বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন

আপনার বাচ্চা কি কানের ব্যথার জন্য কান্না করছে? আপনি যদি কানের ব্যথার সমাধান খোঁজেন তাহলে আমার লেখা বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি এই আর্টিকেলটি পড়ুন। বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি এই আর্টিকেলে আমি বিস্তারিতভাবে বাচ্চাদের কানে ব্যথা কেন হয় এবং বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয়
আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

বাচ্চাদের কানে ব্যথা কেন হয়

বাচ্চাদের বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে কানে ব্যথা এই সমস্যাটি বেশি পরিচিত সমস্যা। প্রায় সকল শিশুর মাঝে মাঝে কানে ব্যথা হয়ে থাকে। যে কারণে একটি বাচ্চা অনেকটা অস্বস্তি বোধ করে কিংবা খিটখিটে হয়ে ওঠে। 

বড়দের তুলনায় ছোটদের কানের ব্যথা এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ নবাগত শিশু যাদের বয়স ৬ মাস থেকে ১২ মাস শিশুদের কানের ব্যথার সমস্যা একটু বেশি লক্ষ্য করা যায়। নবজাতক শিশু ছাড়াও ছোট বাচ্চাদের ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চাদেরও কানের ব্যথা অনেক বেশি দেখা যায়। 
তাই বাচ্চাদের কানের ব্যথা দূর করার জন্য আমাদের বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি এ সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে কখনোই তা ঠিক করা সম্ভব নয়। 

ছোট ছোট বিভিন্ন কারণে বাচ্চাদের কানে ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় বড় কোন সমস্যার কারণেও বাচ্চাদের কানে ব্যথা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই যদি বাচ্চার কানে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে তার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • বাচ্চাদের কানে ব্যথা কেন হয় নিচে সেই সম্পর্কে আলোচনা করলাম
  • যদি বাচ্চাদের কাত করে শুয়ে দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে বাচ্চার কানের ব্যথা হয়ে থাকে।
  • বাচ্চা যদি সিগারেটের ধোঁয়া কিংবা যেকোনো বায়ু দূষণের শিকার হয়ে থাকে তাহলে সেই বাচ্চার কানে ব্যথা দেখা যায়।
  • অনেক বাচ্চা রয়েছে যাদের এলার্জি থাকে আর সেই এলার্জির কারণেও অনেক সময় কানে ব্যথা হয়ে থাকে।
  • বাচ্চার যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে বাচ্চার কানে ব্যথা হতে পারে।
  • একটি বাচ্চা যদি প্রচন্ড কানে ব্যথা বলে তাহলে তার কানের ভেতরে ফোঁড়া কিংবা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দাঁত ব্যথার কারণেও অনেক সময় বাচ্চাদের কানের ব্যথা হতে পারে।
  • কানের পর্দায় কটন কিংবা কোন কিছু দ্বারা আঘাত পেলে কানে ব্যথা হতে পারে।

বাচ্চাদের কানে ময়লা হলে করণীয়

বাচ্চাদের কানে ময়লা এটি একটি সাধারণ বিষয়। কারণ আমরা সকলেই জানি যদি কান থাকে তাহলে সেই কানে অবশ্যই ময়লা থাকবেই। আমাদের নিয়মিতভাবে কানের সে সকল ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। 

বড়দের তুলনায় ছোটদের কানের গঠন অনেক নরম ও পাতলা হওয়ার কারণে বাচ্চাদের কানে ময়লা পরিষ্কার করার সময় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর নিয়মিত কানের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। 
বাচ্চাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে যেভাবেই হোক কানে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। বাচ্চা যদি কানের ময়লা পরিষ্কার না করতে দেয় তাহলে যদি আপনি সেভাবেই রেখে দেন তাহলে তা বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

কিন্তু অবশ্যই আপনার বাচ্চা যদি কানের ময়লা পরিষ্কার করতে না দেয় তাহলে জোর করে কখনোই কানের ময়লা পরিষ্কার করতে যাবেন না। বিশেষ করে জোর করে কানের ভেতর কটন কিংবা অন্য কোন কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

যদি আপনার বাচ্চা ময়লা পরিষ্কার করতে না দেয়ই তাহলে আপনি তা পরিষ্কার করার জন্য ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও যদি আপনার বাচ্চা কোনভাবেই স্থির না থাকে তাহলে সে বাচ্চাকে কিছুক্ষণের জন্য গভীর ঘুম দিয়ে আপনি তাদের ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চিন্তা করার তেমন কিছু নেই কারণ এটি চিকিৎসকের পরামর্শ মূলক পদ্ধতির মধ্যে একটি।

ঠান্ডায় কানে ব্যথা হলে করণীয়

অন্যান্য ঋতুর তুলনাই শীতকালে আমাদের কানের ব্যথা একটু বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শীতকালে জ্বর ও সর্দি বেশি হয়ে থাকে সেই কারণে মাঝে মাঝেই তাদের  কানের ব্যথা হয়ে থাকে। তাই শীতের সময় আপনাকে একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে। 

যদি ঠান্ডা লাগার কারণে কান ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এমন সকল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে যে সকল কাজ থেকে আপনাকে ঠান্ডা লাগতে পারে। কানের ব্যথার কারণে বিভিন্ন রকম ব্যথা নাশক প্যারাসিটামল ঔষধ খেতে পারেন। 
কিংবা কানের ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম সেকঁ দেওয়ার ফলে আপনার কানের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে করে তাদের কোন কারণে ঠান্ডা না লাগে। ঠান্ডা লাগার কারণে যদি বাচ্চার কানে ব্যথা হয় তাহলে তাকে জ্বরের ঔষধ কিংবা ঠান্ডা লাগার ঔষধ খাওয়াতে পারেন এতে করে বাচ্চার কানের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয়

বিভিন্ন কারণে একটি বাচ্চার কানে ব্যথা হতে পারে। আপনি কি বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানেন? ছোট বাচ্চারা তাদের সমস্যার কথা আমাদের সরাসরি বলতে পারেনা। তাই তাদের আচরণ এবং ব্যবহার দেখে আমাদের বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মাঝে মাঝে কানে ব্যথা ছোট কোন কারণে হতে পারে যা আমরা ঘরে বসেই সমাধান করতে পারব। 

আবার অনেক সময় কানে ব্যথা বড় কোন সমস্যার কারণ ও হতে পারে তখন আমাদের দ্রুত চিকিৎসকের নিকট যাওয়া প্রয়োজন। গঠনগত পার্থক্যর কারণে বড়দের তুলনায় ছোটদের কানের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। তাই বাচ্চার কানের ব্যথা দূর করতে চাইলে আমাদের বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আসুন এখন আমরা জেনে নেই বাচ্চাদের কানের ব্যথা হলে করণীয় গুলো কি কি।
  • অনেক সময় বাচ্চার ঠান্ডা লাগার কারণে কানে ব্যথা হয়ে থাকে তাই যদি আপনার বাচ্চা কানে ব্যথার কথা বলে তো প্রথমে তাকে জ্বরের ঔষধ খাওয়াতে পারেন। অনেক সময় জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর ফলে কানের ব্যথা কমে যায়।
  • বাচ্চার কানে ব্যথা হলে ব্যথা নাশক ঔষধ দ্বারা ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।
  • যদি বাচ্চার কানের ব্যথা কোনরকম ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যথা দূর করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে।
  • বাচ্চার কানের ব্যথার সাথে যদি পুঁজ কিংবা পানি বের হয় তাহলে কানের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • কানে অতিরিক্ত ময়লা জমার কারণেও অনেক সময় কানে ব্যথা করে সেহেতু অলিভ অয়েল দ্বারা কানের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
  • যদি আপনার বাচ্চার দাঁতের ব্যথার কারণে কানে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে দাঁতের ব্যথা সারানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ দাঁতের ব্যথা সেরে গেলে কানের ব্যথা সেরে যাবে।
  • কানের ব্যথা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট গিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
  • যদি আপনার বাচ্চা চুইংগাম চিবাতে পারেন তাহলে কানে ব্যথা দূর করার জন্য তাকে চুইংগাম চিবাতে দিতে পারেন। কারণ চুইংগাম জীবাণুর ফলে কানের ব্যথা অনেকটা কমে যায়।

কান ব্যথা ঘরোয়া সমাধান

আমরা সকলেই কখনো না কখনো কানে ব্যথা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন রকম কারণে আমাদের কানে ব্যথা হয়ে থাকে। কানের ব্যথা সারানোর জন্য আমরা চিকিৎসকের নিকট যাই। কিন্তু আমাদের কানের সকল ব্যথার জন্য চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে আমাদের ঘরে থাকা কিছু জিনিসপত্র দ্বারা ঘরোয়া উপায়ে আমরা আমাদের কানের ব্যথা সারানোর চেষ্টা করতে পারি। 

আমাদের সকলের বাসায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান যেগুলো দ্বারা আমরা খুব সহজে আমাদের কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু সেই সকল পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও যদি কানের ব্যথা ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকের নিকট গিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 

দাঁত,নাক, কান একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে একটির সমস্যার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তাই যদি কানের ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই ব্যথা সারানোর চেষ্টা করতে হবে।কান ব্যথা ঘরোয়া সমাধান গুলো আলোচনা করলাম।

অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল কানের ব্যথা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার যদি কানে ব্যথা হয় তাহলে আপনি অলিভ অয়েল দ্বারা সেই ব্যথা দূর করতে পারবেন। আপনার যদি কানে ব্যথা হয় তাহলে কানের ভেতর চার থেকে পাঁচ ফোঁটা অলিভ অয়েল দিতে পারেন। এতে করে আপনার কানের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

রসুনঃ আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরের যে কোন ব্যথা দূর করতে রসুন এর অবদান অনেক বেশি। রসুন আমাদের শরীরের পাশাপাশি আমাদের কানের ব্যথা দূর করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। 

আপনার কানের ব্যথা দূর করার জন্য ২ টেবিল চামচ তিলের তেলের ভেতর রসুন খেতে করে দিয়ে তা গরম করে নিন। এবার সেই তেল ঠান্ডা করে আপনার কানে দুই থেকে তিন ফোঁটা দিন। এতে করে দেখবেন আপনার কানের ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

গরম সেঁকঃ গরম সেঁক নেওয়ার ফলেও অনেক সময় আমাদের কানের ব্যথা অনেকটা কমে যায়। তাই আপনার কানের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি গরম সেঁক নিতে পারেন। এতে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন। এছাড়াও যদি আপনার কানে পুঁজ জমা থাকে তাহলে আপনি গরম সেঁক নিতে পারেন এতে করে আপনার কানের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ ঝরে যাবে। ফলে আপনার কানের ব্যথা কমে যাবে।

নিম পাতাঃ নিম পাতা আমাদের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। আমাদের কানের ব্যথা সারানোর জন্য নিমের পাতা নিঃসন্দেহে আমরা ব্যবহার করতে পারি। কয়েকটি নিয়মের কথা নিয়ে তা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। 

এবার সেই নিমের পাতা থেক নিয়ে নিমের কথা রস দুই থেকে তিন ফোটা কানের ভেতর দিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনার কানের ব্যথা অনেকটা কমে গেছে। নিম পাতার রসের পরিবর্তে আপনি নিমের তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।

ভিনেগারঃ ভিনেগার আমাদের কানের ব্যথা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ভিনেগার এর ভেতর এমন এক ধরনের এসিড থাকে যা আমাদের কানের সংক্রমণ কমিয়ে দেয়। এক চামচ সাদা ভিনেগার ও রাবিং অ্যালকোহল একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। 

 এবার এই মিশ্রণটি আমাদের কানে দুই থেকে তিন ফোঁটা দিতে হবে। এই মিশ্রণ কানে দেয়ার পর কিছুক্ষণ কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। তারপর মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে কানের ভেতর থেকে তরলটা বের করে দিতে হবে।

আদাঃ এটি আমাদের সকলের ঘরেই রয়েছে। আদা যে কোন ব্যথা উপশম করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনার কানের ব্যথা কমাতে আপনি সন্দেহে আদা বেছে নিতে পারেন। আদার রস বের করে সেই রস ছেকে আপনার কানে দুই থেকে তিন ফোঁটা দিতে পারেন। খুব দ্রুতই এর কার্যকারিতা নিয়ে দেখতে পাবেন।

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো আপনার কানের সাময়িক ব্যথা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আপনার কানে যদি কোনরকম ইনফেকশন এর কারণে দেখা হয়ে থাকে তাহলে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলেও আপনার কানের ব্যথা দূর হবে না। তখন অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর যেকোনো কাজ করতে হবে।

বাচ্চাদের কানের ড্রপ

বাচ্চাদের কানের ব্যথা হলে অবশ্যই আগে আমাদের জানতে হবে বাচ্চাদের কানের ব্যথা হলে করণীয় কি কি। কারণ অনেক সময় ছোট কোনো কারণে বাচ্চাদের ব্যথা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি বাসায় কিছু নিয়ম মেনে সেই ব্যথা দূর করতে সক্ষম হবেন। 

অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের কানের ব্যথা তীব্র আকারে হচ্ছে কিংবা কোনরকম ইনফেকশনের কারণে ব্যথা হচ্ছে তখন আপনাকে সেই ব্যথা সারানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। 

 চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কানের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় চিকিৎসক কানের ব্যথা সারানোর জন্য ড্রপ নাকে দেওয়ার কথা বলেন। কারণ নাকের সাথে আমাদের কানের একটি সংযোগ রয়েছে। তাই কানে ব্যথা সারানোর জন্য সরাসরি কানে ড্রপ ব্যবহার করতে না দিয়ে নাকে ড্রপ ব্যবহার করার কথা বলে থাকেন। 

তাই অবশ্যই আপনি এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নিবেন। বাচ্চাদের কান যেহেতু বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে তাই অবশ্যই কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কানের ড্রপ ব্যবহার করবেন না। আপনাদের সুবিধার জন্য বাচ্চার কানের ড্রপ এর নাম দিলাম।

Waxonil Kid Ear Drop এটি বাচ্চাদের কানের ব্যথা দূর করার একটি অতি পরিচিত ড্রপ। আপনার বাচ্চার কানের ব্যথা দূর করতে নিঃসন্দেহে এই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন । এই ড্রপ কানের সংক্রমণের লক্ষণ গুলি কমিয়ে থাকে এবং আমাদের কানকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই ড্রপটি নিরাপদ এবং অনেক কার্যকরী।

সর্বশেষ কথা

কানের ব্যথা সবসময়ই অতি চিন্তার বিষয় না হলেও অনেক সময় এটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কানে ব্যথা যদি কোনরকম ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এটিকে অবহেলা করা যাবে না। আর যদি ছোট কোন বিষয়ে কানে ব্যথা হয়ে থাকে তো আপনি বাসায় বসে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আশা করছি আমার লেখা বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে করণীয় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন। এরকম আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেলগুলো পড়ুন। আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url