েছি এই পরামর্শ অনুযায়ী আপনার যদি
খাবার গুলো খেতে পারেন। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আর সর্বশেষ আপনার এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
সেই সাথে আমাদের লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া
শেয়ার করে দিবেন, ধন্যবাদ।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url