তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়

 

আমাদের অনেকের হঠাৎ তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ কি তা জানিনা। তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ অনেক কিছু ভেবে বসি। আজ আমরা আপনাদের সামনে তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় এবং পেটের ডান পাশে ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেল পড়ুন।
তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়
তলপেটের ডান পাশে ব্যথার কারণ এ আমরা অনেক সময় আতঙ্কিত হয়ে উঠি। অনেক সময় ছোট সমস্যাকেই অনেক বড় সমস্যা মনে করি। তাই আমরা এই আর্টিকেলে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছি যে ঠিক কি কি কারণে একটি মানুষের পেটের ডান পাশে ব্যথা হয়। আশা করছি আমার লিখা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন।

তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়ঃ ভূমিকা

মানুষের শরীরে সৃষ্টির পর থেকেই কম-বেশি কোন না কোন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। কখনো মাথা ব্যথা কখনো হাতের ব্যথা কখনো দাঁতের ব্যথা আবার কখনো পেটের ব্যথা। বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে দিয়েই একটি মানুষ জীবনযাপন করে চলে। 

আমরা সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেক সময় অনেক ছোট সমস্যাকে বড় ভেবে দুশ্চিন্তা করে থাকি। আবার অনেক সময় আমরা বড় বড় সমস্যা কে ছোট মনে করে অবহেলা করে থাকি। তাই সঠিক চিকিৎসার জন্য আমাদের জানা উচিত যে কোন সমস্যার সম্পর্কে।
পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ আমরা অনেকেই জানিনা। এখনকার সময়ে বিভিন্ন রকম কারণে মেয়েদের পেটের ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানি না যে কেন পেটের ডান পাশে ব্যথা হচ্ছে। 

তো যখন আমরা কোন সমস্যার কারণ জানিনা তখন তার সমাধান করব কিভাবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে মেয়েদের পেটের ডান পাশে ব্যথা হয় কেন। আশা করছি তথ্যগুলো পড়ে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কেন পেটের ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে।

পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

পেটের ডান দিকে ব্যথা হওয়ার অন্যতম মূল কারণ হতে পারে গ্যাস। গ্যাসের কারণে আমাদের অনেক সময় পেটের ডান সাইডে ব্যথা হয়ে থাকে। তাছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার একটু অনিয়ম এর কারণেও অনেক সময় পেটের ডান সাইডে ব্যথা হয়ে থাকে। 

পেটের ব্যথা মানেই যে বিশাল কোন সমস্যা তা নয়। বিভিন্ন রকম ছোটখাটো কারণেও অনেক সময় পেটের ব্যথা হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই পেটে ডান সাইডে ব্যথা হলেই যে বড় কোন সমস্যা এটা না ভেবে পেটের ব্যথার সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুন।

পেটের ডান দিকে ব্যথা মানে যে বড় কিছু তা নয়। কিন্তু পেটের ডান সাইডে ব্যথা অনেক সময় বড় রকমের অসুখের লক্ষণ হতে পারে। তাই অবশ্যই ভালোভাবে শনাক্ত করতে হবে যে পেটের কোথায় ব্যথা হচ্ছে। 

পেটের ডান সাইডে ব্যথা খুব তীব্র এবং অনেকদিন পর্যন্ত যদি বেঁচে থাকে তাহলে সে ব্যথা চেপে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ায় বেশি ভালো হবে। বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে। আসুন সেই কারণ কি কি হতে পারে তা জেনে নিই।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসঃ আমাদের সকলের পরিপাকতন্ত্রের একটি ছোট নলের মতো অংশ রয়েছে। যাকে সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়ে থাকে। এ অংশের অবস্থান সাধারণত তলপেটে ডান দিকে হয়ে থাকে। কোন কারণে সেই নলের মুখ যদি বন্ধ হয়ে যায় যেমন মল বা কৃমি দারা নলের মুখ বন্ধ হয়ে যায় ফলে যে ব্যথা অনুভূত হয় তাকে বলা হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস। 

এই ব্যথা কোন সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। খাদ্যের সাথে কোনরকম শক্ত বস্তু ঢুকলেও তা নয় এর মুখে আটকে গিয়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। আসুন এবার জেনে নিই অ্যাপেন্ডিসাইট হলে আপনার কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
অ্যাপেন্ডিসাইড ফলে হঠাৎ তলপেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা সাধারণত শুরু হয়ে থাকে নাভির চারপাশ থেকে। এই ব্যথা শুরু হলে হাটাহাটি বা কোন রকমের কাশি হলে ব্যথা আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাই। আমরা যদি ব্যথা কমানোর জন্য তলপেট চেপে ধরে থাকি তাহলেও এ ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।

  • অ্যাপেন্ডিসাইড এর ব্যথা হলে আপনার বমি বমি ভাব সব সময় থাকে।
  • পেটের ব্যথার সাথে সাথেই শরীরে জ্বর দেখা দেয়।
  • হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে।
  • এছাড়াও পেট ফেঁপে যায়।
  • এ সকল লক্ষণ আপনার দেখা দিলে আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনার অ্যাপেন্ডিসাইড এর ব্যথা। আপনার তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
কিডনিতে পাথর এর ফলেঃ কিডনিতে পাথরের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে পিঠের নিম্ন ভাগে ব্যথা ও পেটের নিম্নভাগে ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত পেটের একপাশে ছড়াতে পারে। এছাড়াও এ ব্যথার অবস্থানের পরিবর্তন ও হতে পারে। কিডনিতে পাথর এর কিছু লক্ষণ জেনে নিন।
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি লক্ষণ হচ্ছে পিঠের নিম্নস্তর বা পেটের নিম্নস্তরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
  • মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • মূত্রে রক্তের উপস্থিতি ও দেখা দিতে পারে।
  • এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বমি হওয়া।
পিত্তথলিতে পাথর এর ফলেঃ পিত্তথলিতে পাথর সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের একটু বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের ভেতর ৩০ থেকে ৫০ বছরে বয়সীদের নারীদের ভেতর থলির পাথর দেখা দেয়। তাই পেটের ব্যথা হলে সতর্কতার সাথে আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে আসলে এটি পিত্তথলির পাথর হওয়ার ব্যথা নয় তো। কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • পিত্ত থলিতে পাথর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ পেটের ডান সাইডে ব্যথা।
  • পেটের ব্যথার পাশাপাশি আপনার কাঁধেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
এ সকল লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার পাথর হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সার্জারি দ্বারা অপসারণ করতে হবে। এখন বিভিন্ন রকম আধুনিক পদ্ধতি বের হয়েছে যার সাহায্যে অপারেশন ছাড়াও খুব সহজে মেশিন দ্বারা পিত্তথলির পাথর বের করা যাই।

হার্নিয়া এর ফলে ব্যথাঃ সাধারণত হার্নিয়া কাকে বলে আমরা অনেকেই জানিনা। হার্নিয়া কথাটা শুনলেই আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের লোকজন অনেক সময় মনে করে না জানি কি অসুখ। তাই আগে আমাদের ভালোভাবে জানা দরকার হার্নিয়া কাকে বলা হয়ে থাকে। 

চিকিৎসকের ভাষায় হার্নিয়া বলতে বোঝায় পেরিটোনিয়াম নামক পেটের প্রাচীর যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন পেটের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রাচীর ভেদ করে বেরিয়ে ফোলা ফোলা ভাব তৈরি করে একেই সাধারণত হার্নিয়া বলা হয়ে থাকে।
  • হার্নিয়া হলে পেটের যে কোন অংশ ব্যথা হতে পারে।
  • পেটের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
  • যেকোনো ভারী বস্তু চারার ফলে সে সকল ব্যথা বেশি হতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথাঃ প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রে এই পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এই পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে যাকে ডিসমেনোরিয়া বলা হয়ে থাকে। এই ব্যথা সাধারণত তলপেটে হয়ে থাকে। 

এই ব্যথা তলপেটের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথার ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে, তাছাড়াও খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে। এ সকল ব্যথার কারণে সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় 

তলপেটে ডানপাশে ব্যথা মানেই যে ভয়ংকর কিছু তা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য কিছু সমস্যার ফলে তলপেটের ডান সাইডে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু তলপেটের ডান পাশে ব্যথা একটি চিন্তার বিষয়। অনেক সময় অনেক রকম সমস্যার কারণে তলপেটে ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে। 

তাই আপনাকে আগে ভালোভাবে জানতে হবে যে আপনার পেটে ডান পাশে ব্যথা কেন হচ্ছে এবং তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি। যদি সামান্য কোন কারণে তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে বাসায় কিছু ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে সে সকল ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু অনেক সময় তলপেটে ডান পাশের ব্যথাকে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ এই তলপেটের ব্যাথার কারণে হতে পারে আপনার বড় রকমের কোন সমস্যা। তাই তলপেটে ডান পাশে ব্যথা হলে কোনরকম গাফিলতি না দেখিয়ে আগে সতর্ক হন জানুন আসলেই ব্যথার কারণ কি। আর সেরকম বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে যান।

গর্ভাবস্থায় পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় একটি মহিলার শরীরের অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর সেই পরিবর্তনের ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সে রকম একটি সমস্যা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় একটি মহিলার পেটের ব্যথা দেখা দেয়। অনেক সময় স্বাভাবিক কারণে হতে পারে আবার অনেক সময় অস্বাভাবিক ও হতে পারে। 

তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা দেখা দিলে তা অবহেলা করা উচিত নয়।বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় পেটের ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিন।
  • গর্ভাবস্থায় একটি মহিলার সাধারণত এক পাশ থেকে অপর পাশে ঘুরতে একটু কষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেক মহিলা এক পাশে শুয়ে থাকে। যে কারণে তাদের মাংসপেশি ব্যথা হয়ে যায় ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ বিষয়। তাই যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলেও পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়াও অনেক মহিলা গর্ভাবস্থায় চলাচল না করে বসে শুয়ে সময় পার করে শরীরের সাথে সাথে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • কিন্তু এই ব্যথা যদি দীর্ঘদিন থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেয়া উচিত।

পেটের ডান পাশে ব্যথার ঔষধ

পেটের ব্যথা হলেই যে ঔষধ খেতে হয় তা কিন্তু নয়। অনেক সময় আমাদের সাধারণ কিছু কারণে পেটে ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। যেমন অম্বল, খাদ্যের অনিয়ম, ভারী কোন জিনিস ওঠানো কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়াম। এর সকল কারণে যদি পেটে ডান পাশে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে তেমন একটা চিন্তার বিষয়। সাধারণ কিছু ব্যথার ওষুধ খেলে এ সকল ব্যথা ভালো হয়ে যাই। পেটের ডান পাশে ব্যথার ঔষধ গুলোর নাম নিচে দেওয়া হল।
  • Entacyd
  • Norvis
  • Algin 50mg
  • Esoral 40
  • Lansodine
  • Butapan10mg/20mg
কিন্তু সাধারণ ওষুধ খাওয়ার পর ও যদি আপনার পেটের ব্যথার পরিবর্তন না হয় বা আস্তে আস্তে পেটের ব্যথা বেশি হতে থাকে তাহলে অবশ্যই পেটের ব্যথা অবহেলা না করে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কখনোই পেটের ব্যথা অবহেলা করা যাবে না। কারণ পেটের ব্যথা আপনার বড় কোন অসুখের লক্ষণও হতে পারে।

মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ

সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের তলপেটে ব্যথা বেশি দেখা দেয়। শারীরিক কারণে মেয়েদের তলপেটের ব্যথা হয়ে থাকে। হতে পারে সেই ব্যথা সামান্য কিংবা অতি তীব্র। সে সকল ব্যথা নিয়ে খুব একটা চিন্তা বিষয় নাও হতে পারে। কিন্তু পেটে ব্যথা হলে অবহেলা করা উচিত নয়।আপনাকে ব্যথা সনাক্ত করে তার সমাধান খুঁজতে হবে। মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ তা জানুন।
  • গ্যাসের কারণে অনেক সময় আমাদের পেটে ব্যথা হতে পারে তাই চিন্তিত না হয়ে বাজারে পাওয়া যায় গ্যাসের ওষুধ সেগুলো সেবন করতে হবে।
  • মেয়েদের পিরিয়ডের কারণেও অনেক সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ সময় নিজের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল উচিত।
  • কিডনিতে পাথরের ফলেও অনেক সময় মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
  • পিত্তথলিতে পাথর মেয়েদের একটি কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পিত্তথলির পাথর হলে পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অ্যাপেন্ডিসাইট এর ব্যথা মারাত্মক আকারের ব্যথা। তাই অ্যাপেন্ডিসাইড এর ব্যথা উঠলে অবশ্যই সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

মেয়েদের তলপেটে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

তলপেটে ব্যথা মেয়েদের ক্ষেত্রেই এটি যেন একটি পরিচিত সমস্যা। প্রায় সকল মেয়ে কোন না কোন কারণে এই সকল ব্যথার সম্মুখীন হয়েছে। কখনো কখনো এ সকল ব্যথার তীব্রতা কম আবার কখনো কখনো এর তীব্রতা হয় অনেক বেশি। সকল ব্যথাই যে মারাত্মক কোন অসুখ এর লক্ষণ তা কিন্তু নয়। 

মেয়েদের শারীরিক গঠনের ফলে বিভিন্ন রকম ব্যথা হতে পারে। কিন্তু সে সকল ব্যথা যদি অনেকদিন হয় এবং তীব্র ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই সেই ব্যথাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আসুন এখন মেয়েদের তলপেটে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।

কারণঃ বিভিন্ন কারণে মেয়েদের তলপেটে বিভিন্ন রকম ব্যথা হতে পারে কি কারণে কোন ব্যথা হয়ে থাকে আসুন আপনাদের সামনে তা তুলে ধরি। লক্ষণগুলো করে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার কি কারণে তলপেটে ব্যথা হচ্ছে। এবং তা থেকে আপনি খুব সহজে সমাধান বের করতে পারবেন।

১। এখন সাধারণত প্রায় অনেক মেয়ের জরায়ুর বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ৪০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের জরায়ুর বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মেয়েদের তলপেটে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা সৃষ্টি হয়।

২। মেয়েদের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পিরিয়ডের সময় ব্যথা। পিরিয়ড একটি মেয়ের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক বিষয়। প্রতিমাসে একটি মেয়ের এটির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এই পিরিয়ডের সময় তলপেটে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা অনুভূতি হয়ে থাকে।

৩। অ্যাপেন্ডিসাইড এর কারণে আমাদের অনেক সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। এ ব্যথা সাধারণত আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। যা একসময় আমাদের জন্য অসহনীয় ব্যথায় পরিণত হয়।
সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রসাবের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। মূত্রনালয়ের বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে মহিলাদের তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তলপেটে ব্যথার পাশাপাশি প্রসাবে সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া ইত্যাদি লক্ষণ ও দেখা দিতে পারে।

৪। গ্যাসের সমস্যার কারণেও অনেক সময় মহিলাদের তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে। এটা ততটা চিন্তার বিষয় নয়। সাধারণ গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রতিকারঃ তলপেটে ব্যথা তীব্র বা অনেকদিন থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যথা আছে যেগুলোর কারণে আমাদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আর সে সকল ব্যথা আমরা ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করতে পারি আসুন সেগুলো জেনে নিন।

১। অনেক আগ থেকেই পেটের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আদাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। আদার ভেতর এমন একটি প্রাকৃতিক ওষুধ রয়েছে যার সাহায্যে আপনার পেটের ব্যথা অনেকটা কমে যেতে পারে। তাই পেটের ব্যথা হলে আদা চা খেতে পারেন।

২। কলা ও আপেল এই দুইটি ফলের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত রয়েছে। আর ফাইবার আমাদের পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই পেটের ব্যথা কমানোর জন্য এই দুটি ফলের সাহায্য নিতে পারেন।

৩। পুদিনা পাতা সাহায্যে আমরা খুব সহজে আমাদের পেটের ব্যথা কমাতে পারি। পুদিনা পাতাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক এর গুণ। তাই পেটের ব্যথা হলে আপনি পুদিনা পাতা খেতে পারেন। দেখবেন আপনার ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়ঃ উপসংহার

আমরা আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারলাম তলপেটের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় গুলো কি কি। কোন কোন ব্যথা আমাদের অবহেলা করা উচিত নয়। আর কোন কোন ব্যথা হলে ততটা গুরুত্ব না দিলেও চলে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ব্যথার সমাধান কোনটি। 

আর আর্টিকেল টি পড়ে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্যটি খুঁজে পেয়েছে। এরকম আরো তথ্য যদি পেতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের লিখা আর্টিকেলগুলো পড়ুন। আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করার যথেষ্ট চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url