সুস্থ কিডনির লক্ষণ সম্পর্কে জানুন এবং নিজের কিডনিকে সুস্থ রাখুন
আপনার পেটের এক সাইড ব্যথা হচ্ছে তাই আপনি আশঙ্কায় আছেন যে আপনার কিডনির রোগ
হয়েছে কিনা। তাই আপনি কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন। যদি এমন হয় তাহলে আমার লেখা কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার এই
আর্টিকেলটি পড়ুন। কারণ এ আর্টিকেলে কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার এবং কিডনি
রোগ কেন হয় তা আলোচনা করেছি
আশা করছি আপনারা কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার
প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পাবেন। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পাওয়ার জন্য
আর্টিকেলটি পুরো পড়ুন। কারণ কিডনি সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা
করেছি
ভূমিকা
আমাদের মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম রোগের কারণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠি।
শরীরের যে কোন অংশে কোনরকম সমস্যা হলে পুরো শরীর যেন অকেজো হয়ে পড়ে। সে রকম
কিডনি আমাদের শরীরের একটি মূল্যবান অংশ। আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যভাস এর কারণে
বিভিন্ন সময় কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকারগুলো কি কি।
আমরা এটাও জানি না কিডনি রোগ কেন হয়। আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা। আমাদের শরীরে
কিডনি ছোট বড় রকমের রোগে আক্রান্ত হয়। যা আমরা অনেক সময় ঔষধ সেবন করলে ভালো
হয় আর তা না হলে অপারেশন এর মাধ্যমে সে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিডনি রোগ কেন হয়
আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কিডনি। যা আমাদের শরীরের বামে এবং
ডানে দুই সাইডে অবস্থান করে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের এই কিডনির বিভিন্ন রকম রোগে
আক্রান্ত হয়। কিন্তু আপনি কি কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানেন।
সাধারণত কিডনিতে পাথর, কিডনিতে দাগ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু আমরা অনেকেই
জানিনা কিডনি রোগ কেন হয়। আপনি কি বলতে পারবেন কিডনি রোগ কেন হয়।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
যদি না বলতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নেই কারণ আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি কিডনি রোগ
কেন হয়। আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম অসুখ দেখা দেয়। আমাদের শরীরে যদি
ডায়াবেটিস থাকে
তাহলে কিডনি রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ
হলে কিডনি রোগের আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও ইউরিন ইনফেকশন ও কিডনিতে পাথর সহ বিভিন্ন
কারণে আমাদের কিডনির রোগ হয়। কিন্তু কিডনির এ সকল রোগ কেন হয় তা আপনার মনে
প্রশ্ন জাগতে পারে।
কিডনির এ সকল রোগ হওয়ার কারণ নিয়মিত পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম না করা। আমরা
যদি সঠিক পরিমাণ পানি না খাই তাহলে কিডনির রোগ হতে পারে। অনেকে রয়েছেন ধূমপান
করেন। এই ধূমপান করার কারণেও অনেক সময় কিডনির রোগ দেখা দেয়। কিছু কিছু মানুষের
পারিবারিক ভাবে কিছু কিডনির রোগ হয়ে থাকে।
সুস্থ কিডনির লক্ষণ
আমাদের শরীরে কিডনির কোনরকম সমস্যা হলে বাইরে থেকে দেখে তা বলার কোন উপায় নাই।
কারণ কিডনির সমস্যাগুলো এমন যা আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবাহ ফেলে। অনেক সময় আমরা
মনে করি আমাদের শরীরে কিডনি সুস্থ রয়েছে কিন্তু আসলে তা হয় না এমনও হতে পারে
আপনার কিডনির রোগ হয়েছে।
এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে সুস্থ কিডনির
লক্ষণ গুলো কি কি? আপনি কি করে বুঝবেন যে আপনার কিডনি সুস্থ রয়েছে কিনা। আপনি
খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি সুস্থ নাকি কিডনি তে কোন রোগ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চুল দ্রুত লম্বা করার সহজ উপায়
আমাদের কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন
প্রসাব করার সময় যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে এটি কিডনির কোন রোগের লক্ষণ হতে
পারে। তাছাড়াও যদি আপনার কোমরের দুই সাইড কিংবা এক সাইড ব্যথা করে এবং তলপেটে
প্রচন্ড ব্যথা করে তাহলে আপনার কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
উপরের উল্লেখিত
লক্ষণগুলো যদি আপনার ভেতর না থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি সুস্থ।
কারণ কিডনি যদি কোন রোগে আক্রান্ত হয় তবে অবশ্যই এটির ইফেক্ট আপনার শরীরে দেখা
দেবে।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেহেতু কিডনি। আর এই কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা কে
নীরব ঘাতক ও বলা হয়। কারণ কিডনির সমস্যা গুলো এমন হয় যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার
কোন উপায় নাই যে কিডনির কোনরকম সমস্যা হয়েছে।
আর এই কিডনির সমস্যাগুলো চুপি
চুপি আমাদের শরীরকে একেবারে শেষ করে ফেলে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমরা জানি না কিডনি
ড্যামেজের লক্ষণ গুলো কি কি। সেই কারণেই কিডনি ড্যামেজ হওয়ার প্রথমদিকে আমরা
ততটা বুঝতে পারিনা। আর যখন বুঝতে পারি তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই আপনাদের
সুবিধার্থে আমি কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলো আলোচনা করলাম।
- প্রসাবে জ্বালাপোড়া
- প্রসাবে সমস্যা
- প্রসাবে রক্ত
- প্রসাবের সময় ব্যথার
- পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া
- খাবারে অরুচি
- চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া
- মাংসপেশিতে টান
- বমি বমি ভাব
- কোমরের দুই সাইড ব্যথা
- তলপেট ব্যথা
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে কিডনি ইনফেকশন হতে পারে। কিংবা কিডনি বিভিন্ন রোগে
আক্রান্ত হতে পারে। আমরা অনেকেই কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
জানিনা। কিডনির রোগ এমন ধরনের রোগ যা আমরা সহজে বুঝতে পারিনা।
কারণ এ সকল রোগ
শরীরের ভেতরে আপনার শরীরকে শেষ করে ফেলে। তাই অবশ্যই আপনাকে কিডনির রোগ সম্পর্কে
সচেতন হতে হবে এবং আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা
দিয়েছে সেগুলো কিডনি রোগের লক্ষণ নয়তো। কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো জেনে নিন
এবং সতর্ক থাকুন।
- কিডনি ইনফেকশনের একটি লক্ষণ হচ্ছে কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ মাত্রার জ্বর আসে
- প্রসাবের সময় বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন জ্বালাপোড়া, ঘনঘন প্রসাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
- অনেক সময় কিডনি রোগের কারণে তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে।
- কিডনি রোগের কারণে কোমরের পিছন দিকে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে।
- কিডনি ইনফেকশন এর পরিমাণ বেড়ে গেলে রোগী চেতনা কমে আসতে পারে।
কিডনি রোগের খাবার
আমাদের শরীরের অতি মূল্যবান অংশ হচ্ছে কিডনি। আর সেই কিডনি যদি কোনরকম রোগে
আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব সেই রোগ ভালো করার চেষ্টা করতে
হবে। কারণ কোন রোগ যদি একটি কিডনিতে আক্রমণ করে তা যদি দ্রুত ভালো না করা যায়
তাহলে আরেকটি কিডনিতে আক্রমণ করার ভয় থাকে।
আপনার কিডনি যদি কোন রোগে আক্রান্ত
হয়ে পড়ে তাহলে আপনাকে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু কিছু খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে
নিয়ম মেনে চলতে হবে তাহলে খুব দ্রুত কিডনির রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন
জেনে নিই কিডনি রোগের খাবার গুলো কি কি।
- কিডনি রোগ দেখা দিলে অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। কারণ প্রোটিন এর পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে যাবে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তাই কিডনি রোগ দেখা দিলে কার্যক্ষমতা বুঝে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। অনেকে মনে করে কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত হলে নানা ধরনের শাকসবজি বা ফল খাওয়া মানা। কিন্তু বিষয়টা মোটেও এরকম নয়। কিন্তু কারো শরীরে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে তাকে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। যেমনঃ ডাবের পানি, কলা, খেজুর, আলু, টমেটো, শসা, পালং শাক ইত্যাদি।
- আপনার যদি খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেই অভ্যাস পরিহার করতে হবে। কারণ আপনার যদি কিডনির কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না।
- বিশেষজ্ঞদের মতে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে দুধ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তাই অবশ্যই আপনার যদি কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে দুধ জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে সতর্ক থাকবেন।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা তা বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। কারণ কিডনির
কোনরকম সমস্যা হলে তা সাধারণত বোঝা যায় না। আর কিডনি এর রোগের লক্ষণ অনেক সময়
পর দেখা যাই। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
এখন আপনি নিশ্চয়ই
ভাবছেন কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি তাহলে নেই। তাহলে আমি বলব অবশ্যই আছে।
কিডনি ভালো আছে কিনা বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
সম্পর্কে জানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়
কারণ এগুলো না জানলে আপনি কিডনি ভালো আছে কিনা তা বুঝতে পারবেন না। কিছু কিছু
লক্ষণ আছে যেগুলো ভালোভাবে খেয়াল করলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের কিডনিতে রোগ দেখা
দিয়েছে।
আর যদি সে সকল লক্ষণগুলো না প্রকাশ পায় তাহলে বুঝে নেবেন আপনার কিডনি
ভালো আছে। আপনার যদি কিডনি তে কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আপনার কোমরের পেছন সাইড
ব্যথা করবে। প্রসাবের সময় আপনার প্রসাবে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেবে যেমন
জ্বালাপোড়া, রক্ত, বা বারবার প্রসাবের চাপ হওয়া।
এছাড়াও তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা হওয়া। বমি বমি ভাব হওয়া। এ সকল লক্ষণ যদি
আপনার প্রকাশ না পায় তাহলে ধরা যেতে পারে আপনার কিডনি ভালো আছে। যেহেতু কিডনি এর
সমস্যা বাইরে থেকে বোঝার কোন উপায় নেই সেহেতু আপনি আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা তা
জানার জন্য দুই ধরনের টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন।
জি এফ আরঃ জি এফ আর বলতে বোঝানো হয় গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট। এটি
এক ধরনের কিডনি পরীক্ষা করানোর টেস্ট। এই টেস্ট করার পর যদি আপনার জিএফ আর ৯০ এর
উপর হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার কিডনি ভালো আছে। আর যদি ১৫ এর নিচে নেমে যায়
তাহলে বুঝতে হবে আপনার কিডনির খুব খারাপ অবস্থা।
সি সি আরঃ সি সি আর এর সম্পূর্ণ রূপ হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স
রেট। এটি ও কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার একটি পরীক্ষা। আপনি এই পরীক্ষা করিয়ে
খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনির অবস্থা কেমন।
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনির রোগ সাধারণত এক ধরনের সুপ্ত রোগ। এ রোগ সহজে দেখা যায় না কিংবা বোঝা যায়
না। অনেক সময় কিডনির অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার পরে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে
আমাদের কিডনি তে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আমরা বুঝতে পারি না কারণ আমরা কিডনি
রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত নই। আসুন আজ আপনাদের সুবিধার্থে কিডনি
রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।
কারণঃ কিডনি রোগের একমাত্র কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। যে সকল ব্যক্তির
ডায়াবেটিস হয়েছে সে সকল ব্যক্তির কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ এর ফলে কিডনি রোগ হয়ে থাকে। কিছু কিছু মানুষের পারিবারিকভাবে
কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ধূমপানের কারণে কিডনি র এবং দেখা দিতে পারে।
কিছু কিছু মানুষ আছে শরীর কোন জায়গায় অল্প ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ খেয়ে নেই।
কিন্তু ব্যথার ওষুধ আমাদের কিডনির জন্য খুবই মারাত্মক। কারণ একটি মাত্র ব্যথার
ঔষধ আপনার কিডনিকে অকেজো করে তুলতে পারে। তাই ব্যথার ওষুধ খাওয়ার আগে সাবধানতা
অবলম্বন করে।
লক্ষণঃ অনেক সময় কিডনির রোগ হলে লক্ষণ তৎক্ষণাৎ প্রকাশ পায় না।
কিন্তু আবার অনেক সময় কিডনির কোন রকম সমস্যা হলে কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।
যেমন আপনার যদি কিডনিতে কোনরকম সমস্যা হয় তাহলে আপনার প্রসাবের বিভিন্ন রকম
সমস্যা দেখা দিবে। কোমরের পেছনের সাইড প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হতে পারে।
খাবারের
প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে। বমি বমি ভাব হতে পারে। আপনার শরীর ফুলে যেতে পারে। এ
সকল সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে হয়তো আপনার কিডনির কোনরকম সমস্যা হয়েছে।
তাই আপনাকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রতিকারঃ কিডনি রোগ প্রতিকার করতে আপনি কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে
পারেন। সে সকল নিয়ম মেনে চললে খুব সহজে আপনি আপনার কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত
হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে
অবশ্যই সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে কিডনি ভালো আছে কিনা দেখার
জন্য কিছু পরীক্ষা করতে হবে।
যেকোনো ব্যথার ঔষধ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রসাবে কোনরকম
সমস্যা হলে অল্পতেই সেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। কারণ প্রসবের ইনফেকশন যদি রক্তে
ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এটি আপনার কিডনিকে নষ্ট করে ফেলে। তাই অল্পতেই প্রসাবের
সমস্যা সমাধান করা উচিত।
শেষ কথা
নিশ্চয়ই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার
প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। আপনাদেরকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান
করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
আমি যথেষ্ট চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে প্রয়োজনীয় সব
তথ্য পৌঁছে দিতে। এরকম প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল গুলো
করুন। আমি ভবিষ্যতে আপনাদের আরো প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url