ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ সেই সম্পর্কে জেনে নিন
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের উপায়আমাদের বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যদি কোন অসুখ দেখা যায় তাহলে সেটি হচ্ছে
ডায়াবেটিস। প্রায় প্রতিটি ঘরেই একটি করে ডায়াবেটিস রোগীর দেখা পাওয়া যায়।
আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আমার লেখা ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ এই
আর্টিকেল পড়ুন। কারণ আমার লেখা ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
বুঝতে পারবেন ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে এবং ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ হবে।
আশা করছি আমার লেখা ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার
প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাবেন। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ডায়াবেটিস কাকে বলে
একটি মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ এটি জানার আগে প্রথমে আমাদের জানা
দরকার ডায়াবেটিস কাকে বলে। ডায়াবেটিসের আরেকটি নাম বলা যায় বহুমূত্র রোগ। এ টি
নাম হওয়ার কারণ বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা
যায়।
আমরা যখন কোন ধরনের খাবার খাই তখন সেই খাবার থেকে এক ধরনের ইনসুলিন বের হয় যা
আমাদের শরীরে উপস্থিত গ্লুকোজ ধ্বংস করে। আর যদি কোন কারণে সেই ইনসুলিন তৈরি না
হওয়ায় অথবা কোন কারণে গ্লুকোজ কে ধ্বংস করতে না পারে তাহলে তখন সে অবস্থাকে বলা
হয় ডায়াবেটিস।
আরও পড়ুনঃ কিডনি রোগের কারণ ও লক্ষণ জানুন
কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস দেখা দিলে তার শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। একজন
ব্যক্তির ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তাকে অনেক সতর্কভাবে চলাচল করতে হয়। তার চলাচলের
পাশাপাশি খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির কারণে একজন ব্যক্তির মৃত্যু ও হতে পারে। ডায়াবেটিস সম্পর্কে
সাধারণ মানুষের আরেকটি বড় ভুল ধারণা হচ্ছে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে
ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। কিন্তু এই কথা একদম ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার
সাথে ডায়াবেটিস রোগের কোনরকম সম্পর্ক নেই।
ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার পূর্বে কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যে সকল লক্ষণ দ্বারা
বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি ডায়াবেটিস এর সমস্যায় পড়েছেন। একজন ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত রোগীর যে সকল সমস্যাগুলো দেখা দেয় তা হচ্ছে ডায়াবেটিক
কিটোঅ্যাসিডোসিস,হাইপারঅসমোলার হাইপারগ্লাইসিমিক স্টেট অথবা মৃত্যু। এছাড়াও
দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা গুলো হচ্ছে
স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, চিন্তাশক্তি লোপ।
ডায়াবেটিস কত প্রকার
আমরা অনেকেই জানিনা ডায়াবেটিস কত প্রকার। আমরা শুধু জানি যদি কোন ব্যক্তির
ডায়াবেটিস হয় তাহলে বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ পাবে। ডায়াবেটিস সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে জানার জন্য অবশ্যই আমাদের জানতে হবে ডায়াবেটিস কত প্রকার।
ডায়াবেটিস তিন প্রকার। যেমনঃ
- টাইপ-১
- টাইপ-২
- গর্ভকালীন ডায়বেটিস
এই তিন প্রকার ডায়াবেটিস বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলামঃ
টাইপ-১ঃ যদি কোন ব্যক্তির টাইপ-১ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে সে টিম
অগ্নাশয় এ ইনসুলিন তৈরি বন্ধ করে দেয়। আমাদের শরীর যখন অগ্ন্যাশয় এর ইনসুলিন
তৈরি করা বিটা কোষগুলোকে ধ্বংস করে তখন এই ধরনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। টাইপ-১
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ পায়। এই ডায়াবেটিস প্রাপ্তবয়স্ক
হওয়ার পূর্বে ধরা পড়ে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করা যায় নি। এই
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায় না কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস
হলে যেহেতু শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যায় সেহেতু ইনজেকশন দ্বারা
শরীরে ইনসুলিন প্রবেশ করিয়ে এ ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
টাইপ-২ঃ আমাদের দেশে প্রায় ৯০% মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে একটু বেশি সময় লাগে। এই
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের কোষগুলো উৎপাদিত ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার
করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
আরও পড়ুনঃ পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
এই ধরনের ডায়াবেটিস প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এ ধরনের
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে জীবন ধারার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়।
জীবনধারার পরিবর্তন করার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে টাইপ-২
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসঃ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন একটি মহিলার প্রথমদিকে
ডায়াবেটিস থাকে না কিন্তু গর্ভধারণ করার কিছু সময় পর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
গর্ভাবস্থায় যদি কোন মহিলার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে সেই মহিলার গর্ভে থাকা
শিশুর কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।
গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ভবিষ্যতে মা ও শিশুর টাইপ-২ ডায়াবেটিস
হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে দুই ধরনের ডায়াবেটিস প্রকাশ পায় টাইপ-১
ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এই দুটোই ডায়াবেটিসের ধরন হলেও দুই ধরনের
ডায়াবেটিস প্রকাশের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো কিছুটা ভিন্ন। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
খুব দ্রুত প্রকাশ পায়। আর অপরদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে একটু
বেশি সময় লাগে। আপনাদের সামনে দুই ধরনের ডায়াবেটিসের লক্ষণ তুলে ধরা হলো।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
- এ ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড পেট ব্যথা হয়।
- এ ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষুধা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
- এ ধরনের ডায়াবেটিসের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে অস্বাভাবিক বিরক্তবোধ প্রকাশ পায়।
- দিনের প্রায় সব সময় বমি বমি ভাব মনে হয়।
- শরীরে প্রচণ্ড পরিমাণ দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।
- প্রসাবের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা পায়।
- চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করে।
- শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি দেখা দেয়।
- যে কোন কিছুতে অপ্রীতিকর গন্ধের অনুভূতি প্রকাশ পায়।
- হঠাৎ করে ওজন হ্রাস পায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
- এ ধরনের ডায়াবেটিসের লক্ষণ হাত এবং পায়ে ঝিনঝিনি লাগা।
- আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যথা।
- এই ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও দ্রুত ওজন কমে যায়।
- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়।
- বগল ও ঘাড়ের কাছে কালচে ছাপ পড়ে।
- শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি প্রকাশ পায়।
- অতিরিক্ত প্রসাবের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- যে কোন স্থানে ক্ষত হলে সেই স্থান ভালো হতে অনেক সময় লাগে।
- অনেক সময় মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দেয়।
- এই ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও অপ্রীতিকর গন্ধের অনুভূতি প্রকাশ পায়।
- এ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগের মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো একই রকম শুধুমাত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে
দুই ধরনের ডায়াবেটিসের কয়েকটি লক্ষণ ভিন্ন।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ
যে সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত থাকে তাদের মনে সব সময় একটি ভয় কাজ
করে। কারণ ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা বৃদ্ধি পেলে একজন ব্যক্তির বড় ধরনের ক্ষতি
হতে পারে। ডায়াবেটিস আমাদের দেশে আস্তে আস্তে মহামারীতে রূপ নিচ্ছে। প্রায়
প্রতিটি ঘরে ঘরেই ডায়াবেটিস রোগী দেখা যাচ্ছে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক রোগী ডায়াবেটিস বৃদ্ধির কারণে অনেক রকম সমস্যার
সম্মুখীন হচ্ছে। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ। যদি আমাদের
রক্তে শর্করা এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কোন
ব্যক্তির রক্তে যদি শর্করার মাত্রা ৬.৫ শতাংশের বেশি উপস্থিত থাকে তাহলে বলা যায়
যে সেই ব্যক্তি ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নবজাতকের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ব্যক্তির রক্তে যদি ৫.৭ শতাংশ শর্করা উপস্থিত থাকে তাহলে
সেদিকে স্বাভাবিক বলা যায়। কিন্তু যদি এর থেকে বেশি হয় তাহলে এটি আমাদের শরীরের
জন্য বিপদ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কোন ব্যক্তির রক্তে শর্করা যদি ৬.৫
শতাংশের নিচে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
তাই যদি আপনি আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার রক্তে
শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে দেওয়া যাবে না। আর রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানোর জন্য
ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও আটা, ওটস এর মত খাবার গুলো বেশি বেশি করে
খেতে পারেন। এতে করে আপনার রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এছাড়াও অবশ্যই পরিশোধিত চিনি যুক্ত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন। যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ কম রাখার চেষ্টা করুন। আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার
পরে যদি রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটি আপনার শরীরের জন্য ভয়াবহতা
বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
খালি পেটে কত থাকলে ডায়াবেটিস
অনেকেই রয়েছে যাদের মনে প্রশ্ন জাগে খালি পেটে কত থাকলে ডায়াবেটিস আর
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ। তাহলে আপনার সুবিধার জন্য জানাচ্ছি যে কোন একজন ব্যক্তির
যদি খালি পেটে সুগারের মাত্রা ৫.৫ শতাংশের আশেপাশে থাকে তাহলে এটিকে ডায়াবেটিস
বলা যাবে না।
যখন এর পরিমাণ ৫.৫ থেকে ৬.৯ হবে তখন একে বলা যায় প্রি-ডায়াবেটিস। কিন্তু যখন
কোন ব্যক্তির খালি পেটে ডায়াবেটিস মাপার পর ৭ এর উপরে ধরা পড়ে তখন তাকে বলা
যেতে পারে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
ভরা পেটে কত থাকলে ডায়াবেটিস
একজন ব্যক্তির যখন ডায়াবেটিস আছে কিনা নির্ণয় করা হয় তখন দুই ধাপে তার
ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়। প্রথম ধাপে খালি পেটে সেই ব্যক্তির ডায়াবেটিস
নির্ণয় করা হয় আর দ্বিতীয় ধাপে ভরা পেটে ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়। খালি
পেটে আমাদের শরীরের সুগারের মাত্রা আর ভরা পেটে সুগারের মাত্রা কখনোই এক থাকে
না।
খাবার খাওয়ার পরে ও আমাদের রক্তে সুপারের মাত্রা বেড়ে যায় এটি সাধারণ বিষয়।
ভরা পেটে একজন ব্যক্তির যদি ৭.৮ পয়েন্ট এর বেশি থাকে তাহলে এটিকে
প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। আর যদি কোন ব্যক্তির ভরা পেটে ১১.১১ পয়েন্টের
চাইতে অধিক হয় তাহলে বলা যায় যে সেই ব্যক্তির ডায়াবেটিস রয়েছে।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের রোগ যা চুপচাপে আমাদের শরীরের ভেতর নষ্ট করে দেয়।
ডায়াবেটিস এর এর মাত্রা আমাদের দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের জীবনযাত্রা ও
খাদ্যাভাসের কারণে একসময় আমাদের দেশে ডায়াবেটিস মহামারীতে রূপ নেবে। ডায়াবেটিস
এমন ধরনের অসুখ যা নিরাময় করার ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব নয় শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই অবশ্যই
ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্বে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যে সকল কারণে ডায়াবেটিস
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে সকল কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোন
ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় তাহলে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায়
নেই।
কিন্তু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আপনার যদি
ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে
জানতে হবে। তাছাড়াও ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে
হবে।এখন আপনাদের সামনে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো আলোচনা করব।
- ডায়াবেটিস ধরা পড়লে আপনার শরীরকে সচল রাখতে হবে আর এর জন্য সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হচ্ছে প্রতিদিন নিয়ম করে হাটা।
- যে কোন ধরনের ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে।
- যে কোন জায়গায় অধিক সময় ধরে বসে কাজ করবেন না। বসে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ কাজ করার পর একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
- অনেকে রয়েছে যারা ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। এ সকল খাবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
- ডায়াবেটিস রোগী অতিরিক্ত লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।
- আঁশযুক্ত শস্য খাবার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
- অবশ্যই সময়ের খাবার সময়ে খেতে হবে।
- খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
- নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। শরীরে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে না কমছে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
আমরা অনেকেই রয়েছে ডায়াবেটিস কমানোর জন্য কত রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করি। কত কি
করে ডায়াবেটিস কমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন কিছু কিছু ফল
রয়েছে যে সকল ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ডায়াবেটিস কমাতে পারবেন। সেই সকল
ফল যদি আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস
কন্ট্রোলে থাকবে।
কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে নিচে আলোচনা করলামঃ
- আপেল
- আনারস
- পেঁপে
- চেরি
- পেয়ারা
- তরমুজ
- কমলালেবু
- বেদানা
- আঙ্গুর
- স্ট্রবেরি
পরামর্শমূলক কিছু কথা
আশা করছি আমার লেখা ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ এই আর্টিকেল পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন
একজন ব্যক্তির জন্য ডায়াবেটিস কি ধরনের বিপদ বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাই অবশ্যই
ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্বেই সতর্কতা অবলম্বন করুন। যে সকল কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার
সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেই সকল কাজ থেকে দূরে থাকুন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url