পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় যা ১০০% কার্যকরী
আপনার কি পোকা দাঁতের প্রচন্ড ব্যথা? আপনি কি পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে অবশ্যই আমার লেখা পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে আমি পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় ও দাঁত ব্যথা হলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করেছি।
দাঁতের যন্ত্রণার জন্য কখন,কি, কিভাবে করবেন তা আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। সে সকল
সমাধান জানতে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করছি আপনার প্রয়োজনীয় সকল
সমস্যার সমাধান পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলে পাবেন।
ভূমিকা
দাঁত আমাদের শরীরের সবথেকে শক্ত অংশ। আবার সবথেকে বেশি যন্ত্রণার ও কারণ বলা যেতে
পারে। কারণ সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত আমাদের দাঁত নিয়ে
অনেক ঝামেলা সহ্য করতে হয়। ছোটবেলায় দুধ দাঁত ওঠা থেকে শুরু তারপর আবার আক্কেল
দাঁত ওঠার যন্ত্রণা।
আবার শেষ বয়সে এসেও দাঁত উঠে যাওয়ার কষ্ট। দাঁত নিয়ে
আমাদের হাজার রকম ঝামেলা সহ্য করতে হয়। এরই মাঝে আবার পোকা দাঁতের ব্যথা আমাদের জন্য অতি কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। আর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আপনাদেরকে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
দাঁত ব্যথা হলে করণীয়
দাঁত ব্যথা আমাদের কাছে একদম অসহ্য একটি যন্ত্রণা। দাঁতের ব্যথা ওঠার পর আমরা
শুধু এটাই ভাবি কি করব, কিভাবে করব। কত রকমের সমাধান খুঁজে বেড়াই। কিন্তু জানিনা
দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কি। দাঁত ব্যথা হলে আমাদের কিছু প্রাথমিক করণীয় আছে।
যা
করলে সহজেই দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যদি আপনার হঠাৎ দাঁতের ব্যথা
ওঠে তাহলে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি নিতে হবে। তাতে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে
ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার সেই পানি দিয়েই কুলকুচি করতে হবে। তাহলে আস্তে
আস্তে দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
আরও পড়ুনঃ নবজাতকের খিঁচুনি হলে কি সমস্যা হবে
দাঁতের ব্যথা হলে আর একটি করনীয় হচ্ছে একটি পাতলা কাপড়ে একটি বরফের টুকরো
পেঁচিয়ে নিতে হবে। এবার সেই বরফের টুকরো ব্যথার জায়গায় ধরতে হবে তাহলে আস্তে
আস্তে ব্যথা কমতে থাকবে। এটি দাঁত ব্যথা ও মাড়ি ফোলার ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
পোকা দাঁতের ব্যথা যেন অসহ্য ব্যথা। পোকা দাঁতের ব্যথাই মানুষ নিয়ে পড়ে। কত রকম
সমাধান খুঁজে বেড়াই। ঘরোয়া পদ্ধতি থেকে শুরু করে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁতের
ব্যথা সারানোর চেষ্টা করে। অনেক সময় পোকা দাঁতের ব্যথা শুরু হওয়ার সাথে সাথে
আমরা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায় না।
তখন কতই না যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।
তাই অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় কি। এমন কিছু
পদ্ধতি আছে যেগুলো আমরা বাসায় করে পোকা দাঁতের ব্যথা কমিয়ে আনতে পারব।
যদি পোকা দাঁতের ব্যথা উঠে থাকে তাহলে একটি পাত্রে নুন ও গোলমরিচের গুড়ো
সমপরিমাণ নিতে হবে। এবার এ দুটো নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। সেই পেস্টটি
পোকা লাগা দাঁতের উপর লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। দেখবেন আস্তে আস্তে
আপনার পোকা দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়
ছোট থেকে বড় আমরা সকলেই কখনো না কখনো দাঁতের ব্যথার স্বীকার হয়েছি। কখনো কখনো
শুধু দাঁতের ব্যথা অনুভব হয়। আবার কখনো কখনো দাঁতের ব্যথার সাথে সাথে মাড়ি ও
ফুলে যায়। যেটা আমাদের জন্য যন্ত্রনা সৃষ্টি করে। দাঁতের ব্যথার পাশাপাশি যদি
মাড়ি ফুলে যায় তাহলে ডেন্টিসদের মতে এটা জিঞ্জিভাইটিস। সাধারণত ডেন্টিসদের মতে
জিঞ্জিভাইটিস এর বেশ কিছু লক্ষণ আছে।
যেমন দাঁতের গোড়া বা মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যাবে। মাড়ি থেকে রক্ত বের হবে। মাড়িতে
প্রচন্ড ভাবে ব্যথা অনুভূতি হবে। ঠান্ডা বা গরম জাতীয় খাবার খেলে দাঁত শিরশির
করবে। আপনাদের সুবিধার্থেই দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায় গুলো
আলোচনা করলাম।
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেলের ভেতরে আছে
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা আমাদের মাড়ির ব্যথা দূর
করতে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে। একটি পাত্রে দুই থেকে তিন চামচ অ্যালোভেরা জেল
নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মাড়িতে লাগাতে হবে। এভাবে দশ মিনিট
রাখুন। 10 মিনিট পর কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখবেন দাঁতের মাড়ির ব্যথা
অনেকটা কমে গেছে।
লেমন গ্রাস তেলঃ এটি একটি এমন ধরনের তেল যাতে রয়েছে
অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট যা আমাদের মাড়ি ব্যথার উপশম করতে সাহায্য করে। শুধু ব্যথা উপশম
ক্ষেত্রেই নয় মাড়িকে শক্তিশালী করতেও এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি কাপে
এক কাপ জল নিয়ে কয়েক ফোঁটা লেমন গ্রাস তেল মেশাতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে
সেই পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করতে হবে। আস্তে আস্তে আপনার মাড়ির ব্যথা
অনেকটা কমে আসবে।
আরও পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর উপায়
কাঁচা হলুদের ব্যবহারঃ কাঁচা হলুদ দাঁতের মাড়ির ব্যথা দূর করতে
সাহায্য করে থাকে। সামান্য পরিমাণ কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করুন। তৈরিকৃত পেস্ট
টি দাঁতের মাড়িতে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনার
দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমে গেছে।
দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক
ডাক্তার সাধারণত কখন আমাদের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে দেয় তা জানতে হবে।
আমাদের দাঁতের চোয়ালের নিকটবর্তী স্থানে একটি গুরুতর মাথা ব্যথা এবং ব্যথার সাথে
যুক্ত হয় তখন সাধারণত ডাক্তার আমাদের এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকে।
তাছাড়াও যখন
রোগীকে অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে হয় বা বা নিষ্কাশন, রুট ক্যানেল চিকিৎসার
ক্ষেত্রেও রোগীকে অস্ত্র পাচারের আগে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়ে থাকে। আমরা দাঁতের ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অনেক রকম ঔষধ সেবন করে থাকি।
সাধারণ ঔষধ এ যখন কোন কাজ না করে তখন সাধারণত এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করে থাকি।
কিন্তু কখনোই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা উচিত
নয়। অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। তাহলে
জেনে নিন দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক গুলো কি।
Lincomycin: দাঁত ব্যথার একটি কার্যকরী এন্টিবায়োটিকঃ এর নাম হচ্ছে
Lincomycin। দূষিত ও প্রদাহ জনক রোগের জন্য দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি
নির্ধারিত হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য খুবই
পরিচিত।
Tsifran: এই এন্টিবায়োটিকঃ ব্যাকটেরিয়া কোষ ধ্বংস করে থাকে এবং
তাদের বিস্তারে বাধা দিয়ে থাকে। এন্টিবায়োটিকটি আপনার দাঁতের ব্যথায় খুব দ্রুত
কাজ করে আপনাকে অল্প সময়ের মধ্যে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে
থাকে। এই এন্টিবায়োটিক টি অতি তীব্র আকারের ব্যথায় শুধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Flublast tablet: এই ঔষধ সাধারণত জ্বরের চিকিৎসায় ও ব্যবহৃত হয়ে
থাকে কিন্তু এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় ব্যথা মুক্তির জন্য। এটি ব্যথা, মাথাব্যথা
অর্থথ্রিটিস এবং দাঁতের ব্যথা নিরাময়ের কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Cefuroxime 500mg: এটি এক ধরনের হাই এন্টিবায়োটিক ঔষধ। এটি সাধারণত
আমাদের শরীরে যে সকল ব্যাকটেরিয়া থাকে সেটি কে ধ্বংস করতে এই হাই এন্টিবায়োটিক
ঔষধ টি খুব ভালো কাজ করে থাকে। যাদের দাঁতের ইনফেকশন এর কারণে তীব্র ব্যথা হয়ে
থাকে তাদের জন্য এই ঔষধ খুবই কার্যকরী।
Moxacil 500mg: এটি দাঁতের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকরী এন্টিবায়োটিক
ঔষধ। এটি দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। এই ঔষধ সকালে ও রাত্রে খাওয়ার পর সেবন করতে
হবে। সিনেমা
দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম
আমরা প্রথমে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় খুঁজে থাকি তাতে যদি কোন কাজ না
হয় তাহলে আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকি। এ সকল ঔষধ সাময়িক
সময়ের জন্য আমাদের পোকা দাঁতের ব্যথা ভালো করে থাকে। কিন্তু আবার কিছুদিন পর দাঁতের
ব্যথা হয়। তাই অবশ্যই দাঁতের ব্যথা হলে নিকটস্থ ডেন্টিসের কাছে যেতে হবে।
ডেন্টিসের কাছে পৌঁছাতে যদি দেরি হয়। তাহলে সাময়িক সময়ের জন্য ব্যথা কমাতে
নিচের ওষুধগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি সেবন করতে পারবেন। নিচে বিভিন্ন ধরনের দাঁতের
ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম দেওয়া হল।
Etorix 120 mg: এটি সাধারণত আপনার যদি মনে হয় আপনার দাঁতে হালকা
ব্যথা অনুভূতি হচ্ছে। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা বেড়ে যেতে পারে তাহলে এই ঔষধটি সেবন
করতে পারেন। এটি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হবে সকালে এবং রাতে। এই ওষুধটি খাওয়ার
নিয়ম হচ্ছে তিন দিন অবশ্যই ঔষধটি তিন দিন সেবন করবেন।
Etorix 60mg: এই ঔষধটি দাঁতের ব্যথা কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই ঔষধ বাচ্চাদের দাঁতের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। কারণ এটি
বাচ্চাদের ঔষধ।
Napa extend 665mg: এই ঔষধ সাধারণত জ্বর, সর্দি এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে
থাকে। তাছাড়াও এই ঔষধ, মাথা ব্যথা, দাঁতের ব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার
নিবারণ করে থাকে।
Xpa xr 665mg: এটি প্যারাসিটামল এর একটি ঔষধ। এই ঔষধ জ্বর, সর্দি,
মাথাব্যথা, মাজার ব্যথা সহ আরো অনেক রকমের ব্যথায় কাজ করে থাকে।সেহেতু দাঁতের
ব্যথা নিবারণের জন্য এই ঔষধ টি ব্যবহার করতে পারবেন।
কেউ কেউ আছেন যারা কোনরকম ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ব্যবহার করতে চান না তাদের জন্য
কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর নাম নিচে দেওয়া হল।
- হেপার সালফ
- মারকুরিয়াস
- আর্সেনিক
- ক্যামমিলা
- মার্ক সল
- সিলিসিয়া
দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমরা অনেকেই আছি যারা খুব সহজে ঔষধ সেবন করতে পছন্দ করি না। আমরা সব সময় খুঁজি
ঘরোয়া কোন উপায় যেই উপায়ে ঘরে বসেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের যখন
দাঁতে অসহ্য যন্ত্রণা ওঠে। তখন আমরা হয়তো সাথে সাথেই কোন ঔষধ পায় না।
কিংবা
আমাদের ডাক্তারের কাছে যেতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ডাক্তারের কাছে না যাওয়া
পর্যন্ত আপনারা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই দাঁতের ব্যথা কমিয়ে
আনতে পারবেন। আর দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আলুঃ আমাদের সকলের ঘরেই আলু দেখা যায়। যা আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার
করে থাকি। আর সেই আলুই আপনার দাঁতের ব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে।
আপনার দাঁতের ব্যথা হলে আলু কেটে দাঁতে লাগান। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আলু
ম্যাজিকের মত কাজ করেছে। আগের থেকে ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।
লবঙ্গঃ আমরা কমবেশি লবঙ্গ নাম সবাই শুনেছি বা জানি। আর সেই লবঙ্গ হতে
পারে আপনার দাঁতের ব্যথার নিবারণের একটি উপাদান। যদি দাঁতের ব্যথা খুব তীব্র হয়
তাহলে লবঙ্গ তেল সেই ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার
দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।
পেয়ারা পাতাঃ আমাদের সকলের বাড়ির আশেপাশে একটা দুইটা পেয়ারা গাছ
রয়েছে। আর সেই পেয়ারা পাতা হতে পারে আপনার দাঁতের ব্যথা কমানোর হাতিয়ার।
দাঁতের ব্যথা কমাতে চাইলে মুখের ভেতর একটি পেয়ারা পাতা নিয়ে চিবুতে থাকুন
দেখবেন আগের থেকে দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে।
রসুনঃ রসুন সাধারণত রান্নার স্বাদের জন্য ব্যবহার করে থাকি। আর সেই
রসুন বিভিন্ন রকম ব্যথা কমানোর কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই
যদি দাঁতের ব্যথা খুব তীব্র হয় তাহলে রসুনের একটি কুয়া কেটে ব্যথাকৃত দাঁতে
লাগাতে পারেন। এর ফলাফল আপনি সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন।
বরফঃ বরফ যেকোনো ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে থাকে। তাই দাঁতের ব্যথার
জন্য যদি হাতের কাছে কিছু না থাকে শুধু এক টুকরো বরফ থাকে তাহলেই আপনি আপনার
দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এক টুকরো বরফ কাপড়ের সাথে পেঁচিয়ে দাঁতের
ব্যথার জায়গায় চেপে ধরে থাকুন দেখবেন আপনার দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে।
গর্ভাবস্থায় দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
গর্ভকালীন সময়ে যে কোন মেয়ে তার শরীরের বিশেষভাবে চর্চা নিয়ে থাকে। যাতে তার
শরীরের কোন খারাপ প্রভাব তার বাচ্চার উপর না পড়ে। গর্ভকালীন সময়ে একটি মহিলার
হরমোনের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দেয়।
আর সেই হরমোন পরিবর্তনের ফলে দাঁতের
গোড়া নমনীয় হয়ে যায় এবং যে কারণে অনেক সময় দাঁতের মাড়ি র থেকে রক্তক্ষরণ
দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় সাধারণত কোনরকম ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার
করা যায় না। তাহলে আপনি কি করবেন যদি এটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনার জন্য
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আলোচনা করা করলাম।
আরও পড়ুনঃ মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যায় আমরা ব্যবহার
করে থাকি। এতে নানা ঔষধি গুণগণের কথা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। এই উদ্ভিদটি
গর্ভাবস্থায় দাঁতের ব্যথা ও রক্তক্ষরণ বন্ধের কাজে ব্যবহার করা যেতে
পারে।অ্যালোভেরা রস বা জেল ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই
অ্যালোভেরা জেল আপনার ব্যথাকৃত দাঁতে লাগালে খুব সহজেই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
নিম পাতাঃ আমরা সকলেই জানি নিমপাতা যে কোন সমস্যা সমাধানের একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিম পাতা দাঁতের ভিতরে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে
দাঁতের গোড়া আরো মজবুত করে এবং দাঁতের রক্তক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন
খাবার পর দুইটি থেকে তিনটি নিমপাতা চিবাতে পারেন। বাজারের কেনা মাউথ ওয়াশ এর
থেকে বাসার নিম পাতার মাউথ ওয়াশ দাঁতের জন্য বেশি কার্যকরী।
বেদানার রসঃ বেদানার রস আপনার দাঁতের উপর জন্মানো ব্যাকটেরিয়া বা
প্ল্যাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনার দাঁতের মাড়ি শক্ত করে এবং দাঁতকে ভালো রাখতে
সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় বেদনার রস পান করা অতীব জরুরী।
যেকোনো খাবার খাওয়ার
পর বেদানার রস দিয়ে কুলি করে আপনার মুখের ভেতর পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে ফেলুন। আর
অবশ্যই বেদনার রসের সাথে অন্য কোন কিছু যোগ করবেন না। আস্তে আস্তে খেয়াল করবেন
আপনার দাঁতের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
দাঁত ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম
- Tab:Tory 60
- Tb:Flexi 100mg
- Tab:Cefotil Plus 500mg
- Tb:Teservix100mg
শেষ কথা
দাঁতের ব্যাথা আমাদের সকলের কাছে যেমন বিরক্তি কর ঠিক তেমনি যন্ত্রণাদায়ক। আশা
করছি যে আমার এই পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আপনাদের
সমস্যার সমাধান খুজে পেয়ছেন।
আমাদের একমাত্র মূল লক্ষ্য আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য
তুলে ধরা। তাও মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমাদের যদি কোন ভুল হয়ে থাকে আমাদের
জানাবেন। আমরা তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। এরকম আরো তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের
আর্টিকেল পড়ুন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url