জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না
আপনার শরীরে কি জন্ডিস ধরা পড়েছে? এখন আপনি চিন্তায় আছেন জন্ডিস হলে কি খাবেন আর কি খাবেন না। যদি এমনটা হয় তাহলে আমার লেখা জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আমি
আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ এবং জন্ডিস হলে কি খেতে হয় -
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না আলোচনা করেছি।
আশা করছি আমার লেখা জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জন্ডিস কেন হয়
জন্ডিস এই এই নামটি আমরা সকলেই জানি। কম-বেশি সকলের জন্ডিস হয়েছে। কিন্তু আমরা
কি আসলে জানি যে জন্ডিস কোন রোগ নয়। এটি একটি রোগের লক্ষণ। জন্ডিস হলে আমরা মনে
করি যে এটি একটি রোগ। কিন্তু বাস্তব কথাই এটি কিন্তু রোগ নয় যা আমরা অনেকেই
জানিনা। আবার অনেকে আছে জানি জন্ডিস হয়েছে কিন্তু জন্ডিস হলে কি খেতে হয় -
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা।
আরও পড়ুনঃ ঘাড়ের রগে ব্যথা সারানোর উপায়
এখন আমরা জানবো জন্ডিস কেন হয়। একটি মানুষের চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া
এবং প্রসাব হলুদ হওয়া এটিকে আমরা জন্ডিসের লক্ষণ হিসেবে জানি। কিন্তু আমাদের
চোখে মুখে এই হলুদ ভাব কেন হয়। প্রতিটি মানুষের শরীরে রক্তকণিকা রয়েছে। যে সকল
রক্তকণিকা নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট নিয়মে আমাদের শরীরে নিজেদের কার্যক্রম করে
থাকে।
সেরকম একটি রক্তকণিকা হচ্ছে লোহিত রক্তকণিকা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের শরীরে
রক্তের লোহিত কণিকা তার স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙে যায় যার ফলে আমাদের শরীরে
বিলিরুবিন তৈরি হয়। সেই বিলিরুবিন ন পরবর্তীতে আমাদের লিভারে প্রক্রিয়াজাত করে
পিত্তরসের সাথেই পিত্তনালীর সাহায্যে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে থাকে।
আর এই বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। আর এই
বিলিরুবিন এর কার্যক্রম করার সময় অসঙ্গতি দেখা দিলে আমাদের রক্তে বিলিরুবিন এর
পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে জন্ডিস দেখা দেয়। জন্ডিস আমাদের শরীরে অতিরিক্ত হয়ে
গেলে পুরো শরীরে হলদে ভাব মনে হয়।
জন্ডিস হলে করনীয়
জন্ডিস আসলে কি তা আপনি জানেন? জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া
যাবে না সেই সম্পর্কে কি আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে। যদি জন্ডিস হলে করণীয় কি এ
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে আপনাকে জন্ডিস সম্পর্কে ধারণা থাকতে
হবে। আমরা অনেকেই জন্ডিসকে একটি রোগ মনে করি। তা কিন্তু নয়। আমাদের শরীরে
বিলিরুবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জন্ডিস দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ
ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় জানুন
আবার যখন আমাদের শরীরে সেই বিলিরুবিনের পরিমাণ কমে যায় তখন আস্তে আস্তে জন্ডিস
কমে যায়। কিন্তু কোন কোন সময় জন্ডিসের কারণে আপনি কিছু ঔষধ খেতে পারেন। জন্ডিস
এর আসল ঔষধ হচ্ছে আপনার খাদ্যাভাস এবং বিশ্রাম। তাই যদি কারো জন্ডিস হয় তাহলে
অবশ্যই তার খাওয়ার প্রতি একটু বিশেষ নজর দিতে হবে এবং বিশ্রাম নিতে হবে।
আমাদের রক্তে যদি বিলিরুবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেই বিলিরুবিন এর পরিমাণ
ঠিক হতে ৭ থেকে ২৮ দিন সময় লাগে। আপনি যদি আপনার খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেন এবং
সঠিকভাবে বিশ্রাম নেন তাহলে জন্ডিস নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু
জন্ডিস হলে অপ্রয়োজনীয় কোন ঔষধ কিংবা কবিরাজের কাছে গিয়ে ঔষধ খাওয়া একদম ঠিক
নয়।
জন্ডিস হলে কি খেতে হয়
জন্ডিস হলে আমরা অনেকেই চিন্তাই পড়ে যাই জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা এই বিষয় নিয়ে। কারণ আমরা অনেকেই এই বিষয়ে তেমন একটা জানিনা। অনেকেই মনে করি জন্ডিস হলে অনেক কিছু খাওয়া যাবে না। আসলেই কিন্তু তাই নয়। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো জন্ডিস হলে খাওয়া উচিত।
সে সকল খাবার খেলে আপনার শরীরে জন্ডিসের পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে। আপনি সেই সকল খাবার ঘরে বসে খেয়েই আপনার শরীরের জন্ডিসের পরিমাণ কমাতে পারবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সেই সকল খাবার গুলো কি কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমি আজকে আপনাদের জানাবো কোন কোন খাবার আপনার শরীরের জন্য উপকারী।
- জন্ডিস হলে সবথেকে বেশি আপনি যেটি খেতে পারেন সেটি হচ্ছে আঁখের রস। জন্ডিস রোগীর জন্য আঁখের রস অনেক বেশি উপকারী। তাই আপনার যদি জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন কিছুটা পরিমাণ আঁখের রস খাবেন এতে করে খুব দ্রুত আপনার শরীরের জন্ডিস কমে যাবে।
- আঁখের গুড় একজন জন্ডিস রোগীর জন্ডিস কমানোর মুখ্য খাবার। আঁখের রস যেহেতু আমরা সারা বছর পাই না সেহেতু আপনি আঁখের গুড় গুড় খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের জন্ডিস অনেকটা কমে যাবে।
- ঘোল জন্ডিস কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনার শরীরের জন্ডিস কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস ঘোল খেতে পারেন। এতে করে দ্রুত আপনার শরীরের জন্ডিস কমে যাবে।
- পেঁয়াজের সাহায্যেও আপনি আপনার জন্ডিস কে বিদায় দিতে পারবেন। পেঁয়াজকে ছোট করে কেটে নিয়ে তা কিছুক্ষণ লেবুর রসে ভিজিয়ে রেখে সে পেঁয়াজ বের করে নিয়ে রসটুকুতে লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে জন্ডিসের উপর খুব ভালো প্রভাব ফেলে।
- টমেটোর রস খেয়েও আপনি আপনার জন্ডিস কমিয়ে আনতে পারবেন। কারণ টমেটো জন্ডিস কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই জন্ডিস কমাতে প্রতিদিন টমেটোর রস খেতে পারেন।
- জন্ডিস কমানোর আরেকটি মূল উপাদান হচ্ছে মুলো পাতা। মুলো পাতা বেটে তার রস খেলে আপনার শরীরের জন্ডিস অনেকটা কমে যাবে।
- তরমুজ আপনার শরীরের জন্ডিসের প্রভাব কমানোর মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করবে। তাই যদি আপনার জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন তরমুজ খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের জন্ডিস খুব দ্রুত কমে যাবে।
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না
আপনি কি চিন্তায় আছেন জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা এই বিষয় নিয়ে। যদি চিন্তায় থাকেন তাহলে আমি আপনার সেই চিন্তা দূর করার চেষ্টা করব। কারণ আমি এখন আপনাদের সামনে বলবো জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো জন্ডিস দূর করার জন্য খুবই উপকারী। সেহেতু সে সকল খাবার বেশি বেশি খাবেন।
আবার কিছু খাবার আছে যে সকল খাবার যদি আপনার জন্ডিস হয় তাহলে খাওয়া উচিত হবে না। তাই সে সকল খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সেই সকল খাবারের মধ্যে প্রধান খাবার হচ্ছে চর্বি জাতীয় খাবার। তাই অবশ্যই আপনার জন্ডিস হলে চর্বি জাতীয় খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখবেন না।
জন্ডিস কি বাহিত রোগ
অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগে জন্ডিস কি বাহিত রোগ? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন জাগে
তাহলে আমি বলব হ্যাঁ। জন্ডিস দুটি মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে পানি বাহিত ও খাদ্য বাহিত
আর তাছাড়াও রক্তের মাধ্যমে জন্ডিস ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু জন্ডিস ছোঁয়াচে রোগ
নয়। তাই আপনার পরিবারের যদি কারো জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে সেই জন্ডিস অন্য কারো
কাছে ছড়িয়ে পড়বে এই দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
আরও পড়ুনঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
জন্ডিস বড় কিংবা ছোট সবারই হতে পারে। এটি কোন নির্দিষ্ট বয়স দেখে হয় না। ছোট
শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স্ক সবারই জন্ডিস সমস্যা হয়ে থাকে। ছোট শিশুদের
হেপাটাইসিস এ ভাইরাস দ্বারা জন্ডিস ছড়াই। আর যে কোন মানুষ হেপাটাইসিস ই এবং বি
ভাইরাস দ্বারা জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে।
জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ
ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলেই কখনো না কখনো জন্ডিস হয়েছে এই কথা বলে থাকেন।
জন্ডিস হলে মানুষের চোখের সাদা অংশ হালকা ঘোলাটে কিংবা হলুদ হয়ে যায় এবং প্রসাব
ও হলুদ হয়। তাছাড়া যদি আমাদের শরীরে জন্ডিসের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে পুরো
শরীর হলুদ হয়ে যায়। জন্ডিস আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা বড় রোগ মনে করা হয়
না।
কিন্তু আমাদের লিভারে যদি জন্ডিস ধরা পড়ে তাহলে সেটি একটি মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর
রূপ ধারণ করতে পারে। জন্ডিসের সবচেয়ে বড় ঔষধ বিশ্রাম এবং খাদ্যাভাস। সেহেতু
আপনাকে জেনে রাখতে হবে জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবেনা।
জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ নিচে আলোচনা করলাম।
কারণঃ আমাদের প্রতিটি মানুষের শরীরে রক্ত কণিকা রয়েছে। যে সকল রক্তকণিকা
নির্দিষ্ট চক্রাকারে আমাদের শরীরে তাদের কার্যক্রম করে থাকে। সে রকম একটি রক্ত
কণিকা হচ্ছে লোহিত রক্ত কণিকা। লোহিত রক্ত কণিকা একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজে থেকেই
ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের রক্তে বিলিরুবিন এর সৃষ্টি হয়। আর সেই
বিলিরুবিন এর পরিমাণ আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পেলে জন্ডিস দেখা দেয়।
জন্ডিস নির্দিষ্ট কোন রোগ নয় এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। আমাদের লিভার বিভিন্ন রকম
রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই লিভারের রোগ জন্ডিসের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা
যায়। হেপাটাইসিস এ, বি, সি, ডি এবং ই এর সকল ভাইরাস আমাদের লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি
করে যাকে আমরা ভাইরাল হেপাটাইটিস বলে থাকি। এই ভাইরাল হেপাটাইটিস জন্ডিসের প্রধান
কারণ।
লক্ষণঃ একজন ব্যক্তির যখন জন্ডিস হয় তখন তার শরীরে বিভিন্ন রকম লক্ষণ
প্রকাশ পায়। যে সকল লক্ষণ দেখে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে সে ব্যক্তির
জন্ডিস হয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নিন একজন ব্যক্তির জন্ডিস হলে কোন কোন লক্ষণ
প্রকাশ পাই।
- জন্ডিস হবার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে মানুষের চোখের সাদা অংশ এবং প্রসাবের রং হলদে হওয়া।
- এছাড়াও জন্ডিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পুরো শরীর হলদেটে হয়ে যায়।
- শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়।
- মানুষের মাঝে ক্ষুধামন্দা প্রকাশ পায়।
- কখনো হালকা জ্বর আসে আবার কখনো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
- জন্ডিস হলে বমি বমি ভাব কিংবা বমি হয়।
- পেটে হালকা অথবা তীব্র ব্যথা করে।
- অনেক সময় দেখা যায় পায়খানা সাদা হয়ে গেছে।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি আপনার বেশিরভাগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে ধরে
নিতে হবে আপনার জন্ডিস হয়েছে। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
জন্ডিস কত দিনে ভালো হয়
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জন্ডিস কত দিনে ভালো হয়? আমরা অনেকেই জানিনা জন্ডিস
কোন রোগ নয়। এটি একটি রোগের লক্ষণ। জন্ডিস এর প্রধান কারণ হচ্ছে লিভারের বিভিন্ন
রকম রোগ। আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা সংকুচিত হয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে।
আর যখন সেই বিলিরুবিন এর পরিমাণ আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের শরীরে
জন্ডিস দেখা দেয়। আমাদের শরীরের বিলিরুবিনের পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে তা ৭
থেকে ২৮ দিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমাদের শরীরে বিলিরুবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি
পেলে জন্ডিস হয় এবং বিলিরুবিন এর পরিমাণ স্বাভাবিক হলে আস্তে আস্তে জন্ডিস ভালো
হয়ে যায়।
সেহেতু বলা যায় যে ৭ থেকে ২৮ দিন লাগে জন্ডিস ভালো হতে। কিন্তু জন্ডিস হলে
অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ
বিশ্রাম না নেন তাহলে জন্ডিস ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
জন্ডিস হলে কি কি সমস্যা হয়
জন্ডিস ভালো হওয়ার মূল ঔষধ হচ্ছে বিশ্রাম এবং খাদ্যাভাস। তাই অবশ্যই আপনাকে
জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ
ধারণা থাকতে হবে। জন্ডিস হলে একটি মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। এখন
জেনে নেই জন্ডিস হলে কি কি সমস্যা হয়।
চোখ ও প্রসাব হলুদ হওয়াঃ জন্ডিস হলে একটি মানুষের প্রধান সমস্যা তার
চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। এছাড়াও প্রসাব হলুদ হয়। আবার যদি দেখা যায়
জন্ডিস বেশি হয়ে গেছে তাহলে একটি মানুষের শরীরে হলুদ ভাব প্রকাশ পায়।
পেটে ব্যথাঃ জন্ডিসের ফলে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো কখনো সেই ব্যথা অল্প
হয় আবার কখনো কখনো সেই ব্যথা তীব্র ভাবে হয়ে থাকে।
বমি ভাবঃ জন্ডিস এর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বমি বমি ভাব হওয়া কিংবা বমি
হওয়া। আপনার যদি জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এই সমস্যা হয়ে থাকবে।
জ্বর হওয়াঃ জন্ডিস হওয়ার ফলে একটি মানুষের কখনো মৃদু আবার কখনো কখনো
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
শরীরের দুর্বলতাঃ জন্ডিস হলে একটি মানুষের শরীরে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। যে
কোন কাজ করতে গিয়ে মনে হয় শরীরে শক্তি পাচ্ছে না। কোন কাজ করতেও ইচ্ছা করে না।
শেষ কথা
আপনার যদি জন্ডিস হয় তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন। কারণ জন্ডিসের
প্রধান ঔষধ হচ্ছে বিশ্রাম। তাই আপনার জন্ডিস কমাতে চাইলে প্রথমেই বিশ্রাম করাকে
মূল্যায়ন করুন। যেহেতু কোন ভয়ঙ্কর রোগ নয় তাই এটি নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা
করার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যখন দেখবেন আপনার শরীরে জন্ডিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তখন অবশ্যই
চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্ডিস ভয়ংকর আকার ধারণ করে। যা
আপনার মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে।
আশা করছি আমার লেখা জন্ডিস হলে কি খেতে হয় - জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না এই
আর্টিকেল পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। আর সেই সকল তথ্য
পেয়ে উপকৃত হবেন। এরকম আরও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা
আর্টিকেলগুলো পড়ুন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url