ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় কি এবং সঠিক লক্ষণ জানুন

কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয় জানুনআজকাল মেয়েদের একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রেস্টে টিউমার। যা অনেক সময় ক্যান্সারের আকার ও ধারণ করে থাকে। আপনি যদি এটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে প্রথমে আপনাকে ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। আর আপনি যদি ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার লেখা ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে আমি ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ আলোচনা করেছি।
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়


তাই ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার পূর্বেই সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং সচেতন হতে আমার লেখা আর্টিকেল ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

ব্রেস্টে ব্যথা হওয়ার কারণ

অনেক সময় মহিলাদের ব্রেস্টে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়। আর এর ব্যথা সম্পর্কে তারা সহজেই কারো সামনে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে সকল মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হচ্ছে তারা তাদের ব্যথার কথা নিজেদের ভেতর রেখে দিচ্ছে। 

যদি সেই ব্যথা ছোটখাটো কোন কারনে হয় তাহলে তা কোন সমস্যা হয় না আস্তে আস্তে সে ব্যথা কমে যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ব্রেস্টে টিউমারের কারণে ব্যথা হচ্ছে আর তা কারো সামনে আলোচনা না করে দিনের পর দিন চুপ করে থাকছে। আর যার ফলে এর পরিনিতি হচ্ছে ক্যান্সার। 
তাই যদি কোন মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই প্রথমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে কি কারনে ব্রেস্টে ব্যথা হচ্ছে। বিভিন্ন ছোট বড় কারণে একটি মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। জেনে নিন একজন মহিলার কি কারনে ব্রেস্টে ব্যথা হয়।

কারণঃ

১। ব্রেস্ট ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে হরমোনের পরিবর্তন। অনেক মহিলার ঋতুস্রাবের পূর্বে ও পরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ব্রেস্ট ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যথা ঋতুস্রাব চলাকালীন হয় এবং যখন ঋতুস্রাব ভালো হয়ে যায় তখন ব্যথা কমে যায়। এতে ভয় পাওয়ার কিংবা চিন্তা করার কিছু নেই।

২। অনেক সময় মহিলাদের স্তনে সিস্ট এর কারণে ব্যথা হতে পারে। যদি এই কারণে ব্যথা হয় তাহলে এটি হচ্ছে চিন্তার কারণ। একটি মহিলার স্তন সিস্ট দ্বারা আক্রান্ত হলে যখন স্তনের গ্রন্থে বৃদ্ধি পায় তখন তার সাথে সাথে এই সিস্ট ও বৃদ্ধি পায়। আর এই সিস্ট বৃদ্ধি পেলে একজন মহিলা হাত দিয়েই অনুভব করতে পারবেন। তখন অবশ্যই তাকে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

৩। কোন মহিলা যদি প্রথমবার গর্ভধারণ করে তাহলে গর্ভধারণ করার পর তিন মাস পর থেকে সেই মহিলা স্তনে ব্যথা অনুভব করে থাকে। কারণ এই সময় মহিলাদের ব্রেস্টের আকার বড় হয় এবং ব্রেস্টের ওপর নীল আকৃতির রাশি দেখা দিয়ে থাকে। আর সেই কারণে সেই গর্ভবতী মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে।

৪। বিভিন্ন রকম ফাঙ্গাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও একটি মহিলার ব্রেস্টে ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যথার ক্ষেত্রে বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না। ভেতর ভেতর এ সকল ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে এবং ব্রেস্টে ব্যথা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।

৫। কোন মহিলা যখন একটি শিশু জন্ম দেয় তখন সেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। আর সেই কারণেও একটি মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হয়ে থাকে। এটা চিন্তার কোন বিষয় নয়। কিছুদিন পর আস্তে আস্তে এই ব্যথা কমে যাই।

৬। কিছু কিছু মহিলা আছে যারা ব্রা ব্যবহার করে কিন্তু সেটি তার জন্য অনুপযুক্ত। আর সঠিক সাইজের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করার কারণে একজন মহিলার স্তনে ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের ব্যথা কমাতে সঠিক সাইজের ব্রা ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই এ ধরনের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যাবে। এটি নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় নেই।

৭। কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যে সকল ওষুধ খাওয়ার ফলে সাইড ইফেক্ট হিসাবে ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই। সে সকল ঔষধ খাওয়া বন্ধ করলে আস্তে আস্তে সেই ধরনের ব্যথা দূর হয়ে যাই। 
তাই আপনার যদি ব্রেস্টে ব্যথা করে তাহলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে কোনরকম ঔষধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে ব্যথা হচ্ছে কিনা। যেমনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, মেথাইলডোপাও, ক্লোরপ্রোমাজিন ইত্যাদি ঔষধের কারণে ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে।

৮। সব থেকে ভয়ংকর ব্যাথার কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। মহিলাদের ব্রেস্টে ব্যথার আরেকটি কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। যা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন। যদি ব্রেস্টে ব্যথা দীর্ঘদিন যাবত থাকে এবং সেই ব্যথা প্রথমদিকে হালকা হলেও আস্তে আস্তে তীব্র ব্যথা ধারণ করে তাহলে অবশ্যই আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ

ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ এই সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে টিউমার কি। যখন আমাদের শরীরে কোন অংশের কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে সাধারণত টিউমার বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি টিউমার এর শেষ পরিণতি ক্যান্সার তা কিন্তু নয়। 

অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় যে টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা থাকে না। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঔষধ খেলে সেই টিউমার ভালো হয়ে যাই। অথবা অপারেশনের দ্বারা টিউমারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই টিউমার হলেই যে তা ক্যান্সারের রূপ নেবে এই ধারণা কিন্তু একদম ঠিক নয়। 
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে ব্রেস্টে টিউমার ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে। তাই অবশ্যই যদি কোন মহিলার ব্রেস্ট টিউমার দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। জেনে নিন কি কি কারণে ব্রেস্ট এ টিউমার হয়।

কারণঃ

  • ব্রেস্টে ক্যান্সারের প্রথম ধাপ হচ্ছে ব্রেস্ট টিউমার। আর এই টিউমারের নির্দিষ্ট কোন কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
  • যে সকল মহিলারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ায় না সেই সকল মহিলাদের ব্রেস্টে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে বংশগত কারণে একটি মহিলার ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিতে পারে।
  • মহিলাদের একটি বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে হরমোনের সমস্যা আর এই হরমোনের সমস্যার কারণেও ব্রেস্টে টিউমার হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ওজন ও কখনো কখনো ব্রেস্টে টিউমার হওয়ার কারণ হিসেবে দাঁড়াই।
  • অনেক মহিলা রয়েছে যারা বয়স বেশি হওয়ার পর বিয়ে করে এবং 30 বছর পর বাচ্চা নেই এই কারণে ও একজন মহিলার ব্রেস্টে টিউমার হতে পারে।
  • যদি কোন মহিলা দীর্ঘ সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খান তাহলে সেই মহিলার ব্রেস্টে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

অনেকেই রয়েছেন যাদের ব্রেস্ট এ ব্যথা হয় এই কারণে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন মনে মনে ভাবছেন আপনার হয়তো ব্রেস্টে টিউমার হয়েছে। আর এই ভাবনা নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কোন কাজে মন বসাতে পারছে না। আপনি দোটানোর মধ্যে আছেন আসলেই কি আপনার বেস্ট টিউমার হয়েছে নাকি অন্য কিছু। 

তাহলে আমি বলে রাখি যে একজন মহিলা ব্রেস্টে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। ব্রেস্টে ব্যথা তার মানেই যে এটি টিউমার তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ছোট ছোট অনেক কারণেও মহিলাদের ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। তাই যদি ব্রেস্টে ব্যথা হয় তাহলে সেটি যে টিউমার এর কারনে ব্যথা এটা ভাবা একদম ভুল ধারণা। 

ব্রেস্টে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় যদি কোন মহিলা ব্রেস্টে টিউমার হয়। তাই যদি আপনার ব্রেস্টে ব্যথা করে তাহলে আরেকটু ভালোভাবে খেয়াল করুন নিচে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো আপনার মাঝে প্রকাশ পেয়েছে কিনা। যদি প্রকাশ না পাই তাহলে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি লক্ষণগুলোর দুই একটাও প্রকাশ পায় তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।

টিউমার চেনার উপায়ঃ

  • ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ব্রেস্টে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা করা আর এই ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া।
  • ব্রেস্টের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি করবে এবং উপরের চামড়া রং বদলে যাবে।
  • ব্রেস্টের বোঁটায় ঘাঁ ও হতে পারে।
  • ব্রেস্টের বোঁটা অস্বাভাবিকভাবে কালো এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।
  • ব্রেস্টে টিউমারের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে স্তনে শক্ত অংশ অনুভব করা। রোগী নিজেই তার স্তনে হাত দিলে এটি অনুভব করতে পারবে।
দ্রষ্টব্যঃ ব্রেস্ট টিউমারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাবে তা কিন্তু নয়। অনেকের অন্যান্য লক্ষণ ও প্রকাশ পেতে পারে। তাই উপরের লক্ষণ গুলোর কয়েকটি প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়

আমাদের শরীরের কোন অংশের কোষ গুলো যখন অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে টিউমার বলা হয়ে থাকে। কোন মহিলার যদি ব্রেস্টে এ ধরনের অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি পায় তাহলে তাকে বলা হয়ে থাকে ব্রেস্ট টিউমার। 

অধিকাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় তারা ব্রেস্ট টিউমারের প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে একদম শেষ পর্যায়ে যখন এটি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে তখন ডাক্তারের কাছে যাই। মহিলারা তাদের স্তনে ব্যথা হলে সেটিকে কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নিজে নিজেই সে ব্যথার সাথে অনেকটা সময় পার করে দেয়। যার ফলে শেষ পরিনিতি দাড়াই ক্যান্সার। 

যখন ডাক্তারদের আর কিছুই করার থাকেনা। তাই আমি আমাদের মা বোনদের সচেতন করতে চাই যদি আপনাদের স্তনে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাই তাহলে সেই বিষয়ে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যদি কোন মহিলার ব্রেস্টে টিউমার হয় তাহলে তিনি কি করবেন সেই নিয়ে এখন আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব।

অপারেশনঃ টিউমার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে অথবা আকারে একদম ছোট থাকে তাহলে ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে সে টিউমার এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু যদি টিউমার একটু বড় হয়ে যায় তাহলে সব থেকে ভালো হবে যদি আপনি অপারেশন করান। 

অপারেশন এর মাধ্যমে টিউমার কেটে বের করে নেওয়ার ফলে খুব সহজেই টিউমার এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও অপারেশন করে টিউমারটি কেটে ফেলে দিলে ভবিষ্যতে আবার টিউমার হওয়ার এই ভয় অনেকাংশেই থাকে না।

দ্রষ্টব্যঃ আমি শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর জন্য টিউমারের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করছি। অবশ্যই টিউমার নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বেশ প্রচলন রয়েছে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেকোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডাক্তার পারভীন চৌধুরী বলেছেন যে ব্রেস্ট টিউমার এর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। 

কারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ শুধুমাত্র এই রোগটিকে কিছুদিনের জন্য দমিয়ে রাখতে পারে। একেবারেই ভালো করতে পারে না। আর টিউমার এর ক্ষেত্রে যদি আপনি দ্রুত ব্যবস্থা না নিয়ে বেশি দেরি করেন তাহলে সেটি ক্যান্সারের রূপ নিবে। তাই ব্রেস্ট টিউমার যত দ্রুত সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম ঔষধ প্রয়োগ করে থাকে। 

যার ফলে কখনো কখনো হিতে বিপরীত হতে পারে। আমি এটা বলছি না যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খারাপ কিন্তু তারা যেহেতু রোগীর অবস্থা ঠিকভাবে না বুঝে সবাইকে একই রকম ঔষধ প্রয়োগ করে তাই এই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝে শুনে খেতে হবে।

ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার

অনেকেই মনে করে ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে তার মানেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। তাই অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন ব্রেস্ট টিউমার মানে এই যে তা থেকে ক্যান্সার হবে এটি কিন্তু একদম ভুল ধারণা। কারণ ব্রেস্ট টিউমারের মধ্যে শুধুমাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যান্সারের রূপ নেই। 

আর বাকি শতাংশ চিকিৎসা দ্বারা ভালো করা সম্ভব। টিউমারের শেষ পরিণতি হচ্ছে ক্যান্সার তা আমরা কমবেশি সকলেই জানি কিন্তু সকল টিউমারের শেষ পরিণতি ক্যান্সার এইটা একদম ভুল ধারণা। এখনকার সময়ে মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার এই সমস্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩০ বছরের উর্ধে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোন কোন সময় প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে আবার কখনো কখনো দীর্ঘসময় পর্যন্ত এর কোনরকম লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই যদি কোন মহিলা হঠাৎ করে তার স্তনের কোনরকম পরিবর্তন বুঝতে পারে তাহলে তাকে প্রথম দিকেই সতর্ক হতে হবে। টিউমার ক্যান্সারের রূপ নেওয়ার পূর্বেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আমি বলব যে এটি সব জায়গায় একরকম হয় না। বিভিন্ন জায়গায় এর খরচ বিভিন্ন রকম হতে পারে। তাছাড়াও টিউমারের আকার ও অবস্থা বুঝে এর খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। 

এছাড়াও আপনি যে রকম ক্লিনিকে ভর্তি হবেন সেই ক্লিনিকের চার্জ অনুযায়ী আপনার খরচের পার্থক্য দেখা দিতে পারে। টিউমার অপারেশন খরচের মধ্যে যে সকল খরচ হয় তা হচ্ছে হাসপাতালে চার্জ, সার্জন ফি, অ্যানেস্থেশিয়া চার্জ, ডায়াগনস্টিক টেস্ট ও ঔষধের খরচ। 

টিউমার অপারেশনের ক্ষেত্রে একজন রোগীর এই সকল খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে অপারেশন করাতে চান তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে। টিউমারের অপারেশনের খরচ ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করছে আপনি কেমন ধরনের ক্লিনিকে অপারেশন করাতে চাচ্ছেন।

শেষ কথা

আমাদের দেশের মা বোনদের জন্য বলছি আপনারা আপনার পরিবারের কারো কোন সমস্যা হলে সবার প্রথমে এগিয়ে আসেন কিন্তু নিজের কোনরকম সমস্যা হলে সহজে প্রকাশ করতে চান না। তাই আপনার যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে সেটি লুকিয়ে রাখবেন না। 

আপনি আমার লেখা ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় আর্টিকেলটি পড়েছেন তার মানে নিশ্চয়ই আপনার মনে কোন কিছু জানার ইচ্ছা ছিল। আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url