সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ জানুনআপনি কি সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমার লেখা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এ আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে আমি বিস্তারিতভাবে সরিষার তেল মুখে দিলে কি হয় এবং সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করছি সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সরিষার তেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। সরিষার তেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সরিষার তেল মুখে দিলে কি হয়

সরিষার তেল রান্নার কাজ থেকে শুরু করে আমাদের শরীরের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রান্না করে খেলে এই তেলের পুষ্টিগুণ আমাদের ভেতর থেকে কাজ করে আর বাইরে ব্যবহার করলে এই তেলের কার্যকারিতা বাইরেও লক্ষ্য করা যায়। 

এক কথায় বলতে গেলে সরিষার তেলতে অলরাউন্ডার বলা যেতে পারে। সরিষার তেল আমাদের বাংলাদেশ ঐতিহ্য বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একসময় রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে শুধুমাত্র সরিষার তেল ব্যবহার করা হতো। সরিষার তেলে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদান। যেমনঃ
  • প্রোটিন
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন ই
  • ফ্যাটি অ্যাসিড
  • ক্যালসিয়াম
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
  • ওমেগা
এছাড়াও সরিষার তেলে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল আমাদের ত্বকের এলার্জি ও বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও শীতকালে আমাদের ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে সরিষার তেল অনেক বেশি কার্যকরী। 
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতকালে ছোট বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে সরিষার তেল অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। সরিষার তেলের সাথে যদি নারকেলের তেল মিশিয়ে আমাদের ত্বকে ম্যাসাজ করা হয় তাহলে আমাদের ত্বক অনেকটা নরম ও উজ্জ্বল থাকবে। তাই আপনারা নিঃসন্দেহে আপনাদের মুখে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

সরিষার তেল চুলে দিলে কি হয়

অনেক রয়েছে চুলের পরিচর্যার জন্য সরিষার তেলকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সরিষার তেল এমন এক ধরনের তেল যা ভেজাল মুক্ত তেল বালা যায়। সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল যা আমাদের চুলের খুশকি দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

তাছাড়াও এতে রয়েছে জিংক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের চুলকে লম্বা করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল ব্যবহার করার হলে আমাদের চুল অনেক সুন্দর ও মসৃণ হয়। চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। 
কিন্তু হ্যাঁ অবশ্যই সেই সরিষার তেল হতে হবে খাঁটি সরিষার তেল। খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। কিন্তু যদি ভেজাল যুক্ত সরিষার তেল ব্যবহার করেন তাহলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হবে বেশি।

এখন আলোচনা করব সরিষার তেল চুলে ব্যবহারের ফলে যে সকল উপকার হবেঃ

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবেঃ আপনি যদি আপনার চুলের গোঁড়ায় সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করেন তাহলে আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার চুলের গোঁড়া অনেকটা মজবুত হবে। যার ফলে আপনার চুল পড়া অনেকটা কমে যাবে। তাই চুল পড়া কমাতে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
চুল লম্বা করতে সাহায্য করেঃ সরিষার তেলে উপস্থিত থাকা ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড আমাদের চুলের গোঁড়া শক্ত করে ও চুল লম্বা করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করেঃ এই সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চুল পড়া। চুল পড়া এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এই চুল পড়া সমস্যা সমাধান করতে অনেক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করছে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করার প্রধান উপাদান হচ্ছে সরিষার তেল। আপনি আপনার চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করার জন্য নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করেঃ সরিষার তেলকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বলা হয়ে থাকে। কারণ সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে আমাদের চুল অনেক বেশি সুন্দর মসৃণ ও লম্বা হয়ে ওঠে। তাই চুলের যত্নে অন্যান্য তেলের চেয়ে সরিষার তেল অনেক বেশি বিশ্বস্ত।

সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক

আমরা সকলেই জানি সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে। সরিষার তেল এমন এক ধরনের তেল যা রান্নার কাছ থেকে শুরু করে আমাদের ত্বকে ও আমাদের চুলে ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে শীতকালে বাচ্চাদের শরীরের যত্নে সরিষার তেল অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা রয়েছে। সরিষার তেল একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ব্যবহার আমাদের জন্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু যদি অধিক মাত্রায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে হতে পারে সেটি আমাদের অপকারিতা বয়ে নিয়ে আসবে।

এখন আমরা জানবো সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক গুলো কি কিঃ

অ্যালার্জির কারণঃ অনেক সময় ত্বকে সরিষার তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে বিভিন্ন রকম চুলকানি অথবা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে যদি এ ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সরিষার তেল বেশি ব্যবহারের ফলে একজন ব্যক্তির ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই অবশ্যই সরিষার তেল ব্যবহার করার পূর্বে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

হার্টের ক্ষতি করেঃ অধিক সরিষার তেল ব্যবহার হতে পারে আমাদের হার্টের ক্ষতির একটি কারণ। সরিষার তেল এরিউসিক অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যা আমাদের হার্টের ক্ষতি করে।

গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকরঃ গর্ভবতী মহিলাদের বেশি মসলা ও ঝাল যুক্ত খাবার খেতে চিকিৎসকগণ মানা করে থাকেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকগণ গর্ভবতী মহিলাদের সরিষার তেল খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলেন। কারণ সরিষার তেলে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান উপস্থিত থাকে যা গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।

জ্বালাপোড়া ভাব সৃষ্টি করেঃ ত্বকে সরিষার তেল মাখার ফলে অনেক সময় দেখা যায় ত্বকে জ্বালাপোড়া ভাব সৃষ্টি হয়েছে। আপনার যদি এমন সমস্যা হয় তাহলে সরিষার তেল মাখা থেকে বিরত থাকুন।

চুলে সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিকঃ আমরা জানি চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে আমাদের চুল অনেক বেশি মসৃণ ও সুন্দর হয়। কিন্তু এই সরিষার তেল ব্যবহার করতে হলে একটু বুঝেশুঝে ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় চুলে সরিষার তেল বেশি পরিমাণ ব্যবহার করার ফলে চুল অনেক বেশি আঠালো এবং ভারী হয়ে গেছে। 

এক্ষেত্রে চুলের গোঁড়ায় ময়লা জমে খুশকি হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই সরিষার তেল চুলে ব্যবহার করলে স্বল্পমাত্রায় এবং খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার না করে ভেজাল যুক্ত সরিষার তেল ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার চুলের অনেক ক্ষতি করবে।

রসুন ও সরিষার তেলের উপকারিতা

রসুন ও সরিষার তেল এই দুটি উপাদান জাদুকরী উপাদান বলা হয়ে থাকে। এই দুটি উপাদান একসাথে খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধান হয়। তারাও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুন ও সরিষার তেল অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। 

রসুন ও সরিষার তেল খাবার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে এর কার্যকারিতা প্রকাশ পায়। এছাড়াও এই দুটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে আমাদের শরীরে যে করে স্থানে মালিশ করলে বাইরে থেকে এর কার্যকারিতা প্রকাশ পায়। এ দুটি উপাদান একসাথে খেলে অথবা একসাথে মালিশ করলে দুটো ক্ষেত্রেই খুব ভালো ফলাফল লক্ষ্য করা যাই।

রসুন ও সরিষার তেলের উপকারিতা আলোচনা করলামঃ

ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ আমাদের শরীরের কোন অংশে ব্যথা হলে রসুন ও সরিষার তেল গরম করার পর ঠাণ্ডা করে যদি ব্যথাকৃত স্থানে মালিশ করা হয় তাহলে খুব দ্রুত সেই ব্যথা কমে যায়।

বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করেঃ একটি বয়স পর অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু মানুষের বাতের ব্যথার সমস্যা হচ্ছে। আপনার এ ধরনের বাতের ব্যথার সমস্যা সমাধানের জন্য সরিষার তেল একটি কার্যকরী উপাদান। ব্যথার জায়গায় এই দুটো উপাদান একসাথে মিশিয়ে মালিশ করলে সাময়িক কিছু সময়ের জন্য সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাই।

সহবাসে এর উপকারিতাঃ রসুন ও সরিষার তেল সহবাসের ক্ষেত্রে মহা ঔষধ বলা যেতে পারে। কোন ব্যক্তির যদি সহবাসের পর শরীর দুর্বল মনে হয় কিংবা কোনরকম যৌন সমস্যা থাকে তাহলে এ দুটি উপাদান খাওয়ার ও ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত সে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ সরিষার তেল ও রসুন খাওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন রসুন ও সরিষার তেল খেতে পারেন।

হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তাঃ বিবাহের কিছু সময় পর কিছু কিছু মানুষের হরমোন জনিত সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের হরমোন অনেকটা কমে যায়। যার ফলে তারা শারীরিক সম্পর্কে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। রসুন ও সরিষার তেল খাওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হরমোন বৃদ্ধি পাবে এবং সহবাসের ক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়বে।

সরিষার তেল গায়ে মাখার উপকারিতা

আমরা জানি সরিষার তেল আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সরিষার তেলে উপস্থিত উপাদান আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল গায়ে মাখার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলামঃ

ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করেঃ সরিষার তেল এর সাথে কালোজিরা মিশিয়ে যদি কোন ব্যক্তির বুকে ও পিঠে মাখানো হয় তাহলে খুব দ্রুত সেই ব্যক্তির ঠাণ্ডা লাগা ও কাশি দূর হয়ে যাবে। তাই আপনার ঠাণ্ডা লাগা ও কাশির সমস্যা দূর করতে নিঃসন্দেহে সরিষার তেল মাখতে পারেন।

ত্বককে রক্ষা করেঃ কিছুটা পরিমাণ সরিষার তেল যদি আপনি আপনার মুখে লাগান তাহলে সেটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আপনার ত্বকে রক্ষা করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

ডার্ক স্পট কমাতে সাহায্য করেঃ সরিষার তেলের সাথে কিছুটা পরিমাণ বেসন, ২ ও লেবুর রস মিশিয়ে আপনার ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বকের ডার্ক স্পট অনেকটা কমে যাবে।

ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ আপনার শরীরে যদি কোন জায়গায় ব্যথা থাকে তাহলে সেই স্থানে সরিষার তেল ও রসুন একসাথে গরম করার পর ঠাণ্ডা করে যদি সেই স্থানে মালিশ করেন তাহলে সেই স্থানের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

সরিষার তেল মাখার ফলে আপনার ত্বকের অনেক বেশি উপকার হবে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন সরিষার তেল মাখার ফলে যদি আপনার শরীরে বা ত্বকে কোনরকম অ্যালার্জি অথবা জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই সরিষার তেল মাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

সরিষার তেলে এমন এক ধরনের তেল যেটি ব্যবহারের ফলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। সরিষার তেল রান্না থেকে শুরু করে আমাদের ত্বকের যত্নে উভয় ক্ষেত্রেই উপকার বয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু যেকোনো কিছুতে উপকার থাকবে এবং অপকার থাকবে না এটা তো হতে পারে না। 

ঠিক তেমনই সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে যেমন উপকারিতা পাওয়া যায় ঠিক তেমন অপকারিতাও লক্ষ্য করা যায়। যদিও সরিষার তেল ব্যবহারের অপকারিতার চাইতে উপকারিতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

উপকারিতাঃ
রান্নার কাজে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রান্নার কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করতে বেশি দেখা যায়। যে কোন ধরনের সয়াবিন তেলের চেয়ে সরিষার তেলে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি পরিমাণ রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই সেটি হতে হবে খাঁটি সরিষার তেল। 

সরিষার তেল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের কোলেস্ট্রল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও সরিষার তেল দ্বারা রান্না করা খাবার খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমাদের শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান করতে সরিষার তেল অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বকের ক্ষেত্রে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ আমাদের ত্বকের জন্য সরিষার তেল অনেক বেশি উপকারী। আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে সরিষার তেল। এছাড়াও আমাদের ত্বকের ডার্ক স্পট কমাতেও সরিষার তেলের ভূমিকা অনেক বেশি।

চুলের যত্নে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ আমাদের চুলের গোঁড়া শক্ত করে চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের চুলকে মসৃণ ও সুন্দর করে তোলে। আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে সরিষার তেল। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সরিষার তেল চুলে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য ক্ষেত্রে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ আমাদের শরীরের যে কোন অংশের ব্যথা কমাতেও সরিষার তেলের ভূমিকা অনেক বেশি। সহবাসের পর দুর্বলতা কমাতে এবং যেকোনো ধরনের যৌন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সরিষার তেল এর ভূমিকা অনেক বেশি। এছাড়াও সরিষার তেলে আমাদের ওজন কমাতে ও মাসিক ব্যথা কমাতেও অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।

অপকারিতাঃ

সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক বেশি করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরিষার তেলের অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক বেশি অপকারিতার চাইতে। অতিরিক্ত সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে হার্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কোন ব্যক্তির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সরিষার তেল মাখার ফলে এলার্জি অথবা চুলকানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জ্বালাপোড়ার ও সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সরিষার তেল চুলে ব্যবহারের ফলে চুল অনেক বেশি আঠালো ও ভারী হতে পারে যার ফলে চুলের গোঁড়ায় খুশকির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

শেষ কথা

আশা করছি আমার লেখা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এই আর্টিকেলটি করে আপনি নিশ্চয়ই সরিষার তেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। সরিষার তেল কতটুকু এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝতে পেরেছেন। বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে আপনি নিঃসন্দেহে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহারের সময় একটু সচেতন হতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url