হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম জানুন
আপনার জীবন কি হাঁটুর ব্যথায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে? আপনি মনে মনে হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চাইছেন। যদি এমনটা হয় তাহলে নিশ্চিন্তে আমার লিখা হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কারণ এই আর্টিকেলে আমি
হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম এবং হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আশা করছি আমার লেখা হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম এই আর্টিকেলটি করে আপনি
আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পুরো
আর্টিকেলটি পড়ুন। আপনারা এ আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
আজকাল কম বয়স বা বেশি বয়স সকলের মধ্যে হাঁটুর ব্যথা এই সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে।
আমরা উঠতে বসতে কিংবা হাঁটাচলা করতে ও হাঁটুর ব্যথা অনুভব করে থাকি। এটি বৃদ্ধ
বয়স্কদের শুধু সমস্যা তা কিন্তু নয়। এখন অল্প বয়সেও হাঁটুর ব্যথা এই সমস্যা
দেখা দিচ্ছে।
যার ফলে আমরা অনেকে হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় খুঁজি।
আপনিও যদি খুঁজে থাকেন তাহলে নিঃসন্দেহে এই আর্টিকেল পড়তে পারেন। হাঁটুর ব্যথা
আমাদের মাঝে এখন একটি কমন সমস্যা।
আরও পড়ুনঃ কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই কারো না কারো হাঁটুর ব্যথা রয়েছে। এটি যেন আমাদের সকলের
জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে রয়েছে যাদের এই হাঁটুর ব্যথার কারণে
জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কোন কিছুতেই হাঁটুর ব্যথা ভালো হচ্ছে না। কিন্তু কিছু
ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে আপনি ঘরে বসে আপনার হাঁটুর ব্যথার সমস্যার
কিছুটা হলেও সমাধান করতে পারবেন।
হাঁটুর ব্যথা কেন হয়
আমাদের অনেকেরই বয়স্ক হলে হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই রয়েছে যাদের
অল্প বয়সেই হাঁটুর ব্যথা এই সমস্যা হয়ে থাকে। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে
হাঁটুর ব্যথা কেন হয়। আপনি কি জানেন হাঁটুর ব্যথা কেন হয়।
হাঁটুর ব্যথা বিভিন্ন
রকম কারণে হয়ে থাকে। এটি কোন নির্দিষ্ট কারণ কিংবা নির্দিষ্ট বয়স দেখে না।
আমাদের দেশে হাঁটুর ব্যথা এখন সাধারণ বিষয়। প্রায় সকলের হাঁটুর ব্যথা এই সমস্যা
দেখা দেয়। হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় মেনে আপনি ঘরে বসেই হাঁটুর ব্যথা
কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। যদি তাতে কোনরকম পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে পারেন।
আসুন তাহলে জেনে নি কি কি কারণে হাঁটুর ব্যথা হয়ঃ
- ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি
- ওজন বেশি থাকা
- দুটি হাড়ের মাঝে থাকা জেলির মতো পদার্থ কমে যাওয়া
- বিভিন্ন রকম ইনফেকশন থেকে ব্যথা
- আঘাত জনিত কারণে ব্যথা
- ক্ষয় জনিত কারণে ব্যথা
উপরে আমি সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম ঠিক কি কি কারণে একটি মানুষের
হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। আশা করছি কারণগুলো পড়ে আপনি খুব সহজেই নির্ণয় করতে
পারবেন আপনার হাঁটুর ব্যথা কেন হচ্ছে।
হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
বিভিন্ন রকম কারণে এবং বিভিন্ন বয়সে আমাদের হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে। হাঁটুর
ব্যথা যেন সহজে পেছন ছাড়তে চায় না। কিছুদিনের জন্য ভালো হলে আবার কিছুদিন পর
ঠিক ফিরে আসে। যা একটি মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক বড় প্রভাব ফেলে। আপনার জীবনেও
যদি হাঁটুর ব্যথা একটি বড় সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য আমি হাঁটুর ব্যথা
কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
আরও পড়ুনঃ মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ সম্পর্কে জানুন
হাঁটুর ব্যথার কারণঃ আপনি কি জানেন ঠিক কি কি কারণে হাঁটুর ব্যথা
হয়ে থাকে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে জেনে নিন কি কি কারণে হাঁটুর ব্যথা হয়ে
থাকে।
- বিভিন্ন রকম আঘাত জনিত কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। যেমন হঠাৎ কোন কাজ করতে গিয়ে বা খেলতে গিয়ে যদি হাঁটুতে ব্যথা পান তাহলে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
- ক্ষয় জনিত কারণে অনেক সময় হাঁটু ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন কারণে আপনার হাঁটুর হাড় যদি ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে আপনার হাঁটুতে ব্যথা হবে।
- আমাদের শরীরে অনেক সময় ভিটামিন এবং খনিজের অভাব দেখা দেয়। আর সেই ভিটামিন এবং খনিজের অভাবের কারণেও হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
- আমরা আরাম প্রিয় মানুষ। সহজে শারীরিক কোন ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করতে পছন্দ করি না। এজন্য আমাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় যার ফলে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
- আমাদের হাঁটুতে অনেক সময় বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। আর সেই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে বিভিন্ন রকম ইনফেকশন ও হতে পারে। আর সেই ইনফেকশন থেকে হাঁটু ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাঁটুর ব্যথার প্রতিকারঃ হাঁটু ব্যথা ভালো করতে চাইলে অবশ্যই হাঁটু
ব্যথার প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আর যদি আপনি হাঁটুর ব্যথার প্রতিকার
সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন।
- হাঁটু ব্যথা প্রতিরোধ বা প্রতিকার করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত হাঁটতে হবে। কারণ নিয়মিত হাটার ফলেই হাঁটুর ব্যথা কমানো সম্ভব।
- হাঁটুর ব্যথা যেন না হয় সেজন্য অবশ্যই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ শরীরে ওজন অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা আমাদের পায়ের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে। তাই শরীরকে হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্ত রাখতে নিজের শারীরিক ওজন কন্ট্রোল এ রাখুন।
- যদি আপনি কোন রকম শারীরিক ব্যায়াম বা খেলাধুলা করতে যান তাহলে অবশ্যই তা শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ করতে হবে। ওয়ার্ম আপ করার ফলে আমাদের মাংসপেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে আঘাত পেলে তা সহজে ব্যথায় রূপান্তরিত হয় না।
- প্রতিদিন হালকা শরীর চর্চা বা ব্যায়াম এর মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা কমানো সম্ভব।
- এছাড়াও আপনার হাঁটুতে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা কমানো বা প্রতিকার করা সম্ভব।
হাঁটুর ব্যথা সারানোর খাবার
আমি যদি আপনার সামনে বলি যে খাবার খেয়ে হাঁটুর ব্যথা কমানো সম্ভব। তাহলে আপনি
নিশ্চয়ই মনে মনে আমার উপর হাসবেন। ভাববেন আসলেই কি এমন কোন খাবার রয়েছে যেগুলো
খেয়ে হাঁটুর ব্যথা সারানো সম্ভব। যদি আপনার মনে এমনটা প্রশ্ন জাগে তাহলে আমি বলব
হ্যাঁ।
কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার হাঁটু ব্যথা কমে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার রান্না ঘরেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান যার সাহায্যে আপনি
খুব সহজেই আপনার হাঁটুর ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারবেন। হাঁটুর ব্যথা সারানোর খাবার
গুলো নিচে আলোচনা করলাম।
- আদা
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
- সরিষার তেল
- হলুদ
- কাঠ বাদাম
- কাজুবাদাম
- মাছ
হাঁটুর ব্যথা সারানোর ব্যায়াম
আমাদের হাঁটুর ব্যথা হলে তা সহজে সারতে চাই না। কত রকম পদ্ধতি অবলম্বন করার পর
যদি ভালো হয় তাহলে আবার কিছুদিন পর দেখা যায় হাঁটুর ব্যথা ঠিক ফিরে এসেছে।
আপনার যদি এমন হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি হাঁটুর ব্যথা
সারানোর কিছু ব্যায়াম রয়েছে।
সে সকল ব্যায়াম বাসায় বসে করে আপনারা আপনাদের
হাঁটুর ব্যথা সারাতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য হাঁটুর ব্যথা সারানোর ব্যায়াম
গুলো তুলে ধরলাম।
আরও পড়ুনঃ কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
১। প্রথমে আপনি আপনার দুই পা সামনের দিকে সোজা করে বসে পড়ুন। এবার এক পা ভাঁজ
করে হাঁটু উঠিয়ে রাখুন এবং অন্য পা সোজা ভাবে রাখুন। এবার সোজা থাকা বা
সোজাভাবেই আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠান।
উঠানোর পরে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন।
এবার আপনার পা আস্তে আস্তে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসুন। এভাবে এক পা করা হয়ে গেলে
আরেক পা করুন। এতে আপনার পায়ের মাংসপেশি শক্তিশালী হবে এবং হাঁটুর ব্যথা অনেকটা
কমে যাবে।
২। আপনি উল্টো হয়ে সোজা ভাবে শুয়ে পড়ুন। দুই পা সোজা রাখুন। এবার এক পা আস্তে
আস্তে সোজাভাবেই পেছনে দিকে উঠানোর চেষ্টা করুন। যতটুকু পারবেন ততটুকু উঠান।
উঠানোর পরে ১ থেকে ৫ কিংবা ১ থেকে ১০ সেকেন্ড এভাবে উঠিয়ে রাখুন।
এবার আপনার পা
আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামিয়ে আনুন। এভাবে এক পা হয়ে গেলে আর একবার এরকম ভাবেই
করতে হবে। এতে করে আপনার পায়ের পেছনের মাংসপেশি গুলো অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
৩। আপনি এক সাইড এ কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং পা দুটো সোজা ভাবে রাখতে হবে। এবার
পা সোজা রেখে কাত হয়েই সাইডে আস্তে আস্তে পা উপরের দিকে উঠাতে হবে। পা সোজাভাবে
সাইডে উঠিয়ে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুণন এবং আস্তে আস্তে পা নিচের দিকে নামিয়ে
আনুন। এতে করে আপনার পা এর সাইডের মাংসপেশি শক্তিশালী হবে।
৪। একটি কোন কিছুর সাপোর্ট নিয়ে সোজাভাবে দাঁড়ান। এবার সেটিতে সাপোর্ট নিয়ে
আপনার যেই পা ভালো বা ব্যথা নেই সেই পায়ের উপর ব্যালেন্স দিয়ে যেই পায়ের
হাঁটুতে ব্যথা সেই পা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ভাজ করুন। ভাঁজ করার পর ১ থেকে ১০
পর্যন্ত গুনুন। যদি আপনার দুই পায়ের হাঁটুতে ব্যথা হয় তাহলে এক পা করার পর আরেক
পা করুন।
হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা ঔষধের নাম
অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের হাঁটুর জয়েন্টে অনেক বেশি ব্যথা করছে। আর এই ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে আমরা বিভিন্ন রকম উপায় অবলম্বন করে থাকি। বিভিন্ন রকম ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করি অথবা বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জয়েন্টের ব্যথা কোন কিছুতেই ভালো হচ্ছে না।
এমন ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন Diclomol Tablet এই ট্যাবলেট টি জয়েন্টের ব্যথা ভালো করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা নিঃসন্দেহে এই ব্যথার ঔষধ খেতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ এই ট্যাবলেটের বিভিন্ন রকম সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। সাইড ইফেক্ট গুলো হচ্ছেঃ
- বমি বমি ভাব
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- চামড়াতে ফুসকুড়ি
- পেট ব্যথা
এই ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে উপরে উল্লেখিত সাইড ইফেক্ট গুলো দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
আপনি কি আপনার হাঁটুর ব্যথা সারানোর জন্য ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন। কিন্তু বুঝতে
পারছেন না যে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে ঘরে বসে হাঁটুর ব্যথা সারাবেন। আজ আমি আপনার
জন্য ঘরোয়া এমন কিছু পদ্ধতি আলোচনা করব যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব
সহজেই ঘরে বসে আপনার হাঁটুর ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারবেন। নিচে হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করলাম।
বরফ দিয়ে ব্যথা সারানোঃ এটিকে আমরা অনেকে আইস থেরাপি ও বলে থাকি।
কয়েক টুকরো বরফ তোয়ালে এর ভেতর জড়িয়ে আপনার হাঁটুর যে জায়গায় ব্যথা করছে
সেই জায়গায় কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন। দেখবেন আপনার হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে
গেছে।
ম্যাসাজ দিয়ে ব্যথা সারানোঃ ম্যাসাজ এমন একটি থেরাপি যেটি শুধু
হাঁটু নয় শরীরের যেকোন অংশের ব্যথা কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। তাই আপনার হাঁটুতে
ব্যথা হলে অবশ্যই ম্যাসাজ করতে পারেন দেখবেন আপনার হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।
সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল গরম করে আপনার হাঁটুতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন দেখবেন
আপনার হাঁটু ব্যথা আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।
আদা দিয়ে ব্যথা সারানোঃ আমাদের সকলের ঘরে আদা রয়েছে। যা আমরা মসলার
কাজে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই আদা মাত্র শুধু মাত্র মসলার কাজেই ব্যবহৃত হয়
তা কিন্তু নয়। এটি আপনার হাঁটুর ব্যথা সারাতেও অনেক বেশি কার্যকরী।
এক টুকরো আদা
থেঁতো করে পানির ভেতর দিন সেই পানি কুসুম গরম করে ছেকে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ
মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার হাঁটুর ব্যথা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একটি মানুষের ওজন
কমাতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি হাঁটুর ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে। অ্যাপেল
সাইডার ভিনেগারে রয়েছে ভিটামিন সি যা প্রদাহ জড়িত অস্বস্তি দূর করে। প্রতিদিন
এক কাপ জ্বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে খুব সহজে আপনার পায়ের ব্যথা
দূর হয়ে যাবে।
শেষ কথা
আশা করছি আমার লেখা হাঁটুর ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন। সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার হাঁটুর
ব্যথা সারিয়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন
তাহলে মনে করব আমার লেখা সার্থক হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে এরকম আরো প্রয়োজনীয়
তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। এরকম প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল
গুলো পড়ূন। আশা করছি আর্টিকেল গুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url