ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
কোরআন থেকে মেয়েদের নাম জানুনএকটি শিশু পৃথিবীতে জন্ম নেয়ার পর তার সবথেকে উৎকৃষ্ট খাবার হচ্ছে মায়ের বুকের
দুধ। আর যে সকল মায়েদের বুকে দুধ আসেনা তারা অনেক চিন্তায় পড়ে যান। তাই আমাদের
আজকের ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলে মায়ের দুধ এর ঘাটতি পূরণ করার
লক্ষ্যে, ছোট্ট শিশুদের দুধের বিকল্প খাবার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের পাউডার এবং
গুড়া দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে বলব। আমাদের লেখা ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলে
আপনারা বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করছি আপনাদের
প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পাবেন।
ভূমিকাঃ ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম
আপনার আশেপাশে মুদি দোকান থেকে শুরু করে বাজারের যে কোন দোকানে শিশুদের দুধের
বিকল্প হিসেবে খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পাউডার এবং গুঁড়া দুধ পেয়ে যাবেন।
আর মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে সবথেকে ভালো একটি প্রোডাক্ট হলো ল্যাকটোজেন
১।
কিন্তু আমাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছে, যারা ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানোর বয়স,
ল্যাকটোজেন ১ এর দাম কত? ল্যাকটোজেন খাওয়ার উপকারিতা, ল্যাকটোজেন বানানোর নিয়ম,
ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানে না। ল্যাকটোজেন ১ হচ্ছে একটি ইনফান্ট
ফর্মুলা।
যে সকল ছোট্ট শিশুর জন্মের পর থেকে ভালোভাবে মায়ের বুকের দুধ পান করতে না পারে
সেই সকল শিশুদের জন্য ল্যাকটোজেন ১ হচ্ছে ম্লিক বেইজড ইনফ্যান্ট ফর্মুলা।বাজারের
যেকোনো মুদি দোকানে আপনারা শিশুর বয়স অনুযায়ী দেখতে পারবেন যেমন- ল্যাকটোজেন ১,
ল্যাকটোজেন ২, ল্যাকটোজেন ৩ রয়েছে।
এক্ষেত্রে মায়ের দুধ এর বিকল্প কোন কিছুই হয় না। কিন্তু জন্মের পর থেকে ৬ মাস
বয়স পর্যন্ত ল্যাকটোজেন ১ আপনার ছোট্ট শিশুকে খাওয়াতে পারবেন। ল্যাকটোজেন এ
রয়েছে প্রয়োজনীয় পোস্টে উপাদান যেমন - প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন,
ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক সহ আরো বিভিন্ন
ভিটামিনের গুনাগুন।
এক্ষেত্রে আপনার শিশুকে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ল্যাকটোজেন খাওয়ানোর আগে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়াবেন। তো আসুন আর সময় নষ্ট না করে
ল্যাকটোজেন ১ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
ল্যাকটোজেন ১ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ল্যাকটোজেন ১ আপনাদের ছোট বাচ্চাদের জন্য ততক্ষণ নিরাপদ যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি
সঠিক নিয়মে খাওয়াচ্ছেন। ল্যাকটোজেন ১ এই ফর্মুলার তেমন কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে।ল্যাকটোজেন হচ্ছে মায়ের দুধের বিকল্প দুধ।
তার জন্য সতর্কতার সাথে প্রতিবাদ দুধ তৈরি করার সময় ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে
দুধ তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মের বাহিরে কোন কাজ করলে আপনার শিশু অসুস্থ
বা স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগতে পারে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর প্রতিবার ফর্মুলা তৈরির
পূর্বে প্রস্তুত প্রণালী নিয়মটি ভালোভাবে জেনে নিবেন।
ল্যাকটোজেন ১ এর দাম কত?
ল্যাকটোজেন ১ এর ফর্মুলা হচ্ছে সুইজারল্যান্ড দেশের একটি জনপ্রিয় প্রোডাক্ট। আর
এটি বাংলাদেশ একমাত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো নেসলে বাংলাদেশ লিঃ। ল্যাকটোজেন
১ প্রোডাক্টটি কিনে নেওয়ার আগে অবশ্যই উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ
ভালোভাবে দেখে নিবেন।
আরও পড়ুনঃ কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ল্যাকটোজেন ১ এর বর্তমান বাজার দার হচ্ছে ১৮০ গ্রাম, ল্যাকটোজেন 1 সর্বোচ্চ খুটরা
মূল্য বিক্রি হয় ২৬০ টাকা। যেহেতু শিশুকে এক মাস বয়স থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত
ল্যাকটোজেন ১ যেহেতু খাওয়াতে হয়, সেহেতু আপনারা তিন থেকে চার প্যাকেট কিনে
নেয়ার ফলে পাইকারি দাম অর্থাৎ কম দামে নিতে পারবেন।
ল্যাকটোজেন ১ এর উপকারিতা সমূহ
একটি শিশু বাচ্চা জন্মের পর তার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো মায়ের বুকের
দুধ। কিন্তু অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য খাওয়ানোর সুযোগ থাকে না
এক্ষেত্রে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানো হয়ে থাকে। উক্ত ল্যাকটোজেন ১ দুধে এমন কিছু
উপকারিতা আছে। যা শিশুর বেড়ে ওঠা এবং দুধের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
ল্যাকটোজেন ১ দুধের বিকল্প এই পণ্যে রয়েছে- কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, মস্তিষ্ক,
ভিটামিন, আইরন, খনিজ উপাদান ইত্যাদি। এই প্রতিটি উপাদান একটি শিশুর জন্য অনেক
কার্যকরী। ল্যাকটোজেন ১ শিশুকে খাওয়ানোর ফলে শিশুর শরীরে রক্ত কণিকা গঠন হওয়া
শুরু করে এবং শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণের অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
সেই সাথে শিশুর শরীরের হাড় ও দাঁত এ যে পরিমাণের ক্যালসিয়াম দরকার হয় এই দূর
থেকে সেই পরিমাণের ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই বলা যায় এই ধরনের দুধ খাওয়ানোর
ফলে শিশুর হাড় এবং দাঁত শক্ত ও মজবুত হয়। একটি ছোট্ট শিশুর যে পরিমাণ এর দুধের
চাহিদা থাকে এই দুধ খাওয়ানোর ফলে শরীরের সেই মোতাবেক চাহিদা সঠিক ভাবে পূরণ হয়ে
যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হতে শুরু করে যত বড় বড় চিকিৎসালে রয়েছ। সেগুলোর মতে
মায়ের দুধে শিশুর জন্য উপযোগ, তবে যখন তা সরবরাহ করা সম্ভব হয়ন। তখন এই
ল্যাকটোজেন ১ দুধ খাওয়ানো উচিত। আর ল্যাকটোজেন ১ এর সব থেকে বড় উপকারিতা হচ্ছে
এটি শিশুকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখার একটি অন্যতম হাতিয়ার।
ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স
ল্যাকটোজেন ১ সে সকল শিশুদের জন্য প্রয়োজন। যারা মূলত পৃথিবীতে আসার পর থেকে
মায়ের দুধ পান করতে পারছে না অর্থাৎ যারা একেবারেই নবজাতক তাদের জন্য।
ল্যাকটোজেন ১ দুধ তৈরি করা হয়েছে শূন্য-০ থেকে ছয়-৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের
জন্য।
আর এই দুধ প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে খাওয়ানোর নিয়ম পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ
একেক সপ্তাহে একেক নিয়মে খাওয়াতে হয়। বিশেষ করে ছোট বাচ্চার বয়স যখন ধীরে
ধীরে বাড়তে থাকে। তখন ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানোর নিয়ম পরিবর্তন হতে থাকে।
শিশুর বয়স 6 মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে কখনোই তাদেরকে ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ানো উচিত
হবে না। কারণ ছয় মাস পরে শিশুদের জন্য বিভিন্ন দুধ আছে তাদেরকে সেই সময় সেই
ধরনের দুধ খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত শিশুকে ল্যাকটোজেন ২
খাওয়াতে হবে।
ল্যাকটোজেন ১ বানানোর নিয়ম
ল্যাকটোজেন ১ তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ল্যাকটোজেন
১ তৈরি করার ব্যবহৃত সামগ্রী ভালোভাবে ধরে নিতে হবে। ল্যাকটোজেন ১ তৈরি সময়
ব্যবহৃত সামগ্রী পানিতে অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে ব্যবহার না করা পর্যন্ত
ভালোভাবে ঢেকে রাখবেন। এরকমভাবে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ফোটানো পানি ঠান্ডা
করবেন।
তারপর আপনারা ঢাকনা যুক্ত পাত্রে সঠিক পরিমাণ কুসুম গরম পানি নিয়ে নেবেন।
লেকটোজেনের প্যাকেট থেকে ফর্মুলা নিবেন। ফর্মুলা অর্থাৎ ল্যাকটোজেন ১ এর পাউডার
ভালো ভাবে মিশিয়ে যত তাড়া তাড়ি সম্ভব বাচ্চাকে খাওয়াবেন। আরেকটি কথা মাথায়
রাখবেন ল্যাকটোজেন এক শিশুকে প্যাকেট খোলার তিন সপ্তাহের মধ্যে খাওয়ানোর শেষ
করতে হবে।
ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম
ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনারা সে নিয়ম অনুযায়ী শিশুকে ল্যাকটোজেন
১ খাওয়ানোর ফলে মায়ের দুধের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন৷ তো চলুন ল্যাকটোজেন ১
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসি।
১। শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন তাকে দুধ খাওয়ানোর নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে।
এবং যখন শিশু আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে তখন তাদের দুধ খাওয়ার নিয়মটি ভিন্ন হয়।
২। যখন একটি শিশুর বয়স ১-২ সপ্তাহ পূরণ হবে। তখন সেই শিশুদেরকে
ল্যাকটোজেন এক খাওয়াতে হবে। এবং দিনে ছয়বার করে এই দুধ খাওয়াতে হবে সেই সঙ্গে
৯০ মিলির ফিডারে মিশাতে হবে। এই পরিমাণের বেশি কখনই দেয়া যাবে না।
৩। ছোট্ট বাচ্চার বয়স যখন দুই সপ্তাহর বেশি হবে, মানে তিন থেকে চার
সপ্তাহ পূরণ হবে। তখন শিশুদের ১২০ মিলি পানিতে চার চামচ পরিমাণ ল্যাকটোজেন এক
দিতে হবে। এবং রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচবার খাওয়াতে হবে।
৪। এক্ষেত্রে শিশুর বয়স যখন দুই মাস পূরণ হবে। তখন শিশুর খাবারের চাহিদা
বেশি হবে। তখন সে শিশুকে ১৫০ মিলি ফিটারে ল্যাকটোজেন এক মিশিয়ে 24 ঘন্টায় চার
থেকে পাঁচ বার খাওয়াতে হবে।
৫। শিশুর বয়স যখন তিন মাস হতে চার মাস পূরণ হবে এই মাসে শিশুকে ১৮০ মিলির
ফিটারে ছয় চামচ পরিমাণ ল্যাকটোজেন এক মিশিয়ে। ২৪ ঘন্টায় ৫ থেকে ৬ বার খাওয়াতে
হবে।
৬। শিশুর বয়স যখন পাঁচ মাস বা ছয় মাস পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে
২১০ মিলি ভিতরে সাত চামচ পরিমাণ মিশিয়ে ২৪ ঘন্টায় ৫ থেকে ৬ বার খাওয়াতে হবে।
ছোট্ট শিশুদের শূন্য থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম একই
রকম। কিন্তু বয়সের দিকে বিবেচনা করে, খাবারের পরিমাণ এর সংখ্যা একটু বৃদ্ধি করতে
হবে।
শেষ কথাঃ ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম
আমাদের আজকের এই কনটেন্টে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিলাম। যেসকল মায়েদের শিশু জন্মের
পর বুকের দুধ খাওয়ানো সম্ভব হয় না অর্থাৎ মায়ের বুকের দুধ থাকে না। তারা
বাজারে যেকোন দোকানে গিয়ে ল্যাকটোজেন ১ কিনা নিয়ে এসে বাচ্চাকে খাওয়াতে
পারবেন।
এছাড়া ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার নিয়ম কি এবং ল্যাকটোজেন ১ এর দাম কত? সে বিষয়ে
বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন এ কনটেন্ট সম্পর্কে আপনার যদি আরো
কিছু জানার থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব
সহায়তা করার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url