দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে জানুন

ট্রিপটিন কেন খায় জানুনমাসিকের সমস্যা মেয়েদের একটি কমন সমস্যা। আপনারও যদি মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে এবং দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার লেখা দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ এই আর্টিকেলটি পড়ুন। দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ এই আর্টিকেলে আমি একদিনে মাসিক হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় -  দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ
তাই আপনি যদি দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় - দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুঁজে পাবেন।

কি খেলে মাসিক বেশি হয়

মেয়েদের বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক। অথবা ঠিকমতো মাসিক না হওয়া। একটি মহিলার বিভিন্ন কারণে মাসিক কম হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে কিছু কিছু কারণ হচ্ছে ওজন কম, অতিরিক্ত চিন্তা, অতিরিক্ত ভারি জিনিসপত্র উঠানো অথবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে একটি মহিলার মাসিক কম হতে পারে। 
কিন্তু কিছু কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে মাসিক কম হওয়ার সমস্যা সমাধান হতে পারে। সে সকল খাবার খেলে আপনার মাসিক সঠিক পরিমাণে হবে। সে সকল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে যে সকল কারণে মাসিক কম হয় সেই সকল কাজগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব কি খেলে মাসিক বেশি হয়।

  • আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে বেশি বেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যে সকল সবজি অথবা ফলে ভিটামিন সি রয়েছে যেমন লেবু, কমলা লেবু, ব্রকলি ইত্যাদি। ভিটামিন সি খাওয়ার ফলে আপনার কম মাসিক হওয়ার সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
  • আপনি আপনার মাসিক কম হওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি উপাদান হিসেবে বেছে নিতে পারেন পেঁপে। পেঁপের ভেতরে রয়েছে ক্যারোটিন যা মেয়েদের মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • আদা চা হতে পারে আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধানের মূল উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত দুই কাপ আদা দিয়ে চা খাওয়া শুরু করেন তাহলেই আপনার মাসিক এর সমস্যা সমাধান হবে এবং মাসিক বেশি হবে।
  • সামান্য পরিমাণ পানিতে কিছুটা মেথি বীজ উঠিয়ে নিয়ে সেই পানি থেকে পান করলে আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধান হবে এবং মাসিক বেশি হবে।
  • প্রতিদিন রাতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে যদি সেই মৌরি ভেজানো পানি পান করেন তাহলে আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধান হবে।

মাসিক নিয়মিত করার উপায়

মেয়েরা প্রায় সময় যে সমস্যার সম্মুখীন হয় সেটি হচ্ছে মাসিকের সমস্যা। কারো কারো মাসিক কম হয় আবার কারো কারো মাসিক বেশি হওয়ার সমস্যা। মেয়েদের বিভিন্ন রকম অভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আর এ ধরনের সমস্যা থেকে কখনো কখনো সৃষ্টি হয় বড় ধরনের রোগ। 

কিছু কিছু মহিলার অনিয়মিত মাসিক হওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই অনিয়মিত মাসিক হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। মাসিক নিয়মিত করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
পেঁপেঃ আপনি আপনার অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার জন্য পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে মেয়েদের জরায়ুর পেশী তন্ত্রকে সংকুচিত করে থাকে। তাই আপনি আপনার অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার জন্য প্রতিদিন পেঁপের রস পান করতে পারেন।

আদাঃ অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আদা। আদা খাওয়ার ফলে খুব সহজেই আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধান হবে। তাই প্রতিদিন দুই বেলা আদা চা খেতে পারেন তাছাড়াও এক টুকরো আদা থেকে রস বের করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে তিন বেলা খেলে খুব সহজেই আপনার সমস্যা সমাধান হবে।

দারুচিনিঃ দারুচিনি হতে পারে আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দারুচিনি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মাসিকের চক্র নিয়ন্ত্রণে খুব বেশি সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করতে পারেন।

হলুদঃ হলুদ কে বলা হয় ভেষজ ঔষধ। হলুদ অনেক ধরনের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে থাকে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাসিকের সমস্যা। তাছাড়াও হলুদ আমাদের হরমোনের সমস্যা সমাধানেও অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে কিছু পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তার পাশাপাশি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরে ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমায়। এর ফলে আমাদের মাসিকের সমস্যা সমাধান হয়। তাই আপনার যদি অনিয়মিত মাসিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া শুরু করুন।

টক জাতীয় ফলঃ যে কোন টক জাতীয় ফল অর্থাৎ যে সকল ফলে ভিটামিন সি উপস্থিত রয়েছে সে সকল ফল মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনার যদি মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে টক জাতীয় ফল বেশি বেশি খেতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

তিলঃ তিল মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যদি আপনার মাসিকের সমস্যা হয় তাহলে কিছুটা পরিমাণ তিল ভেজে গুঁড়ো করে তার সাথে কিছুটা পরিমাণ গুড় মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এতে করে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন।

গরম পানির সেঁকঃ গরম পানির সেঁক মাসিকের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরী। যদি আপনার পেটে ব্যথা করেন কিন্তু মাসিক না হয় তাহলে আপনি পেটে গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। এতে করে আপনার মাসিক দ্রুত হবে। গরম পানির সেঁক দেওয়ার জন্য এখন বাজারে বিভিন্ন রকম ব্যাগ পাওয়া যায়।

ব্যায়ামঃ একটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অবশ্যই কিছু সময় বের করে ব্যায়াম করা উচিত। তাই একটি মানুষের প্রতিদিন ব্যায়াম করা আবশ্যক। প্রতিদিন ব্যায়াম করার ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধান হবে। আপনার অনিয়মিত মাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় বের করে ব্যায়াম করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ কোন মহিলার যদি অতিরিক্ত ওজন হয় কিংবা অতিরিক্ত পাতলা হয় সেক্ষেত্রেও মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই মাসিকের সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মোটা কিংবা অতিরিক্ত পাতলা হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে।

জিরাঃ মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে জিরা অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধানের জন্য কিছুটা পরিমাণ জিরা এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি এবং পানিতে ভেজানো জিরা খাওয়া শুরু করুন। এতে করে আপনার সমস্যা খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে।

বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়

অনেক মহিলা রয়েছে যাদের প্রায় কয়েক মাস পর পর মাসিক বন্ধের সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই কারণে অনেকে গর্ভবতী হয়েছে তা মনে করে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করার পর বুঝতে পারে যে এটা প্রেগনেন্সির কারণে নয় অন্য কারণে মাসিক বন্ধ রয়েছে। 

এখন মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার কারণে। অনেক ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হওয়া কোন রোগের লক্ষণও হতে পারে। এখন আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করবো বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়।

  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবার ফলে মাসিকের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয় এবং যদি মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে তা ঠিক হয়ে যায়।
  • মানসিক চাপ এর কারণে অনেক সময় মাসিক বন্ধের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তাহলে তা কমানোর চেষ্টা করুন।
  • মাসিক বন্ধের আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণ না করা। তাই অবশ্যই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত মোটা কিংবা অতিরিক্ত পাতলা হওয়া হতে পারে আপনার মাসিক বন্ধের একটি কারণ।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করে আপনি আপনার মাসিকের সমস্যা সমাধান করতে পারেন। তাই মাসিক এর সমস্যা সমাধান করতে এবং বন্ধ মাসিক চালু করতে নিয়মিত ব্যায়াম অথবা যোগাসন করুন।
  • বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে খুব সহজেই বন্ধ মাসিক চালু হয়। আপনি সেই সকল খাবার খেতে পারেন যেমন আদা, জিরা, দারুচিনি, পেঁপে, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, হলুদ ইত্যাদি।
  • উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করে যদি আপনার মাসিক চালু না হয় এবং দুই মাস এর বেশি মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হবে।

দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়

আপনার কি মাঝে মাঝেই মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়। ঠিকমতো এবং ঠিক সময়ে মাসিক হয় না। আর সেই কারণে আপনি অনেক বেশি চিন্তাই রয়েছেন। এটি মহিলাদের একটি ন্যাচারাল প্রসেস। একটি মেয়ে যখন শিশু থেকে কিশোরীতে রূপ নেই তখন প্রাকৃতিক ভাবেই মেয়েদের মাসিক দেখা দেয়। একটি মেয়ের অনেক বড় স্বপ্ন থাকে মা হওয়া। 

আর যদি কোন মেয়ের মাসিকের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই মেয়ের গর্ভধারণের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তাই মাসিকের সমস্যা হলে একটি মেয়ে অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু এখন মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা একটু বেশি দেখা দিচ্ছে। যদি মাসিক সঠিক সময় না হয় তাহলে একটি মেয়ের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। 
দেরিতে মাসিক হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে শরীরে পলিস্টিন ওভারি সিনড্রোম। আর এ সমস্যার কারণে অনেক সময় দেখা যায় গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমি এখন আপনাদের সামনে কিছু উপায় আলোচনা করব যা আপনার দ্রুত মাসিক হতে সাহায্য করবে।

  • দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য আপনি গরম জলের সেঁক নিতে পারেন। প্রতিদিন যদি ১০-১৫ মিনিট তলপেটে গরম জলের সেঁক নিতে পারেন তাহলে আপনার দ্রুত মাসিক হবে।
  • টক জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করুন। আপনি যদি বেশি বেশি টক জাতীয় ফল খান তাহলে আপনার মাসিকের সমস্যা দূর হবে এবং দ্রুত মাসিক হবে।
  • যৌন মিলন এর সাহায্যেও আপনার মাসিক দ্রুত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ যখন যৌন মিলন হয় তখন একটি মহিলার শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপত্তি হয়। আর সেই সকল হরমোন মাসিক দ্রুত হতে সাহায্য করে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা করেন তাহলে সেটি আপনার মাসিক সঠিক সময়ে হওয়াতে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই অবশ্যই কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা যাবে না।

১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়ার কারণ কি

কখনো কখনো দেখা যায় কোন কোন মহিলার ১৫ দিন পর পর মাসিক হচ্ছে। এটি কিন্তু মেয়েদের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। কারণ একটি মহিলার মাসিক চক্র ২৮ দিন পর অথবা ১ মাস পর হয়ে থাকে। তাহলে যখন মাসিক ১৫ দিন পর হয় তাহলে ভাবতে হবে এটি কোন সমস্যার কারণে হচ্ছে। 

এমনটি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের অথবা ভালো কোন গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনাকে জানতে হবে কোন কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়াও এমন কিছু কিছু কারণ আছে যে সকল কারণে একজন মহিলা ১৫ দিন পর পর মাসিক হয়। আপনাদের সামনে এখন আমি ১৫ দিন পরপর মাসিক হওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
  1. অনেক সময় অল্প বয়সী মহিলাদের এক মাসে দুইবার মাসিক দেখা দিয়ে থাকে। কারণ অল্প বয়সে মাসিক হওয়ার কারণে মাসিক চক্র স্বাভাবিক অথবা সাধারণ হতে ছয় বছর সময় লাগতে পারে। এটি একটি সাধারণ বিষয়। এটি নিয়ে চিন্তা করার তেমন কিছু নেই।
  2. অনেক সময় থাইরয়েড এর সমস্যার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন মহিলার হরমোনের পরিবর্তনের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই সমস্যার কারণে এক মাসে দুইবার মাসিক দেখা দিতে পারে।
  3. যদি কোন মহিলার জরায়ুতে ফাইব্রয়েড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে তার মাসিক চক্র বাড়তে পারে অর্থাৎ এক মাসে দুইবার মাসিক দেখা দিতে পারে। ফাইব্রয়েড ক্যান্সার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে না। এটির কারণে শুধুমাত্র মাসিক এক মাসে দুইবার দেখা দিতে পারে।
  4. বিভিন্ন রকম সংক্রমণ এর কারণেও কখনো কখনো এক মাসে দুইবার মাসিক দেখা দিতে পারে। এটি হতে পারে কোন রকম যৌন বাহিত রোগ এর কারণে। তাই অবশ্যই এরকম হলে চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিতে হবে।

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। মাসিক অথবা পিরিয়ড এটি মেয়েদের জীবনের একটি ন্যাচারাল প্রসেস। আমরা সকলেই জানি একটি মেয়ের সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিন অথবা এক মাস এর ভেতর মাসিক চক্র দেখা দিয়ে থাকে। 

যদি কোন বিবাহিত মহিলা কোন কারণে এই মাসে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে সেই মহিলা গর্ভবতী। কিন্তু মাসিক বন্ধ হলেই যে কোন মহিলা গর্ভধারণ করেছেন এটা ভেবে নেয়াটাও ভুল। কারণ গর্ভধারণ ছাড়াও বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে একটি মেয়ের মাসিক বন্ধ হতে পারে। তাই এখানে বলা যায় যে একটি মেয়ের মাসিক বন্ধ হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু তার পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। 

তাই অবশ্যই আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে সেই সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছে কিনা একটু লক্ষ্য করে দেখুন। যদি সে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করান। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অবিবাহিত মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। এটি বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে হতে পারে। তাই অবিবাহিত মহিলার যদি পিরিয়ড মিস হয় তাহলে প্রথমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন কোন কারণে আপনার মাসিক বন্ধ হয়েছে। 

উপরে উল্লেখিত আমি কিছু উপায় আলোচনা করেছি সেই সকল উপায় গুলো দ্বারা আপনি আপনার বন্ধ মাসিক চালু করার চেষ্টা করতে পারেন। যদি উপরের উপায় গুলো দ্বারা কোন কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে পারেন।

দ্রুত মাসিক হওয়ার ঔষধ

আপনার যদি নিয়মিত মাসিক না হয় এবং মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই নিয়ে খুব একটা চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ মাসিক চক্র সঠিকভাবে না হওয়া কিংবা তাড়াতাড়ি হওয়া অথবা দেরিতে হওয়া এটি মেয়েদের একটি সাধারণ সমস্যা। তাই আপনি যদি আপনার মাসিক দ্রুত করতে চান তাহলে আপনার স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলুন এবং কিছু কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করুন। 

সে সকল নিয়ম মেনে চলা এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার ফলে আপনার মাসিক দ্রুত হবে। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও আপনি আপনার মাসিক দ্রুত করার চেষ্টা করতে পারেন। আমার জানামতে মাসিক দ্রুত হওয়ার অথবা আগে আনার ঔষধ হয় না। 

তাই আপনি আপনার এই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে আপনি আপনার বন্ধ মাসিক চালু করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ খেতে পারেন। আর সে সকল ওষুধের নাম আমি আলোচনা করলাম।

  • Menoral
  • Menogia
  • Ethinor
  • Noteron
  • Remens
  • Mensil N
  • Norcolut
  • Feminor
  • Normens
  • Norestin

দ্রষ্টব্যঃ একেক ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একেকজনের ওপর একেকরকম হতে পারে। তাই অবশ্যই ঔষধ খাবার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখকের মন্তব্য

আমি আমার আর্টিকেলে আপনাদের মাসিকের সমস্যা সমাধানের উপায় ও কিভাবে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। নিশ্চয় আপনি এমন কোন তথ্য পেয়েছেন যে তথ্য আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ছিল। এরকম প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url