ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

মিনিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়আপনি কি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি নিয়ে চিন্তিত আছেন? যদি এমনটা হয় তাহলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধের সবচেয়ে কার্যকরী পিল হচ্ছে ইমার্জেন্সি পিল। আপনি যদি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে ইমার্জেন্সি পিল মাসে কয়বার খাওয়া যায় তা আলোচনা করেছি।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম


আশা করছি আপনারা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ে ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।

ইমার্জেন্সি পিল কি

ইমার্জেন্সি পিল কি এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা অনেকেরই অনেক কম। অনেকেই রয়েছেন যে মনে করেন ইমার্জেন্সি পিল অন্যান্য সাধারণ পিলের মতই সারা মাস জুড়ে খেতে হয়। কিন্তু ইমার্জেন্সি পিল অন্যান্য পিলের মত মাস জুড়ে খেতে হয় না। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে এই পিল অনেক বেশি কার্যকরী। 

এই পিলের কার্যকারিতা এত বেশি যে প্রতি ১০০ জন নারীর ভেতর দুইজন নারী ইমার্জেন্সি পিল  সেবন করার পরেও গর্ভধারণ হতে পারে। তাই আপনি আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি রোধের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারেন।

ইমার্জেন্সি পিল দাম

ইমার্জেন্সি পিলের কার্যকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি রোধে ইমার্জেন্সি পিলের জনপ্রিয়তা ও অনেক বেশি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন ইমার্জেন্সি পিলের দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও স্থান ভেদেও পিলের দামের ভেতর কিছুটা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ইমার্জেন্সি পিলের দাম আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
  1. পিউলি                  ১৯৫ টাকা
  2. ইমকন                   ৬৫ টাকা
  3. নোরিক্স                  ৬০ টাকা

ইমার্জেন্সি পিল কোনটি ভালো

আপনি কি ইমার্জেন্সি পিল কোনটি ভালো সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে জেনে নিন কোন ইমার্জেন্সি পিল সবথেকে ভালো। অনাকাঙ্ক্ষিত জন্মনিয়ন্ত্রনে ইমার্জেন্সি পিল অনেক বেশি কার্যকরী হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা ও অনেক বেশি। 

অনেকেই এখন অসাবধানতা বসত শারীরিক সম্পর্কের পর ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকেন। তাই বাজারে এখন ইমার্জেন্সি পিলের চাহিদাও অনেক বেশি। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ইমার্জেন্সি পিল দেখা যায়। তবে ইমার্জেন্সি পিলের মধ্যে ইমকন ১ ও নোরিক্স পিল সব থেকে ভালো পিল।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

ইমার্জেন্সি পিল যাকে আমরা জরুরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হিসাবে জেনে থাকি। কোনরকম অনাকাঙ্ক্ষিত জন্মনিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিলের ভূমিকা অনেক বেশি। অনাকাঙ্ক্ষিত জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে ইমার্জেন্সি পিল অনেক বেশি কার্যকরী। অনাকাঙ্ক্ষিত জন্মনিয়ন্ত্রনে বলা যায় যে ১০০% এর ভেতর ৯৯% ইমার্জেন্সি পিল কাজ করে। 

ইমার্জেন্সি পিলের আরেকটি নাম হচ্ছে মর্নিং আফটার পিল। মর্নিং আফটার পিল নাম মানে এই নয় যে এই পিল মর্নিং এ খেতে হয়। শারীরিক সম্পর্ক করার পর যত দ্রুত এই পিল খাবে এর কার্যকারিতা তত বেশি দেখা যাবে। অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক করার পর ৭২ ঘন্টা থেকে শুরু করে তিন দিনের মধ্যে এই পিল সেবন করতে হয়। 

কিছু ইমার্জেন্সি পিলের ক্ষেত্রে তিন দিন আবার কিছু পিলের ক্ষেত্রে সাত দিন আবার কিছু ক্ষেত্রে ২১ দিনে খেতে হয়। ইমার্জেন্সি পিল কত দিনে খেতে হবে সেটি প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে প্যাকেটে লিখা নির্দেশাবলী গুলো পড়তে হবে। 

জন্মনিয়ন্ত্রনে ইমার্জেন্সি পিলের কার্যকারিতা ৯৯% হলেও মনে রাখতে হবে ১০০% নয়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও প্রেগন্যান্ট হতে পারে। তাই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও যদি মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল খেলে সবার ক্ষেত্রেই যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে তা কিন্তু নয়। আরো কারো ক্ষেত্রে কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা নাও হতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি হতে পারে জেনে নিন।
  • হঠাৎ করে ওজন কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • মাসিক সময়ের পূর্বে অথবা সময়ের পরে হতে পারে।
  • মাসিকের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা দিতে পারে।
  • দীর্ঘ সময় ধরে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণে এর কার্যকারিতা কমে যায় এবং গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর অনেকেই চিন্তিত থাকেন পিরিয়ড অথবা মাসিক নিয়ে। আপনি যদি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর হয় এই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সাথে মাসিকের কোন সম্পর্ক আছে কিনা। 

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সাথে মাসিকের সম্পর্ক রয়েছে। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণে কখনো কখনো মাসিকের বিলম্ব হতে দেখা দেয় যাই। কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কারণে মাসিকের তারিখ হতে ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত দেরি হয়। 

কিন্তু সকলের ক্ষেত্রেই যে এমনটা হয় তা কিন্তু নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে মাসিকের বিলম্ব নাও হতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল যেহেতু শুধু মাত্র জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে তাই এই পিল মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে না। তাই শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি রোধের ক্ষেত্রে এই পিল ব্যবহার করতে পারেন।

ইমার্জেন্সি পিল মাসে কয়বার খাওয়া যায়

ইমার্জেন্সি পিল ক্ষণস্থায়ী জন্মনিরোধক। এটি কোন স্থায়ী পদ্ধতি নয়। শুধুমাত্র অপরিকল্পিতভাবে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্থায়ীভাবে এই পিল ব্যবহার করা যাবে না। ইমার্জেন্সি পিল এক মাসে আপনি দুই থেকে তিন বার খেতে পারেন। এক মাসে ইমার্জেন্সি পিল তিনবারের বেশি খেলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

তাই অতিরিক্ত ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া কখনোই ঠিক নয়। শুধুমাত্র অপরিকল্পিত ভাবে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাসে একটি কিংবা দুইটি ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারেন। তাছাড়া স্থায়ীভাবে যেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করেন সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া থেকে কারা বিরত থাকবেন

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম বাধা-নিষেধ নেই। যে কোন মহিলা ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু কিছু মহিলারা রয়েছেন যারা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

যেসকল মহিলারা ইতিমধ্যেই গর্ভধারণ করে ফেলেছেন কিন্তু বুঝতে পারেননি তারা যদি শারীরিক সম্পর্কের পর ইমার্জেন্সি পিল খান তাহলেও এর কোন কার্যকারিতা দেখা যাবে না। যদি কোন মহিলার ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরে কোনরকম এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তিনি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

যেসকল মহিলার মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত যায় অথবা যে সকল মহিলার অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী পিল খেতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করছি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ইমার্জেন্সি পিল কোনটি ভালো এবং ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি। 

কখন এবং কোন নিয়মে ইমার্জেন্সি পিল খাবেন। কখন ইমার্জেন্সি ফিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আমি আপনাদের মাঝে ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমি আপনাদেরকে ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url