১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়আমাদের দেশে আজকাল চাকরির বড় অভাব। লেখাপড়া শেষ করেও চাকরির জন্য এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতে হয়। আপনি কি মনে মনে চাকরিকে সাইডে রেখে ব্যবসা করতে চান? তাহলে আমার লেখা ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এই আর্টিকেলটি পড়ুন। ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এই আর্টিকেলে আমি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা ও ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া আলোচনা করেছি।
১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
আপনি যদি ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে এমন অনেক ব্যবসার আইডিয়া পাবেন যা দ্বারা আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন।

রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

আমরা সকলেই চাই এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে যেই ব্যবসায় কোনরকম রিস্ক থাকবে না। কারণ আমরা সব সময় যেকোনো কিছুতে রিস্ক নিতে অনেক বেশি ভয় পায়। অনেকেই চাই রিস্ক ছাড়া ব্যবসা শুরু করতে। আপনাদের জন্য আমি রিস্ক ছাড়া কিছু ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। 

আপনার যদি কোন ব্যবসায় বিনিয়োগের পরিমাণ একদম কম থাকে যেমন ১০ হাজার। তাহলে আপনি ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমি আপনাদের সামনে রিস্ক ফ্রি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
১। আপনি যদি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে যে কোন স্কুল অথবা কলেজের সামনে একটি সাইবার ক্যাফে খুলতে পারেন। কারণ এ ধরনের ক্যাফেতে প্রায় সারাদিন কাস্টমার পাওয়া যায়। এ সকল সাইবার ক্যাফে একটি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা। আপনি আপনার ক্যাফের কাস্টমার বৃদ্ধির জন্য কিছু কিছু ছোটখাটো গেমিং টুর্নামেন্ট রাখতে পারেন। 

ছোটখাটো গেমিং টুর্নামেন্টের কারণে কাস্টমারের আগ্রহ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে আপনার ক্যাফের প্রতি। তাছাড়াও আপনি কাস্টমার বাড়ানোর জন্য ফ্রি অথবা পেইড ওয়াইফাই সিস্টেম চালু করতে পারেন। আপনি যদি আপনার ক্যাফেতে এরকম সিস্টেম চালু করেন তাহলে আপনার ক্যাফেতে কাস্টোমারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

২। আরেকটি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা হচ্ছে ডিজিটাল স্টুডিও। এটি আপনার জন্য হতে পারে আরেকটি রিস্ক ফ্রি ব্যবসা। কারণ কম বিনিয়োগে অধিক লাভজনক এবং যেকোনো জায়গায় সহজেই ব্যবসা শুরু করা যায়। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য তেমন খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হয় না। আর তাছাড়া এই ব্যবসায় যদি একবার বিনিয়োগ করা হয় তাহলে বেশ কিছুদিন তেমন একটা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না।

বড় বড় জিনিসপত্রগুলো প্রথম দিকে শুধুমাত্র একবার কেনার প্রয়োজন হয় তাছাড়া দুই থেকে তিন মাস পর শুধুমাত্র প্রিন্টারের কালি এবং ফটো পেপার কিনতে হয়। যার মূল্য খুব একটা বেশি নয়। তাই আপনি অল্প খরচে যে কোন রিক্স ছাড়া এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৩। রিস্ক ফ্রী আরেকটি ব্যবসা হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস। ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস বলতে বোঝানো হয় যে কোন প্রোডাক্ট নির্মাণ এবং প্রস্তুত এর উপর ভিত্তি করে ব্যবসা প্রক্রিয়া। এই ধরনের ব্যবসায় বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট নির্মাণ করে প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রস্তুতকরণ করে বিপণনে লোকজন পৌঁছে দেয়। এ ধরনের ব্যবসায়ী আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট উৎপন্ন করতে পারেন।

৪। আপনি যদি রিস্ক ছাড়া ব্যবসা করতে চান তাহলে মোবাইল ব্যবসা কে বেছে নিতে পারেন। কারণ মোবাইল ব্যবসা এখন অনেক লাভবান একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ব্যবসা বলতে এখানে নতুন মোবাইলের ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে না। 
এখানে মোবাইল ব্যবসা বলতে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলের ব্যবসার কথা বলা হয়েছে। মার্কেটে এখন সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলের অনেক বেশি চাহিদা বেড়েছে। এখন অনেক অনলাইন ই কমার্স কোম্পানিগুলো এ ধরনের ব্যবসা শুরু করেছে। কারণ এটি রিস্ক ছাড়া একটি লাভবান ব্যবসা হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে।

৫। আপনি যদি রান্না করতে পছন্দ করে থাকেন অথবা বাসায় বসে রিস্ক ছাড়া কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে রান্না করে তা কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো এটি বেছে নিতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে না। 

এ ব্যবসা শুরু করার জন্য শুধু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এবং পরিকল্পনা করে করলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যাই। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই ব্যবসাটি একটি অনেক লাভবান ব্যবসা। এখন অনেক মহিলা ঘরে বসেই এ ধরনের ব্যবসা করে অনেক লাভবান হচ্ছে।

৬। আরেকটি রিস্ক ছাড়া ব্যবসা হচ্ছে ঔষধের ফার্মেসি দেয়া। আমাদের দেশে যেরকম রোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পারছে ঠিক সেরকম ঔষধ এর চাহিদা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম ওষুধ খেয়ে যাচ্ছে। 

এই ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনি লাভবান হতে পারেন। এটি এমন একটি ব্যবসা যার কাঁচামাল কিংবা প্রোডাক্ট পচনশীল নয়। আপনি একে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে বেশ কিছুদিন মূলধন বিনিয়োগ না করলেও এ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

বিশেষ করে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসী দ্বারা ব্যবসা শুরু করছে। কিন্তু এটির জন্য আপনার প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান। তাই এ ধরনের ফার্মেসি দেওয়ার পূর্বে কোন একটি ফার্মেসিতে থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। তারপরে নিজেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৫ হাজার টাকায় ব্যবসা

অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাই। কিন্তু কি ব্যবসা শুরু করবে সেটা ঠিকঠাক ভাবে বুঝে উঠতে পারে না। আর ঠিকঠাক ভাবে বুঝে না ওঠার কারণে অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি ব্যবসা শুরু করেন তারপরে সে ব্যবসা থেকে অনেক ক্ষতি হয়। 

তাই অবশ্যই আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সেই বিষয়ে প্রথমে ভালোভাবে পরিকল্পনা করে তার সুবিধা ও অসুবিধা বুঝে কতটুকু ক্ষতি হবে আর কতটুকু লাভ হবে সেগুলো জেনে তারপরে ব্যবসা শুরু করতে হবে। আমি এখন আপনাদের সামনে ৫ হাজার টাকায় সবচেয়ে সুবিধা জনক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব।

চায়ের দোকানঃ ৫০০০ টাকায় যদি ছোট কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য চায়ের দোকান সবচেয়ে সুবিধা জনক ব্যবসা হবে। চায়ের দোকান এর সাহায্যে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে খুব বেশি মূল্য বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়বে না। 
আর এই ব্যবসাতে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কম থাকে। তাই যদি আপনি স্বল্প মূলধন দিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য বেস্ট ব্যবসা হবে।

ইউটিউব চ্যানেলঃ স্বল্প মূল্যবান বিনিয়োগ করে অধিক লাভের জনপ্রিয় ব্যবসা বলা যেতে পারে ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা। যেমন ইউটিউব চ্যানেলের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন রকম রান্না শেখানো থেকে শুরু করে বিউটি টিপস তাছাড়াও হাতের কাজ সহ বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য অধিক লাভজনক একটি ব্যবসা।

লন্ড্রির ব্যবসাঃ ৫ হাজার টাকার মধ্যে একটি ব্যবসা হতে পারে লন্ড্রির ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করলেন আপনাকে খুব একটা মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে না। প্রথম দিকেই শুধু প্রয়োজনে কিছু জিনিসপত্র কেনার পরে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

এই ব্যবসা থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক সীমিত। তাই আপনি নিঃসন্দেহে আপনার স্বল্প মূলধনের কথা ভেবে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

সেলাই ব্যবসাঃ প্রতিটি মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময় পর নতুন নতুন কাপড় ব্যবহার করে থাকে। আর সেই সকল কাপড় তৈরি করার জন্য আমরা দর্জির কাছে যাই। তাই আজকাল মার্কেটে দর্জির চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আপনি যদি স্বল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সেলাই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে খুব বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে না। শুধুমাত্র একটি সেলাই মেশিন কিনে সেলাই মেশিনের কাজ শিখে আপনি খুব সহজেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করে ব্যবসাঃ স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে একটি অধিক লাভবান ব্যবসা হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং করে ব্যবসা করা। এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে খুব বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হয় না। শুধু প্রয়োজন হয় সু-পরিকল্পনা। 

প্রথমে আপনি আপনার এলাকার কিংবা এলাকার আশেপাশের যে কোন একটি বিখ্যাত পণ্য বেছে নিতে পারেন। আর সেই কোন ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে সেই পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন বিখ্যাত গ্রুপে সে সকল পণ্যের ছবি আপলোড করে বিক্রি করার চেষ্টা করতে পারেন। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে যারা নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করে দরকার হলে আপনি সেই সকল গ্রুপের সহায়তা নিতে পারেন।

স্ট্রিট ফুড এর ব্যবসাঃ ৫ হাজার টাকায় অধিক লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা। স্ট্রিট ফুড ব্যবসা স্বল্প মূলধনে অধিক লাভের একটি ব্যবসা। স্ট্রিট ফুড বলতে বোঝায় ফুচকা, ঝালমুড়ি কিংবা চটপটি ইত্যাদি ধরনের ফুড। 

যে সকল ফুড রাস্তার পাশে পাওয়া যায়। এ সকল ফুড ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই এই ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

এগুলো ছাড়াও আপনাদের সামনে আরও কয়েকটি ৫ হাজার টাকার ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

  • বাসায় বসে খাবারের ব্যবসা
  • ফ্লেক্সিলোড অথবা টেলিকম ব্যবসা
  • অনলাইনে বেকারির ব্যবসা
  • ট্যুর গাইড এর ব্যবসা
  • সিজিনাল ফলের ব্যবসা
  • সোফা ক্লিনিং সার্ভিস

১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

অনেকেই রয়েছেন যারা ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে অনেক বেশি আগ্রহী। কারণ অনেকেই স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে অধিক লাভ করতে চাই। সকলে চাই প্রথম দিকের অল্প কিছু মূল্যবান দিয়ে শুরু করে যে কোন ব্যবসা শুরু করতে। 

কারণ যদি ক্ষতি হয় তাহলে অল্প মূলধন যেন নষ্ট হয়। স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনারা প্রথম দিকে শুরু করতে পারবেন। সে সকল ব্যবসা দ্বারা লাভবান ও হওয়া সম্ভব। এখন আমি আপনাদের সামনে ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।

  • খাবারের হোম ডেলিভারি
  • অনলাইন বেকারি
  • বিউটিশিয়ান
  • গান অথবা নাচের স্কুল
  • ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • অনলাইনে পণ্য বিক্রি
  • ভিডিও এডিটিং
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসা
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • চায়ের দোকান
  • মোবাইল রিচার্জ এর দোকান
  • ইউটিউব চ্যানেল
  • বিদেশি ভাষা শিক্ষা
  • মধু উৎপাদন
  • দর্জির দোকান
  • পাইকারি মুদি মালের এস আর হয়ে ব্যবসা
  • লন্ড্রির দোকান
  • কাস্টমাইজড গয়না তৈরি করে
  • ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা
  • ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
  • ফটোগ্রাফি
  • টিউশন সেন্টার
  • ফলের রসের দোকান
  • সিজিনাল ফলের ব্যবসা
  • অনলাইনে কুটির শিল্পের ব্যবসা
  • সোফা ক্লিনিং সার্ভিস
  • ট্রাভেল এজেন্সি
  • মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা
  • ফুড ভ্যান
  • ওয়েডিং প্লানার
  • অনলাইনে শিক্ষকতা
  • ট্যুর গাইড
  • মেকআপ আর্টিস্ট
  • মোবাইল সার্ভিসিং

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা

আমরা সকলেই জানি বর্তমান বাংলাদেশ চাকরির অনেক বেশি অভাব। লেখাপড়া শেষ করেও অনেক ছাত্র-ছাত্রী বেকার জীবনযাপন করছে। কিন্তু চাকরি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। চাকরি না হলে আপনি কিছু মূলধন বিনিয়োগ করে যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

হয়তো আপনার সেই ব্যবসা আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেবে। আপনার মূলধন যদি ৫০ হাজার এর মত হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভালো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তাই চাকরির জন্য এদিক ওদিক ঘুরে না বেরিয়ে আপনি আপনার নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

অনেক সময় দেখা যায় মূলধন থাকার সত্ত্বেও সঠিকভাবে এপ্লাই করতে অনেকে ব্যর্থ হয়। কারণ তারা জানে না তাদের কোন কাজ অথবা ব্যবসা করা উচিত। আপনারও যদি এমন সমস্যা হয় তাহলে আপনার সুবিধার জন্য আমি ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

পোল্ট্রি ফার্মঃ আপনার মূলধন যদি ৫০ হাজার টাকা হয় তাহলে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে পল্ট্রি ফার্ম। আপনি আপনার এই মূলধন দিয়ে একটি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

হাস অথবা মুরগি পালনের ঘর তৈরি করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আরও অন্যান্য খরচ রয়েছে যেগুলোতে আপনি বাকি টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তাই আপনি ইচ্ছা করলেই ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

মাছ চাষঃ আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে মাছ চাষ করেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাছ চাষ আমাদের দেশের একটি প্রতি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে খুব বেশি মূলধন বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না। একটু প্রশিক্ষণ নিলেই আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারবেন।

ই-কমার্স ব্যবসাঃ এখনকার সময়ে ই কমার্স ব্যবসা একটি অতি জনপ্রিয় ব্যবসা। আপনার মূলধন যদি পঞ্চাশ হাজার হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই টাকা দিয়ে একটি ওয়েবসাইট কিনে সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এখন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স সাইটে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করে থাকে। এজন্য আপনার মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

অনলাইনে খাবারের ব্যবসাঃ আপনি আপনার এই মূলধন দ্বারা অনলাইনে একটি খাবারের ব্যবসা খুলতে পারেন। এখন আমাদের দেশে এরকম অনলাইনে খাবারের ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেমনঃ ফুডপান্ডা, পাঠাও, সহজ ফুড ইত্যাদি। এ সকল প্রতিষ্ঠান অনলাইনে খাবারের ব্যবসা করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। তাই আপনিও আপনার স্বল্প মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কফি শপঃ স্বল্প মূলধনে একটি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কফি শপ। আপনি যেকোন কলেজ অথবা স্কুলের সামনে একটি কফি শপ খুলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি কোন স্কুল অথবা কলেজের সামনে কফি শপ খুলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার জন্য অনেক বেশি লাভজনক হবে। 

কারণ স্কুল এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা দিতে এবং কফি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই এর ফলে আপনার কফি শপে সব সময় কাস্টমার থাকবে এবং আপনি লাভবান হবেন।

স্টেশনারি দোকানঃ আপনি আপনার ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একটি স্টেশনারির ব্যবসা চালু করতে পারেন। স্টেশনারি ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যার চাহিদা সব সময় থাকে। আপনি যদি পাইকারি বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন তাহলে তা থেকে লাভবান হওয়া যায়।

ফটোগ্রাফিঃ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা ব্যবসার মধ্যে আরেকটি লাভজনক ও জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে ফটোগ্রাফি করা। আপনি এই টাকা দিয়ে একটি ভালো ক্যামেরা ক্রয় করে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

এ ব্যবসা শুরু করলে এ ব্যবসার কোন রকম ঝুঁকি থাকে না। আর বিভিন্ন রকম বিয়েতে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে আপনি ফটোগ্রাফি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই এই কাজের উপর আপনার আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে।

এছাড়াও আরও কিছু ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

  • আপনি জুসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • একটি উন্নত মানের চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • মোবাইল রিচার্জ এর দোকান।
  • গিফট সব তৈরি ব্যবসা
  • ভিডিও এডিটিং ও সার্ভিসিং এজেন্সি তৈরি
  • অনলাইনে পোশাকের ব্যবসা
  • আপনার বাসাতেই অথবা অন্য কোন জায়গায় ছোট স্থানে আপনি একটি কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন।

সর্বশেষ কথা

আশা করছি আমার লেখা ১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে কিভাবে ব্যবসা করা সম্ভব এবং কোন কোন ব্যবসা করা সম্ভব। তাই লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে ছোটাছুটি না করে আপনিও শুরু করতে পারেন স্বল্প মূলধন দিয়ে আপনার একটি ব্যবসা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url