মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ আপনার অজান্তেই বড় কোন রোগ নয়তো
মাথা ভারী লাগার কারণ জানুনআপনার কি প্রায় মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথা করে ? আর সে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে
মাথাব্যথার ঔষধের নাম জানার ইচ্ছা আপনার। যদি এমনটা হয় তাহলে আপনি মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ এ আর্টিকেলটি পড়ুন। মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সুবিধার জন্য মাথা ব্যথা কমানোর
২০ টি ঔষধের নাম আলোচনা করেছি।
আপনারা মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ এই আর্টিকেলটি পড়ে মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম জেনে সে সকল ঔষধ ব্যবহার করে আপনার মাথা ব্যথা কমাতে পারবেন।
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ
কম বেশি আমাদের সকলেরই মাথা ব্যথা এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর এই মাথাব্যথা
বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেক সময় মাথাব্যথা এতটাই তীব্র হয় মাথাব্যথা কমানোর
ঔষধ খাওয়ার পরে মাথা ব্যথা ভালো হয়। সাধারণত বেশিরভাগ সময় মাথাব্যথা দেখা দেয়
জ্বর সর্দি থেকে।
কোন কারণে যদি কোন ব্যক্তির জ্বর অথবা সর্দি হয়ে থাকে তাহলে তার মাথাব্যথার
সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই ব্যথা হয় ক্ষণস্থায়ী। এই ধরনের মাথাব্যথা দেখা
দিলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ খাওয়ার ফলে ধরনের ব্যথা সেরে
যায়। অনেক সময় দাঁতের ব্যথা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়াও চোখ অথবা কান অথবা গলার কোন রকমের সমস্যা হলে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় ঘন ঘন মাথা ব্যথা করছে।
আরও পড়ুনঃ সর্দির ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে জানুন
মাথা ব্যথা ভালো হওয়ার পর আবার মাথা ব্যথা হচ্ছে। এটি হতে পারে আপনার বড় ধরনের
কোন রোগের লক্ষণ। যেমন মাইগ্রেন,ব্রেন টিউমার অথবা স্ট্রোক এর কারণ। এই ধরনের সমস্যার কারণে যদি মাথা ব্যথা হয় তাহলে এটি বড় ধরনের দুশ্চিন্তার কারণ। মাথাব্যথার সময় এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে আপনার কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আর এই বিষয়ে আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছে আমাদের কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি এক মাসের ভেতর আপনার ১৫ বারেরও বেশি মাথাব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই তখন আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাথা ব্যথা তীব্রতা যদি বাড়তেই থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাথা ব্যথার কারণে যদি প্রতিনিয়ত আপনার দীর্ঘদিনের কাজের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি আপনার মাথা ব্যথা সাধারণ মাথাব্যথার চেয়ে ভিন্ন হয় এবং এর তীব্রতা এতই বেশি যে আপনার সহ্য করার বাইরে হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা
আমরা বাঙালি আর আমাদের মত বাঙালিদের একটি প্রধান সমস্যা সব সময় দেখা যায় সেটি
হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা। কমবেশি সকলেরই এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর আমরা এই
সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক সময় নিজেরাই ডাক্তার হয়ে যাই।
আর সেই গ্যাস থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো এবং সেই গ্যাস থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে
আমরা নিজেরাই বলে থাকি। অনেককেই রয়েছে যারা শরীরের যে কোন সমস্যার জন্য গ্যাসকে
দোষারোপ করে বসে। মনে করে এ সমস্যা তার গ্যাসের কারণে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন
এই দোষারোপ মাথা ব্যথার উপরও চাপানো হয়। অনেকে মনে করে মাথাব্যথা গ্যাসের কারণে
হয়ে থাকে। কিন্তু এর সত্যতা কতটুকু তা অনেকেই জানেনা। এই গ্যাসের সমস্যা নিয়ে
কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়দীপ ঘোষ বলেছেন
আমাদের পেটের গ্যাস মাথা অব্দি যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
সেই কারণে গ্যাসের কারণে যে মাথা ব্যথা হচ্ছে এটি একদম ভুল ধারণা। তাই আমাদের এই
চিন্তাধারা বদলাতে হবে গ্যাসের কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে। তাই মাথা ব্যথার কারণে
গ্যাসের ঔষধ না খেয়ে আমি মাথা ব্যথা কমানোর ২০ টি ঔষধের নাম নাম উল্লেখ করব সে
সকল ঔষধ খেয়ে মাথা ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।
মাথার উপরে ব্যথার কারণ
আমাদের বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন রকম মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। কারো কারো মাথাব্যথার
ক্ষেত্রে দেখা যায় শুধু মাথার উপরে ব্যথা করছে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা
যায় মাথার এক সাইড ব্যথা করছে। আবার কখনো কখনো ঘাড় সহ মাথার পেছন দিক ব্যথা
করতেও দেখা যায়। মাথার ব্যথার এই ভিন্নতা বিভিন্ন কারণে দেখা দিয়ে থাকে।
অনেকের এলার্জির কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এলার্জির কারণে ব্যক্তির
স্নায়ুতন্ত্র ব্লকেজ হয়ে যায় ফলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পরে আর সেই কারণেই
পুরো মাথা ব্যথা হতে পারে। এরকম ব্যথা দূর করার জন্য আপনি অ্যান্টি হিস্টামিন
জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন। এছাড়াও আরেক ধরনের ব্যথা আছে যা কপাল জুড়ে হয়ে
থাকে।
আরও পড়ুনঃ ঘাড়ের রগে ব্যথা সারানোর উপায়
এ ধরনের ব্যথা সাইনোসাইটিস এর কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যথা হলে স্প্রে জাতীয়
ওষুধের মাধ্যমে ব্যথা সেরে যাই। মাইগ্রেন এর সমস্যার কারণে ব্যথা মাথার যেকোনো
একপাশে প্রচন্ড অনুভূত হয়ে থাকে। আর এই ধরনের ব্যথা ৪ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে যদি ব্যথা হয় তাহলে
আপনার মাথা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আর যদি আপনি কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা কিংবা অতিরিক্ত চিন্তা করেন তাহলে মাথার উপরে
ব্যথা হয়ে থাকে। আর এ ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেন সাধারণ মাথা ব্যথার ওষুধ
খেতে পারেন এছাড়াও একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। তাহলেই এ ধরনের মাথাব্যথা থেকে
মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার কারণ
অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে আমাদের মাথার পিছনে অনেক ব্যথা করছে। আর সেই ব্যথা
ঘাড় থেকে শুরু করে পিছন দিকে হয়ে থাকে। মাথাব্যথা অনেক সময় ছোট ছোট কারণে হয়ে
থাকে। আবার অনেক সময় মাথাব্যথা হয়ে থাকে বড় কোন রোগের লক্ষণ।
তাই যদি আপনার মাথা ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় এবং ঘন ঘন হয় তাহলে অবশ্যই
চিকিৎসকের নিকট গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন। মাথার পিছনে ব্যথা
হওয়ার কারণগুলো আলোচনা করলাম।
মাইগ্রেনের কারণে ব্যথাঃ কিছু কিছু মানুষের মাথা ব্যথা হলে মাথা মাথা
ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি হয় যে মাথা ব্যথার কারণে কোন রকমের কাজ করতে পারে না।
তা ছাড়াও মাথা ব্যথার পাশাপাশি বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যথা
হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে মাইগ্রেনের সমস্যা। আর মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা দুই
থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এ ধরনের ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে।
বাতের কারণে ব্যথাঃ মাথা এবং ঘাড়ের পেছনে ব্যথা হতে পারে আপনার বাতের
সমস্যার কারণে। অনেক সময় দেখা যায় বাতের ব্যথা থাকলে ঘাড় থেকে শুরু করে মাথার
পেছনে ব্যথা করে।
নিম্নচাপের মাথা ব্যথাঃ নিম্নচাপের মাথাব্যথা অনেক সময় সেরিব্রাল
মেরুদণ্ড থেকে যখন তরল চাপ সৃষ্টি হয় তখন এ ধরনের মাথা ব্যথা হয়। এ ধরনের
মাথাব্যথা মেরুদণ্ডের অপারেশনাল পদ্ধতির কারণে দেখা দিতে পারে যখন মেরুদণ্ড থেকে
তরল বেরিয়ে যায় তখন এ ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
ঘাড়ে আঘাতের কারণে ব্যথাঃ কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণে ঘাড়ে আঘাত পায়
তাহলে তার এই ব্যথা ঘাড় থেকে শুরু করে মাথার পিছনে দেখা দিয়ে থাকে। আস্তে আস্তে
এ ধরনের ব্যথা মাথার পেছন থেকে কানের কাছাকাছি পৌঁছে যাই।
সাবআরকানয়েড হেমোরেজের কারণে ব্যথাঃ অনেক সময় দেখা যায় মাথার পেছন সাইডে
প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা করছে কিন্তু বাইরে কোন রকম আঘাত অথবা লক্ষণ বোঝা যাচ্ছে না।
এ ধরনের ব্যথা হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের পর্দার ভেতরে রক্তক্ষরণ হলে। এ ধরনের
ব্যথা হলে দ্রুত আপনাকে চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথা যতদিন থাকবে ব্যথা ততদিন থাকবেই। এই নিয়ে বেশি চিন্তা করা যাবে না। এ নিয়ে
যদি বেশি চিন্তা করেন তাহলে মাথা ব্যথা বৃদ্ধি পাবে কমবে না। তাই মাথা ব্যথা থেকে
মুক্তি পেতে অবশ্যই অতিরিক্ত চিন্তা করা কমিয়ে দিন। ছোট বড় বিভিন্ন কারণে
আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
কখনো কখনো সে মাথা ব্যথা হয় ক্ষণস্থায়ী আবার কখনো কখনো হয় দীর্ঘস্থায়ী। কখনো
কখনো মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন রকম পেইনকিলার ঔষধ খেতে হয় আবার কখনো
কখনো একটু বিশ্রাম নিলে মাথাব্যথা কমে যায়। মাথা ব্যথার ধরন বিভিন্ন রকম।
তাই আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মাথা ব্যথা কি কারণে হচ্ছে। আপনি যদি আপনার মাথা
ব্যথার কারণ খুঁজে পান তাহলে খুব দ্রুত সে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমি আপনাদের সামনে এখন মাথাব্যথার কারণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। মাথা ব্যথার কারণ কি কি তা জেনে নিন।
কারণঃ
- আপনি যদি কোন কারণে অতিরিক্ত টেনশন করেন অথবা চিন্তা করেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে।
- মাইগ্রেন এর সমস্যার কারণে ঘন ঘন এবং তীব্র আকারে মাথা ব্যথা দেখা দিয়ে থাকে।
- যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত চা অথবা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তারা যদি চা অথবা কফি না খাই তাহলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- আমাদের ব্রেনের কোন ধরনের সমস্যা যেমন টিউমার অথবা অন্য কারণে ব্রেন ইনফেকশনে আক্রান্ত হলে যে ধরনের ব্যথা সৃষ্টি হয় তাকে সেকেন্ডারি হেডেক বলা হয়ে থাকে।
- আমাদের চোখের আশেপাশে থেকে শুরু করে যে ব্যথা শুরু হয় তাকে ক্লাস্টার হেডেক অথবা মাথা ব্যথা বড় হয়ে থাকে। এ ব্যথা অনেক তীব্র হয়। এই ধরনের ব্যথা সৃষ্টির নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে না। একটি নির্দিষ্ট দিনে কয়েকবার এ ধরনের ব্যথা হতে পারে।
- ক্রনিক ডেইলি হেডেক এ ধরনের ব্যথা মাসের ভেতর প্রায় প্রতিদিনই দেখা দেয়। কমবেশি প্রতিদিন আয় মাথার ভেতর চিনচিন করে। এ ধরনের ব্যথার কারণে একটু বিশ্রাম নিলে কিংবা ঘুম গেলে ঠিক হয়ে যাই।
- মেয়েদের শরীরে হরমোনের অসমতা দেখা দিলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- স্বামী স্ত্রীর মিলনের আগে অথবা পরে কখনো কখনো মাথা ব্যথা দিতে পারে। এই মাথাব্যথা সেক্সুয়াল কারণে হয়ে থাকতে। এই মাথা ব্যথার ধরন খুব একটা তীব্র হয় না। মৃদু মৃদু মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।
- আমাদের নাকের দুই পাশের হাড় ও কপালের হাড়ের ভেতর অনেক ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা থাকে। সেই সকল জায়গাকে সাইনাস বলা হয়ে থাকে। এ সকল সাইনাসের আবরণে প্রদাহ হলে বাতাস ও সর্দি জমে এ সকল জায়গায় তীব্র ব্যথা শুরু হয়। যা আমরা বলতে পারি সাইনাসের কারণে ব্যথা।
- কখনো কখনো যদি আমাদের কোন কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে মাথা ব্যথা করে। কোন রকম কারণ ছাড়াই এ ধরনের মাথাব্যথা হয়। এ ধরনের মাথাব্যথা কে সাইকোজেনিক মাথাব্যথা বলা হয়ে থাকে।
- অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের ঘুমানোর সময় ঠিক থাকে না। সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
- আবার কখনো কখনো খাবার অনিয়ম ভাবে খাওয়ার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
প্রতিকারঃ
- আপনার যদি প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে তাহলে কোন ধরনের কাজ না করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার ফলে আপনার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
- অনেক সময় শরীরের পানি কমে যাওয়ার কারণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই যদি আপনার মাথা ব্যথা হয় তাহলে প্রথমে নিশ্চিত করুন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করেছেন কিনা। যদি না করে থাকেন তাহলে দুই গ্লাস পানি পান করে নিন।
- কিছু কিছু তেল রয়েছে যেগুলো আমাদের মাথা ব্যথা উপশম করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যেমন ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট ইত্যাদি। আপনার মাথাব্যথা কমানোর জন্য এই সকল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- আদা চা মাথা ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার মাথাব্যথা দূর করার জন্য আপনি আদা দিয়ে কড়া করে চা বানিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
- আপনার যদি টেনশনের কারণে মাথাব্যথা হয় তাহলে আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
- লবঙ্গের ঘ্রাণ মাথাব্যথা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনার যদি অনেক বেশি মাথা ব্যথা হয় তাহলে কয়েকটি লবঙ্গ দাওয়াতে গরম করে নিয়ে তা কোন পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে সেটির গন্ধ নিতে পারেন। আপনার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
- আপনার যদি ঠাণ্ডা লাগা থেকে সর্দি জ্বর ও মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ধরনের মাথাব্যথা কমাতে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেতে পারেন। সকালে মধু খাওয়ার হলে আপনার জ্বর সর্দি সমস্যা কমে যাবে এবং মাথা ব্যথা কমে যাবে।
মাথা ব্যথা কমানোর ২০ টি ঔষধের নাম
আমাদের অনেক সময় মাথা ব্যথা এতটাই তীব্র হয়েছেন কোন রকম ঔষধ না খেলে সেই মাথা
ব্যথা সারতে চাই না। সে সকল মাথাব্যথা দূর করার জন্য আমাদের কোন একটি পেইন কিলার
অথবা মাথা ব্যথার ঔষধ খেতে হয়। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি মাথা ব্যথা কমানোর ২০
টি ঔষধের নাম আলোচনা করলাম।
- Napa Extra
- Norium
- Tolfi
- mygan
- Migratol
- Arain
- Tolmic
- Migrex
- Emijoy
- Rizamig
- Lograin
- Pizofen
- Anilic
- Namitol
- Nexcital
- Topirva
- Lasmi
- Tufnil
- Tryptin
- Minopa
আমি আপনারদের সুবিধার্থে মাথা ব্যথা কমানোর ২০ টি ঔষধের নাম আলোচনা করলাম ঠিক।
কিন্তু যে কোন ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া কখনোই ঠিক নয়।
সর্বশেষ কথা
আশা করছি আমার লেখা মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
বুঝতে পেরেছেন মাথাব্যথা কোন পর্যায়ে গেলে আপনার একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ওষুধ
খাওয়া ছাড়াও কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার মাথা ব্যথা কমে যাবে।
আপনারা আমার ওয়েবসাইট এর আরও আর্টিকেল পড়ে দেখতে পারেন। আমার ওয়েবসাইটে
বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য দ্বারা আর্টিকেলগুলো সাজানো হয়েছে। যে সকল তথ্য দ্বারা
আপনারা উপকৃত হবেন। এছাড়াও যদি আপনাদের কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করব।
''ধন্যবাদ''
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url