কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
হাতিশুর গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানুনআজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সামনে কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
আলোচনা করব। কাতিলা গাম শুধুমাত্র খাওয়ার ফলে উপকার পাওয়া যায় না এটি খেয়ে
উপকার পেতে হলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে খেতে হবে। তাই কাতিলা গাম খাওয়ার পূর্বে
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে। এছাড়াও আমরা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
আর্টিকেলে কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করব।
আশা করছি আপনারা আমাদের লেখা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ে কাতিলা
গাম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য খুঁজে পাবেন।
কাতিলা গাম কি?
অনেকেই রয়েছেন যারা এই শব্দটি প্রথম শুনছেন। আবার অনেকেই কাতিলা গামের গুণাগুণ
সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন। আসলেই কাতিলা গাম কি তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কাতিলা
গাম এক ধরনের পলিসেকারাইড।
আরও পড়ুনঃ মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয় জানুন
যা এক ধরনের প্রাকৃতিক আঠা বলা যায়। এই আঠা আ্যাস্ট্রাগালাস প্রজাতি এর
মধ্যপ্রাচ্যে থেকে সংরক্ষিত করা হয়। কাতিলা গাম দেখতে সাদা অথবা হালকা লালচে
বর্ণের হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের শক্ত আঠা। এই শক্ত আঠা যদি কয়েক ঘন্টার জন্য
পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে তা ফুলে ওঠে এবং নরম হয়ে যায়।
এই আঠা মানব দেহকে সুস্থ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। কারণ কাতিলা গামের
মধ্যে রয়েছে ফলিক এসিড এবং প্রোটিন। যা একজন মানুষের শরীরের জন্য অনেক বেশি
উপকারী।
কাতিলা গাম খেলে কি হয়?
এখন আপনাদের অনেকের মনের মাঝে প্রশ্ন জাগতে পারে কাতিলা গাম যেহেতু এক ধরনের আঠা
তাহলে এই কাতিলা গাম খেলে কি হয়? কাতিলা গাম এক ধরনের আঠা হওয়ায় এটি খাওয়া
নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধাদ্বন্দ সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই আঠা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান
করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যেকোন দ্বিধাদ্বন্দ ছাড়াই কাতিলা গাম খেতে পারেন।
কাতিলা গাম খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ সাজনা পাতার অপকারিতা জেনে নিন
এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তির প্রসাবের পূর্বে জ্বালাপোড়া করে তাহলে এই সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে কাতিলা গাম খাওয়া যায়। তাছাড়া বীর্য ঘন করতে কাতিলা গামের গুরুত্ব
অনেক বেশি।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
কাতিলা গামকে এক ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার ও বলা যেতে পারে। কারণ এটি আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কাতিলা গাম খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো
নিয়ম মানতে হয় না। শুধুমাত্র খাওয়ার পূর্বে কিছু টিপস অনুসরণ করলেই কাতিলা গাম
থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাহলে এখন জেনে নিন সেই টিপস গুলো কি।
প্রথম টিপসঃ এক গ্লাস এর থেকে একটু কম পানি নিতে হবে আর সেই পানিতে এক
চামচ কাতিলা গাম দিতে হবে। এভাবে পানির ভেতরে কাতিলা গাম দুই থেকে তিন ঘন্টা
ভিজিয়ে রাখতে হবে। কাতিলা গাম পুরোপুরি ভিজে যাওয়ার পর নরম হয়ে ফুলে উঠবে। যা
দেখতে অনেকটা জেলির মত হবে।
এখন আপনি কাতিলা গাম খেতে পারেন। যদি ডায়াবেটিস এর সমস্যা না থাকে তাহলে এর সাথে
সামান্য পরিমাণ মধু অথবা চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে অথবা
ঘুম থেকে উঠে এভাবে কাতিলা গাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় টিপসঃ কাতিলা গাম ভেজানোর কারণে যেহেতু জেলির মত হয়ে যাবে
সেহেতু অনেকে নাও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি দুধ অথবা শরবত এর সাথে কাতিলা গাম
মিশিয়ে খেতে পারেন। কাতিলা গাম সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
তৃতীয় টিপসঃ যে সকল ব্যক্তি প্রসাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা
নিয়মিত কাতিলা গাম এক মাস খেলে এই সমস্যা সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। খাওয়ার নিয়ম
হচ্ছে প্রতিদিন রাতে এক চামচ কাতিলা গাম ১ গ্লাস পানিতে এক ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর
সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি সহ কাতিলা গাম খেয়ে নিতে হবে।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম সঠিক পরিমাণ
আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছেন যারা কাতিল গাম খাওয়ার সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানেন
না। এজন্য অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দে করেন কতটুকু খেতে হবে সেই বিষয় নিয়ে। যদি
এমনটা হয় তাহলে আপনার এই দ্বিধা দ্বন্দ্ব দূর করব আমরা। কাতিলা গাম খাওয়ার সঠিক
পরিমাণ জেনে নিন।
- যদি কাতিলা গাম খাওয়া প্রথম শুরু করেন তাহলে প্রথমে পাঁচ গ্রাম দিয়ে শুরু করবেন। তারপর আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
- প্রতিদিন কাতিলা গাম ১০ থেকে ১৫ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
কাতিলা গাম খাওয়ার নির্দিষ্ট সময়
কাতলা গাম থেকে যদি সঠিক পরিমাণ উপকারিতা ভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক সময়ে
কাতিলা গাম খেতে হবে। কাতলা গাম খাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যদি সেই
নির্দিষ্ট সময়ে খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তা থেকে উপকারিতা পাবেন। কাতিলা গাম
খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় জানুন।
- কাতিলা গাম খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে সকাল অথবা রাতে।
- সকালে খালি পেটে কাতিলা গাম খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- এছাড়াও খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে কাতিলা গাম খেলে উপকারিতা রয়েছে।
কাতিলা গাম প্রস্তুত প্রণালী
কাতিলা গাম তো এক ধরনের আঠা তাহলে এটি কিভাবে খাব এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে।
এমন প্রশ্ন জাগার প্রধান কারণ হচ্ছে তিনি কাতিলা গাম খাওয়ার পূর্বে কিভাবে
প্রস্তুত করতে হয় তা জানেন না। জেনে নিন কাতিলা গাম কিভাবে খাবেন অথবা প্রস্তুত
প্রণালী।
পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেনঃ কাতিলা গাম রাতের বেলা একটি গ্লাসে পানির ভেতর
ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে দেখবেন এটি ভিজে গেছে এবং নরম হয়ে গেছে। এখন এটি আপনার
জন্য খাবার যোগ্য হয়ে গেছে।
দুধে ভিজিয়ে খেতে পারেনঃ অনেকেই কাতিলা গাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে
পারেন না। সে ক্ষেত্রে পানির পরিবর্তে দুধে ভিজেও কাতিলা গাম খাওয়া যেতে পারে।
এক গ্লাস গরম দুধ নিন। সেই দুধের ভেতর কাতিলা গাম ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। লক্ষ্য
করবেন কাতিলা গাম ভিজে নরম হয়ে গেছে। এবার এটি আপনার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
মিষ্টি দিয়ে খেতে পারেনঃ কাতিলা গাম খাওয়ার ক্ষেত্রে তার স্বাদ যদি
আপনার ভালো না লাগে তাহলে কাতিলা গামের সাথে কিছুটা পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় খাবার
মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার কাতিলা গাম খাবার ক্ষেত্রে অনিহা দূর হবে।
রান্না করে খেতে পারেনঃ কাতিলা গাম আপনি চাইলে রান্না করেও খেতে পারবেন।
বিভিন্ন রকম সবজি কিংবা ডালের সাথে রান্না করেও কাতিলা গাম খাওয়া যায়।
কাতিলা গাম খাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা
যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা অবশ্যই কাতিলা গাম খাওয়ার পূর্বে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া শুরু করবেন।
- কাতিলা গাম ভেজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাতিলা গাম অনেক বেশি উপকারী কিন্তু খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা
কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কাতিলা গামে রয়েছে বিভিন্ন রকম গুনাগুন। তাই
শারীরিক বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই কাতিলা গাম ব্যবহার করে থাকেন।
এটি এক ধরনের ঔষধি উদ্ভিদ ও বলা যেতে পারে। আগেকার সময়ে কাতিলা গাম অনেক
জনপ্রিয় ছিল।
কিন্তু আস্তে আস্তে কাতিলা গাম বিলুপ্ত প্রায়। এখনকার জেনারেশনের অনেকেই কাতিলা
গাম সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের
জানানোর চেষ্টা করব কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমাদের মাঝে অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
কত কি না করে থাকে। কখনো কখনো না খেয়ে শারীরিকভাবে দুর্বল ও হয়ে পড়ে। এছাড়াও
হাজার ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে ব্যায়াম করে থাকে।
তাও অনেক সময় ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। কোনভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণ হয় না। এ
সমস্যা সমাধান করার কার্যকরী উপাদান হতে পারে কাতিলা গাম। কারণ কাতিলা গাম
অতিরিক্ত মেদ ও ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে।
হাত এবং পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করেঃ হাতের এবং পায়ের
জ্বালাপোড়া শুরু হয় গরমকালে অনেকেরই। আর সে কারণেই পায়ের কাছে সব সময় একটি
ফ্যান লাগিয়ে রাখেন। খালি পায়ে হাঁটতে পারেন না। আপনি যদি এমন সমস্যায় পড়ে
থাকেন তাহলে নিয়মিত কাতিলা গাম খাওয়া শুরু করুন। এতে করে আপনার জ্বালাপোড়া
বন্ধ হয়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ কাতিলা গাম এ রয়েছে বিশেষ ধরনের
এনজাইম। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও অনেক
বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত কাতিলা
গাম খান।
যৌন দুর্বলতা দূর করেঃ যৌন দুর্বলতা এক ধরনের গোপনীয় রোগ। যে রোগের
ব্যাপারে সহজেই কারো সাথে আলোচনা করা যায় না। এই রোগ সম্পর্কে যদি আপনি কারো
সামনে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ না করেন তাহলে আজ থেকেই কাতিলা গাম খাওয়া শুরু
করুন। এর যাদুকরি প্রভাব কিছুদিনের মধ্যেই লক্ষ্য করতে পারবেন।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারীঃ গর্ভবতী মায়েদের কাতিলা গাম শারীরিক শক্তি
যোগাতে সাহায্য করে। যে সকল গর্ভবতী মহিলারা শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করেন তারা
এই দুর্বলতা কাটাতে কাতিলা গাম খান এর সুফল দেখতে পাবেন। কিন্তু অবশ্যই খাওয়ার
পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃ কাতিলা গাম খাওয়ার কারণে
মানুষের শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে। তাই এটি হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমাতে অনেক
বেশি সাহায্য করে। কারণ যখন কোন ব্যক্তির শরীরের অতিরিক্ত গরম বৃদ্ধি পায় তখন
হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বাড়ে। কাতিলা গাম খাওয়ার কারণে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে
যায়।
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ যে কোন খাবার খাওয়ার পরেই যদি সেই খাবার
ঠিকমতো হজম না হয় তাহলে সেটি যেন একটি বিরক্তিকর বিষয় মনে হয়। কাতিলা গামে
উপস্থিত ফাইবার মানুষের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও যারা পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যায় ভুগছেন তারা নিঃসন্দেহে কাতিলা গাম খেতে
পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন।
কাতিলা গাম এর অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তার পাশাপাশি রয়েছে অপকারিতা। তাই কাতিলা
গাম এর উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অপকারিতা। যদি আপনি সেই সকল অপকারিতা সম্পর্কে
না জানেন তাহলে হতে পারে নানা রকম সমস্যা। আর সেই সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে
মহাবিপদ।
তাই অবশ্যই কাতিলা গাম খাওয়ার পূর্বে তার অপকারিতা গুলো ভালোভাবে জানুন। কাতিলা
গাম এক ধরনের আঠা জাতীয় উপাদান। তাই যদি এই আঠা ভালোভাবে মিশিয়ে না খান তাহলে
দেখা দিবে মহাবিপদ। ঠিক ভাবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে মিশিয়ে না খাওয়ার
কারণে এটি আপনার অন্ত্রকে করে দিবে ব্লক।
তাই এটি খাওয়ার পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে।
এছাড়াও এটি ভালোভাবে মিশিয়ে না খেলে হজমজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কারো কারো
ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। যদি এমনটা হয় তাহলে এটি খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন।
কাতিলা গাম কোথায় পাওয়া যায়
আমরা কাতিলা গাম এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে উপরে আপনাদের সামনে তুলে
ধরেছি। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই কাতিলা গাম কোথায় পাওয়া যায়।
কাতিলা গাম যেহেতু এক ধরনের ভেষজ উপাদান সেহেতু আপনারা এটি যে কোন ভেষজ ঔষধ এর
দোকানে পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও অনেক অনলাইন শপ রয়েছে যে সকল শপে আপনারা কাতিলা গাম পেয়ে যাবেন।
লেখকের মন্তব্য
আমরা যেহেতু আপনাদের সামনে কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও কাতিলা গাম এর উপকারিতা
এবং অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম সেহেতু আশা করা যায় যে আপনারা কাতিলা গাম
সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
তাই অবশ্যই কাতিলা গাম খাওয়ার পূর্বে সব তথ্য ভালোভাবে পড়ে তারপর খাওয়া শুরু
করবেন। কাতিলা গাম সম্পর্কে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আপনারা
কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url