লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে ১০০% সঠিক তথ্য জানুন

মিনি স্ট্রোক হলে করনীয় কি আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হচ্ছে লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে।আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে লিভার শিরোসের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমরা আমাদের আর্টিকেল লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে এরমধ্যে লিভার সিরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ ও লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে

আশা করছি আপনারা লিভারসিটি রোগীর কতদিন বাঁচে আর্টিকেলটি পড়ে লিভার সিরোসিস সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানতে পারবেন যে সকল তথ্য আপনাদের উপকারে আসবে।

লিভার সিরোসিস কি

লিভার সিরোসিস কি এ বিষয় আমাদের অনেকের কাছে অজানা। আমরা অনেকেই জানিনা লিভার সুরেশ শিশু রোগটা আসলেই কি। লিভার সিরোসিস হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তির লিভারে দাগ দেখা দেয় তখন তাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়ে থাকে। 

লিভার সিরোসিসের কারণে আমাদের লিভারের বড় ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্য সম্পাদন করতে সহায়তা করে থাকে। আর যখন এই লিভারে দাগ দেখা দেয় তখন লিভার তার পর্যাপ্ত কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর সেই কারণে আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। 

লিভার সিরোসিস মদ্যপান এবং হেপাটাইসিস এর কারণ থেকে হতে পারে। লিভার সিরোসিস একটি অপরিবর্তনীয় ব্যাধি যা আমাদের শরীরে থাকা সুস্থ লিভার টিস্যুকে দাগের টিস্যুতে পরিবর্তন করে থাকে।

লিভার সিরোসিস কখন হয়

এতক্ষণ আমরা জানতে পারলাম লিভার সিরোসিস রোগটি আসলে কি। এখন আমরা আপনাদের জানার সুবিধার্থে লিভার সিরিশ রোগ কখন হয় তা আলোচনা করব। লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন কার্যকলাপ ব্যাহত করতে পারে। 

যখন কোন ব্যক্তির লিভার সিরোসিস দেখা দেয় তখন এই লিভার সিরোসিস দেখার কিছু কারণ থাকে। আমরা নিম্নে আপনাদের জানার সুবিধার্থে লিভার শিরোছিস কখনো হয় তা আলোচনা করলাম।
  1. যদি কোন ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে সেই ব্যক্তির লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
  2. কোন ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি রোগের আক্রান্ত হলেও সেই ব্যক্তির লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  3. কিছু কিছু ব্যক্তি অধিক পরিমাণে মদ্যপান করে থাকেন। সেই সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় দীর্ঘদিন যাবত মদ্যপান করার কারণে লিভারে দাগ হতে পারে।
  4. কিছু ব্যাক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সেই ব্যক্তি অটোইমিউন হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয় যার কারণে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম আমাদের লিভারে আক্রমণ করে যার ফলে লিভারের দাগ দেখা দিতে পারে।
  5. লিভারে অতিরিক্ত চর্বি হওয়ার কারণেও লিভারের ক্ষতি অথবা লিভারের দাগ সৃষ্টি হতে পারে।
  6. আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় পিত্তথলির বিভিন্ন রকম সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘদিন যাবত পিত্তথলির রোগের কারনেও অনেক সময় লিভারের ক্ষতি অথবা লিভারে দাগ দেখা দিয়ে থাকে।

লিভার সিরোসিস কি ভালো হয়

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী বলেছেন লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ যা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী ১৫ বছরে লিভার সিরোসিস হওয়ার একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াবে ফ্যাটি লিভার। লিভার সিরোসিস কোনরকম ক্যান্সার রোগ নয়। 

কিন্তু লিভার সিরোসিসের শেষ পরিণতি লিভার ক্যান্সার হতে পারে। এখন আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে লিভার সিরোসিস কি ভালো হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে লিভার সিরোসিস ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিভিন্ন রকম ঔষধ রয়েছে যে সকল ঔষধ সেবনের মাধ্যমে লিভার সিরোসিস ভালো হয়ে থাকে। লিভার সিরোসিস এর হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত সেই ঔষধ গুলো সেবন করতে হবে এবং জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। 

তাহলেই লিভার সিরোসিসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে লিভার সিরোসিসের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে লিভার প্রতিস্থাপনের দ্বারা লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

লিভার সিরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ

যদি কোন ব্যক্তি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয় তাহলে তার বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যে সে লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে তা কিন্তু নয়। একেকজনের একেক রকম ভাবে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। 

লিভার সিরোসিসের লক্ষণ প্রকাশ নির্ভর করে তার লিভারের ক্ষতির পরিমাণ এর উপর। লিভার সিরোসিস এর কারনে যদি লিভার অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে লক্ষণগুলো তীব্রভাবে প্রকাশ পেতে পারে। আবার সিরোসিসের কারণে লিভারে দাগ যদি অল্প পরিমাণে পড়ে তাহলে লক্ষণগুলো মৃদু প্রকাশ পেতে পারে। লিভার সিরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো আলোচনা করলাম।
  • ক্লান্তি ভাব দেখা দেবে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় পা ফুলে যায়।
  • ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
  • খুব সহজেই যে কোন ক্ষত থেকে রক্তপাত হতে পারে।
  • পেটে তরল জমা হতে পারে।
  • কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বমি বমি ভাব দেখা দিচ্ছে।
  • শরীরের রক্তনালী মাকড়সার মত দেখা দিতে পারে।
  • হঠাৎ ওজন কমে যেতে পারে।
  • শরীরে হলুদ ভাব অথবা জন্ডিস হতে পারে।
একজন ব্যক্তি যখন শিব লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয় তখন সেই ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে উপরোক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে। সকলের ক্ষেত্রেই সকল লক্ষণগুলো যে প্রকাশ পাবে তা কিন্তু নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো প্রকাশ নাও পেতে পারে।

লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে

আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হচ্ছে লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে। লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ যেই রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে রোগী মারা যাবে এটি ভাবা একেবারেই ভুল। লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচবে এটি নির্ভর করে লিভারটি কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর। লিভার সিরোসিস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
  1. কম্পেনসেটেড সিরোসিস
  2. ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস
কম্পেনসেটেড সিরোসিসঃ কম্পেনসেটেড সিরোসিসকে লিভারের মারাত্মক ক্ষতির কারণ বলা যাবে না। কারণ যখন কোন ব্যক্তি কম্পেনসেটেড সিরোসিস এ আক্রান্ত হয় তখন সেই ব্যক্তির কোনরকম লক্ষণ নাও প্রকাশ পেতে পারে। 

তাছাড়া বিভিন্ন রকম পরীক্ষার মাধ্যমেও এই সিরোসিস সহজে প্রকাশ পায় না। কম্পেনসেটেড সিরোসিস আক্রান্ত রোগী অনেকদিন বেঁচে থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৫০% রোগী নয় থেকে বার বছর বাঁচে এবং ৫০% রোগী নয় থেকে বার বছর এর কম সময় বেঁচে থাকে।

ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিসঃ ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস তখন হয় যখন কোন ব্যক্তির লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। যখন কোন ব্যক্তি ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার ভেতর বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর সেই সকল লক্ষণগুলো হয় চোখে পড়ার মতো। 

ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর জন্য খারাপ কিছু বয়ে নিয়ে আসে। যখন কোন ব্যক্তি ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস আক্রান্ত হয় তখন সেই ব্যাক্তি দুই বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ডিকম্পেনসেটেড সিরোসিস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৫০% রোগী দুই বছর বাঁচে এবং ৫০% রোগী দুই বছর এর আগেই মারা যায়।

তাই বলা যায় যে লিভার সিরোসিস রোগীর কত দিন বাঁচবে তা নির্ভর করে তার কোন ধরনের লিভার সিরোসিস হয়েছে। লিভার সিরোসিস যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে বিভিন্ন রকম ঔষধ দ্বারাও এই রোগ ভালো ভালো হয়ে যায়।

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়

লিভার সিরোসিস মানেই যে ভয়ঙ্কর কিছু তা কিন্তু নয়। লিভার সিরোসিস রোগ নিয়েও অনেক বছর বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু লিভার সিরোসিস হলেও সেটিকে কোনরকম অবহেলা করা যাবে না। আপনার ছোট অবহেলা নিতে পারে ভয়ংকর বড় আকার। 

কারণ লিভার সিরোসিসের ভয়ঙ্কর পরিণীতি হতে পারে লিভার ক্যান্সার। তাই অবশ্যই এটিকে অবহেলা না করে সচেতন হতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা করাতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয় তাহলে তা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা। 

প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঔষধ দ্বারা এই রোগ ভালো হয় কিন্তু অতিরিক্ত বেড়ে গেলে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হয়। লিভার সিরোসিসের চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের উচিত হবে আগে থেকেই কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাহলে জেনে নিন লিভার সিরোসিস প্রতিরোধ করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
  • লিভার সিরোসিসের একটি কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমা হওয়া তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং শরীরে চর্বি জমা হতে দেওয়া যাবে না।
  • অনেকে রয়েছেন খাবারের অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকেন খাবারে অবশ্যই পরিমিত লবণ খেতে হবে।
  • নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ব্যায়াম করতে হবে।
  • ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
  • শরীরে কোলেস্ট্রলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • মধ্যপানের কারণেও লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে তাই অবশ্যই মদ্যপান এবং ধূমপান হতে বিরত থাকতে হবে।
  • লিভার সিরোসিস হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস। তাই অবশ্যই হেপাটাইটিস প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করতে হবে।
  • বংশগতভাবে কোনরকম লিভার রোগ থাকলে সেই সকল রোগের সঠিক চিকিৎসা করাতে হবে।
  • যে কোন কাজে শুই অথবা ব্লেড ব্যবহার করার পূর্বে জীবাণুমুক্ত ব্যবহার করতে হবে।

লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার

যখন কোন ব্যক্তি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হবে তখন সেই ব্যক্তির খাবারের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ লিভার সিরোসিস হওয়ার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে খাদ্যাভাস। অ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের কারণেও লিভারে সিরোসিস হয়ে থাকে। 

তাই যদি কোন ব্যক্তি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে খাবারের দিকে নজর না দেয় তাহলে এই রোগ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই অবশ্যই খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার তালিকা আলোচনা করলাম।
  • ডিম ৪/৬ টি
  • দুধ
  • মুড়ি
  • বিস্কুট
  • সালাদ
  • গ্রীন টি
  • দই
  • ঘি
  • মাখন
  • রুটি
  • পাস্তা
  • ভাত
  • শাক সবজি
  • আঁশযুক্ত ফল
  • প্রোটিন যুক্ত খাবার
  • চর্বি ছাড়া যে কোনো মাংশ
  • সামুদ্রিক মাছ
  • আচার
  • প্রোবায়োটিক
  • গ্লুকোজের পানি
  • ফলের রস
  • ডাবের জল

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে এবং লিভার সিরোসিস রোগের চিকিৎসা কি হবে এবং তাদের খাদ্যাভাস কেমন হবে। লিভার সিরোসিস হলে অবশ্যই তাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 

লিভার সিরোসিস হওয়ার পূর্বেই আমাদের সকলের উচিত হবে আমাদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করা। কারণ যেকোন রোগ হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তি পেতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। 

তাই আমাদের সকলের উচিত কোন রোগ হওয়ার পূর্বেই সচেতনতা অবলম্বন করা। লিভার সিরোসে সম্পর্কে আপনাদের কোন রকম প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

''ধন্যবাদ''

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url