কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম যা অনেক বেশি কার্যকরী
আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন? যদি এমনটা হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেল
আপনার জন্যই। আমার লেখা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম এই আর্টিকেলটি আমি
বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাজিয়েছি। এই আর্টিকেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কোন
ভিটামিনের অভাবে হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করেছি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
আশা করছি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাবেন। তাই প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়
প্রতিটি মানুষের একটি পরিচিত সমস্যা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। কম বেশি সকলেই এই
সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। কখনো কখনো সাময়িক সময়ের জন্য আবার কখনো কখনো বেশ
কিছুদিনের জন্য। আমরা অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হই কিন্তু জানি না কেন
কোষ্ঠকাঠিন্য হয় কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি? এই কথা অনেকেই জানেন। ইংরেজি (Constipation) যাকে আমরা বাংলায়
কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি।
আরও পড়ুনঃ মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ সম্পর্কে জানুন
কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে আমাদের শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা। কোন ব্যক্তি যখন সহজে
মলত্যাগ করতে সক্ষম হয় না তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য
কখনো কখনো সাময়িক সময়ের জন্য হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের খাওয়া দাওয়া
এবং জীবন ব্যবস্থা। আসুন এখন আমরা জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়।
- ফাইবার এবং আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে পানি কম পান করা।
- পায়খানার বেগ আসার পরেও মলত্যাগ না করে তা চেপে রাখা।
- মানসিক চাপ এবং বিষন্নতা বৃদ্ধির ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- অনেক সময় বিভিন্ন রকম ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
- অনেকেই আছেন খাবার একদম অল্প পরিসরে খেয়ে থাকেন এই কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যেমন গরুর মাংস বেশি খেলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ
একটি মানুষের বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে একটি মানুষ
অনেকটা বিরক্তি বোধ অনুভব করে। তাই মনে মনে চাই যেন কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ঘরে বসেই মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কিডনি রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানুন
একটি মানুষের যখন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় তখন বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ
পাই। সাধারণত সপ্তাহে যদি কোন ব্যক্তির তিনবারের কম পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে
তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ গুলো আলোচনা করলাম।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে স্বাভাবিকের তুলনায় পায়খানা অনেক বেশি শুকনো এবং শক্ত হয়ে যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানার আকৃতি অনেকটা বড় হয়।
- পায়খানা করতে অনেক কষ্ট হয়ে থাকে।
- পায়খানা করার পরেও মনে হয় পেট পরিষ্কার হয়নি।
- অনেক সময় পেট ব্যথা করে এবং পেট ফাঁপা মনে হয়।
উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝবেন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন।
আর সেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে সেগুলো অবলম্বন করে যদি আপনার সমস্যার কোনরকম পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য সিরাপ খেতে পারেন।কিন্তু অবশ্যই যে কোন ঔষধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরে সেই মোতাবেক ঔষধ খেতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি কিছু সিরাপ এর নাম উল্লেখ করলাম। যে সকল সিরাপ খাওয়ার পর আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে পারবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম আলোচনা করলাম:
- Duiax Syrup
- Cremaffin Syrup
- Milk of Magnesia
- Avolac Syrup
- Dlac syrup
- Lactulose Syrup
- Dulcoflex Syrup
- Ezyfeel Syrup
অবশ্যই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যা আমরা খুব সহজেই কিছু খাবার খেয়েই দূর করতে
পারি। কোষ্ঠকাঠিন্য মারাত্মক কিংবা বড় ধরনের কোন রোগ নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন
পর্যন্ত কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার ফলে অনেক সময় বিভিন্ন রকম বড় বড় রোগ হতে পারে।
যেমন দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার ফলে অনেক সময় পাইলস রোগ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয় তা জানুন
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ ছোট হোক
কিংবা বড় কোন অসুখ অবহেলা করা উচিত নয়। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। আপনি এখন
মনে মনে ভাববেন পানি খেয়ে কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে পানি পায়খানা নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আপনি ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ফাইবার জাতীয়
খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য
আপনি প্রতিদিন একটি করে খোসা সহ আপেল খেতে পারেন।
এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। আপনার খাদ্য তালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার যোগ করুন। এই সকল খাবার খাওয়ার ফলে
কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেছে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা
থেকে মুক্তি পেতে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রোটিন এর পরিমাণ কমিয়ে দিন। খাবারে যদি
প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে তাতে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে একটি মানুষের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই
আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে
তা অবলম্বন করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কোনরকম
মারাত্মক রোগ না হলেও দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার ফলে বিভিন্ন রকম মারাত্মক রোগ
হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো জেনে নিন।
- কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে আমাদের মলদ্বার দিয়ে অনেক সময় রক্ত বের যার ফলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শরীরের অবসান এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এই সমস্যা হলে কোমর ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্যর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে পেট ব্যথা করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে অনেক সময় চর্মরোগ দেখা দিয়ে থাকে।
- অনেক সময় আলস্য বৃদ্ধি পায় এবং মনোযোগ হ্রাস পায়।
উপরে উল্লেখিত সমস্যা গুলো যদি কোন ব্যক্তির স্বল্প সময়ের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
তাহলে দেখা দিয়ে থাকে। তাছাড়া ও কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলো দেখা যায় যদি কোন
ব্যক্তির দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য
থাকার ফলে পাইলসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও হতে পারে এনালফিশার।
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার ফলে মলদ্বার বাইরে বেরিয়ে আসার সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও খাদ্যনালীতে আলসার এবং খাদ্যনালী ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
তাই অবশ্যই যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাই ভোগেন তাহলে সেটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
সমাধান করার চেষ্টা করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় পড়েছেন। তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার শরীরে কোন এক
ভিটামিনের অভাব হয়েছে। আপনি কি জানেন কোষ্ঠকাঠিন্য কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে হয়। যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়
তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কারণ একটি মানুষের শরীরে যখন ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য
সমস্যা প্রকাশ পায়। তাই অবশ্যই আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে
আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ সরবরাহ করতে হবে। এই কারণে বেশি বেশি যে সকল খাবারে
ভিটামিন বি ১২ রয়েছে সে সকল খাবার গুলো খেতে হবে।
ভিটামিন ১২ বি জাতীয় খাবার গুলো হচ্ছে ডিম, দই, দুধ, চিজ, খাদ্যশস্য, টুনা ও
স্যামনের মত সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি এ সকল খাবার খেয়ে আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২
এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য এমন ধরনের একটি সমস্যা যেই সমস্যা আমরা ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতি
অবলম্বন করে খুব সহজেই সমাধান করতে পারব। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের
ডাক্তারের কাছে না গেলেও চলে।
কিন্তু দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না হলে আপনি
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। সাময়িক সময়ের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ঘরোয়া কিছু
পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন এখন
জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
ত্রিফলাঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার একটি কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ত্রিফলা।
চিকিৎসক গণদের মতে ত্রিফলাতে রয়েছে গ্লাইকোসাইড। যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি গরম জলে ত্রিফলা মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
এতে করে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন।
কমলাঃ আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি বেশি বেশি করে কমলা
খেতে পারেন। কমলা আপনার মল নরম করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কমলা তে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ফাইবার। যা খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা
খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
ইসবগুলের ভুষিঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে
ইসবগুলের ভুষি। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি নিঃসন্দেহে ইসব
গুলের ভুষির সাহায্য নিতে পারেন।
অনেকে মনে করে ইসবগুলের ভুষি রাতে ভিজিয়ে রেখে
সকালে খেতে হয়। এটা একদম ভুল ধারণা। ইসবগুলের ভুষি পানির সাথে মেশানোর সাথে সাথে
খেয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে থেকে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি
মিশিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে।
লেবুর শরবতঃ লেবুর শরবত খেয়ে আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে
পারেন। লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্ষমতা
বাড়ায়। যা আমাদের শরীরের দূষিত উপাদান বের করে থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে এক
গ্লাস পানির সাথে একটি লেবু কেটে রস করে খেতে পারেন এতে করে খুব সহজেই আপনার
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
কিসমিসঃ কিসমিস আমাদের হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পানিতে কয়েকটি কিসমিস রাতে ভিজিয়ে
রেখে সকালে খালি পেটে খেলে খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া
যাই।
আঁশযুক্ত খাবারঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনার দৈনন্দিন
খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আপনার খাদ্য তালিকায়
আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
পানি পান করাঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি
পান করতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে সেই পানি আপনার মলকে নরম করতে সাহায্য করে। তাই
খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি খেলে ভালো হয়
অনেকেই রয়েছে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার জন্য বিরক্তিতে রয়েছেন। যদি আপনি
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে ঘরে বসে মুক্তি পেতে চান তাহলে কিছু কিছু খাবার রয়েছে
যেগুলো খেতে পারেন। সেই সকল খাবার খাওয়ার ফলে খুব অল্প সময়ে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য
সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আসুন তাহলে জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য কি খেলে ভালো হয়।
১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনি সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজির ভেতর যে
সকল শাকসবজিতে ফাইবার বেশি রয়েছে সে সকল শাকসবজি খেতে পারেন। কারণ ফাইবার আমাদের
শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরেকটি মুখ্য খাবার তিসির বীজ।তিসির বীজ আমাদের মল নরম
করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার জন্য আপনি
নিঃসন্দেহে তিসির বীজ খেতে পারেন।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আপনি ডাল খেতে পারেন। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার। যা আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সহজ করে। তাই
আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ডাল রাখার চেষ্টা করুন।
৪। আপেল খাওয়ার মাধ্যমেও আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন খোসা সহ একটি করে আপেল খান। এতে আপনি
অনেকটা উপকার পাবেন।
৫। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পানি আমাদের
মল নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে থাকে। শরীরে পানির অভাবের কারণে অনেক
সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
৬। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার আরেকটি প্রধান খাবার হচ্ছে ইসবগুলের ভুষি। ইসবগুলের
ভুষি খাওয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হলে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে এক থেকে দুই চামচ
ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা
দূর হয়ে যাবে।
৭। টক দই আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে অনেকটা সাহায্য করে। টক দই এ রয়েছে ল্যাকটিক
এসিড যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। তাই প্রতিদিন খাবার পর টক দই খেতে
পারেন। এতে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।
শেষ কথা
আশা করছি আমার লেখা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম এই আর্টিকেলটি পরে আপনি
আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে
নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ুন।
আপনি যদি আপনার কোন মন্তব্য কিংবা মতামত
প্রকাশ করতে চান এবং যদি কোন প্রশ্ন করতে চান তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। আমি
আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url