মুখের ব্রণ দূর করার উপায় কয়েক দিনেই মুক্তি পাবেন দাগ থেকেও

 

আপনি কি আপনার মুখের ব্রণের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন? মনে মনে মুখের ব্রণ দূর করার উপায় খুঁজছেন। যদি এমনটা হয় তাহলে আজকের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। মুখের ব্রণ দূর করার উপায় আর্টিকেলে আমি ব্রণের সমস্যা সমাধান ও মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
আজকে আমি এই আর্টিকেলে ব্রণের সমস্যার সমাধান নিয়ে কিছু কথা বলব যা দাঁড়া আপনি খুব সহজেই মুখের ব্রণ দূর করার উপায় খুঁজে পাবেন। সেহেতু আপনার সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য আমার লিখা আর্টিকেলটি পুরো পড়ুন। 

মুখের ব্রণ দূর করার উপায়ঃ ভূমিকা

ব্রণের সমস্যার সমাধান খোঁজার আগে খুঁজতে হবে ব্রণ হওয়ার কারণ। আমাদের ত্বক ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়। কারো রুক্ষ কারো তৈলাক্ত। সাধারণত রুক্ষ ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বেশি বের হয়। তাই ব্রণ এর সমস্যার সমাধান খোঁজার আগে খুঁজে বের করুন আপনার ত্বকের ধরন কোনটি। কারণ ত্বকের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা ফেসওয়াশ ও ঔষধ ব্যবহার করতে হয়।

লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণে লেবুর রস ব্যাবহার করার আগে আমাদের জানতে হবে যে লেবুর রস আসলেই কি আমাদের ত্বকের জন্যে ভালো।লেবু আমাদের ত্বকে ব্লিচের মত কাজ করে যা আমাদের ত্বককে আগের থেকেও ফর্সা ও দাগহীন করবে।এক টুকরো লেবুর রস আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারবে। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় আলোচনা করলাম।

২চামচ লেবুর রস এর সাথে ২ চামচ কলার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।তারপর মিশ্রণটি ভালোভাবে পুরো ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।ত্বকে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।ব্রণের দাগ দূর করতে এই প্যাকটি খুব ভালো কাজ করে।

অল্প পরিমাণ লেবুর রস নিন।সেই লেবুর রস এর সাথে সামান্য পরিমাণ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে যে সকল জায়গায় ব্রণ আছে সে সকল জায়গায় মিশ্রণটি লাগায় শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলি।

১চামচ লেবুর রস নিতে হবে এবার তার সাথে ১টি ভিটামিন অয়েল ক্যাপসুল দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।ঘুমানোর আগে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রেখে সকাল এ ঘুম থেকে উঠে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ হওয়ার মূল কারণ মুখে অতিরিক্ত তেল জমে থাকা। তাই সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকে ব্রণ বেশি দেখা যায়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণের সমস্যা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আমরা বিভিন্ন রকম প্যাক ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি। তৈলাক্ত ত্বক কম করে হলেও দিনে দুই বার ধোয়া উচিত। কারণ যতটা সম্ভব মুখে কম তেল জমা হতে দিতে হবে। নিচের অংশ পড়ে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন

মধু এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সেই রকম আমাদের ত্বকের ব্রণ এর সমস্যা দূর করতে ও মধু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। সেহেতু তৈলাক্ত ত্বকে মধু সরাসরি লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শসা আমরা কম বেশি সবাই চিনি। যা আমরা একটি সবজি হিসাবে ব্যবহার করে থাকি।কিন্তু শসা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শসা আমাদের ত্বকে টোনারের ও কাজ করে থাকে ও ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে। সেহেতু শসার প্যাক তৈরি করতে ২ টেবিল চামচ শসার পেস্ট নিই তার সাথে ১চা চামচ গোলাপ জল ও কয়েক ফোটা লেবুর রস এক সাথে মিশায়। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

আপনি কি বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে চান তাহলে শুনুন। বরফ এমন একটি পদার্থ যা আমাদের মুখের ফোলা ভাব, চোখের নিচের কালো ভাব,ব্রণ এর সমস্যা দূর করতে সাহায্যে করে। কিন্তু বরফ সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করতে হবে। কারণ বরফ সঠিক ভাবে প্রয়োগ না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরফ আপনার ত্বককে ড্যামেজ করে দিতে পারে। বরফ সবার ত্বকের ব্রণ এর জন্যে সমান ভাবে কাজ করতেও না পারে।
কিন্তু যদি করে তো সঠিক নিয়মে ব্যাবহার করতে হবে। আর বরফ প্রয়োগ এর সঠিক নিয়ম হচ্ছে একটা পাতলা সুতির কাপড় এ কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে তা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে যে সকল জায়গায় ব্রণ রয়েছে সে সকল জায়গায় আলতো ভাবে চাপ দিতে হবে।চাপ দেওয়ার পর ১ মিনিট ধরে রাখতে হবে।

মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম

মেয়েদের ব্রণ এর সমস্যা প্রায় অনেক সময় দেখা যায়। আর সেই ব্রণ এর সমস্যা নিবারণের জন্যে কত রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। কত রকমের ক্রিম ব্যাবহার করে থাকি।কিন্তু যে কোন ক্রিম ব্যাবহার করলেই হবে না। নিজের ত্বক অনুযায়ী বাছাই করে সঠিক ক্রিম ব্যাবহার করতে হবে। আপনাদের জানার সু্বিদার্থে মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিমঃ যে কোন তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের সমস্যা বেশি দেখা যায়।আর এই সমস্যার সমাধান নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম। এটি একটি ইউরোপিয়ান ক্রিম যা ডার্মাটোলজিস্ট দ্বারা স্বীকৃত। এই ক্রিম এ আছে স্যালিসাইলিক এসিড,প্যানথেনল,স্কুয়ালেন।যা ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করবে।

ম্যানকাইন্ড অ্যাকনেস্টার রিমুভাল জেলঃ এটি এক ধরনের জেল। যাতে রয়েছে ক্লিন্ড্যামাইকিন নিকোটিনামিড। যা আমাদের ক্ষত দূর করে ও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি ব্রণকে শুকিয়ে পুরোপুরি নিরাময় করতে পারে। এই ক্রিম ব্যাবহারের ফলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ব্রণ এর সমস্যা দূর হবে। এই ক্রিম রাতে ঘুমানোর আগে ব্যাবহার করতে হবে এবং সকালে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ছেলে মেয়ে উভয় ব্যাবহার করতে পারবে।

ফ্রেশ লুক ক্রিমঃ এই ক্রিম ব্যাবহার করা খুব নিরাপদ ও কার্যকরী। এই ক্রিম ব্যাবহারের ফলে ব্রণের দাগ,মেসতা ভালো হয়। এটি এসেনশিয়াল অয়েল সমৃদ্ধ একটি ক্রিম। এটি আপনার ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।

গ্লোপিংক ডার্ক স্পট কারেকটর ক্রিমঃ এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ক্রিম।এটি সাধারণত কালো দাগ,ব্র,গুটি গুটি ছিদ্র,পিগমেন্টেশন এর কারণে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। এটি Glowpink ব্রান্ডের একটি ক্রিম। আর এই ব্রান্ড সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এদের প্রডাক্ট তৈরি করে।

 মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ আমাদের মুখের একটি অনেক বড় সমস্যা। কারো কারো ব্রণ ভালো হয় কিছুদিন পর আবার হয়।আর কারো কারো ব্রণ সহজে ভালো হতেই চায় না। ব্রণ আমাদের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। আর সেই ব্রণ এর সমস্যা থেকে কিভাবে  মুক্তি পাবেন তা জেনে নিন।

সরিষা আমাদের ত্বকের যে কোন সমস্যার জন্য দারুণ ভাবে করে। এক টেবিল চামচ এর এক চতুর্থাংশ সরিষা গুড়া এর সাথে মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করি। এই প্যাকটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখি। তারপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেই।

রসুনকে আমরা সাধারণত ব্রণের দুশমন হিসাবে জেনে থাকি। এটি ব্যবহার করা ও আমাদের জন্য খুব সহজ। রসুন এর দানা টুকরো করে কেটে সরাসরি ব্রণ এর উপর এর রস ব্যবহার করতে পারি। এটি ব্রণ এর উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি শুকানোর পরে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেল। রাতে ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করলে সকালে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
অ্যলোভেরা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকি। তেমনি ব্রণের ক্ষেত্রেও অ্যালোভেরার গুরুত্ব অনেক। অ্যালোভেরা গাছ থেকে যে সকল নির্যাস বের হয় তা সরাসরি ব্রণে লাগাতে পারেন। এটি আমাদের ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

মুখের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াস

এখন ব্রণ দূর করার জন্য অনেক রকমের ফেসওয়াশ মার্কেটে পাওয়া যায়। সেই সকল ফেসওয়াশ ব্যবহার এর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার ত্বকের ধরন বাছাই করে ব্যবহার করতে হবে। কারণ সবার ত্বকের ধরন একই রকম না। তাই ফেসওয়াশ ব্যবহারের পূর্বে নিজের ত্বকের ধরন বাছাই করুন এবং ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। বাজারে ব্রণের জন্য অনেক রকমের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই বাজারে মুখের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াশ গুলো কি কি।

সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফাইং ফেসিয়াল ওয়াশঃ এটি একটি এমন ধরনের ফেসওয়াশ যা আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে আপনার পরিষ্কার করে। এই ফেসওয়াশ এ রয়েছে উইচ হ্যাজেল, জিংক আর থাইমের গুণ যা আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যার সমাধান করবে। এটি ব্যবহারের নিয়ম সমস্ত মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর হাতের আঙ্গুলে সাহায্যে ফেসওয়াশটি পুরো মুখে আলতোভাবে মেসেজ করুন এভাবে 10 থেকে 15 মিনিট মেসেজ করুন।

রাজকন্যা একনি ফাইটিং ফেসিয়াল ওয়াশঃ এই ফেসওয়াশ টি সব ধরনের ত্বকের ব্রণের সমস্যার সমাধান করে থাকে। এই ফেসওয়াস টি বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যেমন থানকুনি পাতা, গ্রিন টি, জোজোবা বীজ। এই সকল প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের ত্বকের ব্রণের সমস্যার সমাধান করে থাকে।

মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধ

মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধ এর নাম আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো। আশা করছি এই সকল ঔষধ ব্যবহারের ফলে আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা দূর হবে।

Clindax Lotion: এই লোশন ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। এই লোশন ব্যবহারের ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ফলাফল পাবেন। কিন্তু এই লোশন ব্যবহারের পাশাপাশি একটি ক্যাপসুল ঔষধ ও খেতে হয়। ক্যাপসুল ঔষধ এর নাম হল Doxin 100mg capsule. এই লোশনটির ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে আপনার মুখমন্ডল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপনার মুখটি যখন পুরোপুরি ভাবে শুকিয়ে যাবে তারপর এই লোশন টি ব্যবহার করতে হবে।

Doxin 100mg Capsule: Clindax Lotion ব্যবহারের পাশাপাশি এই ক্যাপসুল টি খেতে হবে। এটি খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন সকাল ও রাতে খাবার পর একটি করে ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। এভাবে লোশন টি ব্যবহার ও ক্যাপসুলটি নিয়ম মেনে খেতে পারলে তিন থেকে চার সপ্তাহর মধ্যে আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

Adgar Gel: এটি এক ধরনের জেল। এই জেলটি ব্রণের সমস্যার সমাধান করে থাকে। এই জেলটি শুধু ত্বকে ব্যবহার যোগ্য।

Acnegel: এটিও একটি শুধু বাইরে ত্বকে ব্যবহার যোগ্য জেল। এই জেলটি ব্রণের ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য ব্যবহারযোগ্য। এই জেলটি ১২ বছরের নিচে ব্যবহার করা যাবে না। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে এই জেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই আপনারা নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে ক্রয় করতে পারবেন।

ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

আমরা আমাদের যে কোন সমস্যা প্রাকৃতিক ভাবে সমাধান করতে বেশি পছন্দ করি। আর তা যদি হয় ঘরোয়া তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাই এখন আপনাদের সামনে ব্রণের সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায় আলোচনা ক। যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরে বসেই ব্রণের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। নিম্নে আপনাদের সামনে ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।

মুলতানি মাটিঃ মাটি মানে প্রকৃতি। মাটি বলতেই আমরা বুঝি প্রাকৃতিক উপাদান। আর তা যদি মুলতানি মাটি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। মুলতানি মাটি আমাদের ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান করে থাকে। আমাদের ব্রণের সমস্যার মূল কারণ তৈলাক্ত ত্বক। ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে আমরা মুলতানি মাটির পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে পারি। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে মুলতানি মাটি খুব ভালো কাজ করে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশ ও আমাদের ব্রণের সমস্যার সমাধানের একটি প্রাকৃতিক উপায়। রাতে ঘুমানোর আগেই ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে খুব আলতো ভাবে ম্যাসেজ করতে হবে। তারপর এটি সারারাত রাখতে পারেন। আরো ভালো কাজ হবে যদি আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস যোগ কর। এটি আপনি ইচ্ছা করলে সারারাত রাখতে পারবেন তা ছাড়াও আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়োঃ কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা হলুদ শুধুমাত্র ব্রণ এর সমস্যা নয় আরো অনেক সমস্যার সমাধান করে০০ থাকে। চন্দন কাঠেরগুঁড়ো ও আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সম পরিমাণ কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো একটি পাত্রে নিয়ে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটি ব্রণ এর আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

টুথপেস্টঃ আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন কিন্তু ব্রণের সমস্যার সমাধান টুথপেস্ট দাঁড়াও হয়ে থাকে। আমাদের ত্বকে যেই অতিরিক্ত তেল থাকে তা টেনে নেওয়ার ক্ষমতা আছে এই টুথপেস্টের। তাই ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব দূর করার জন্য আপনি টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে টুথপেস্ট সবার ত্বকের জন্য উপকারী নয়। তাই প্রথমে অল্প পরিমাণ টুথপেস্ট আপনার ব্রণের উপর প্রয়োগ করতে পার। যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে টুথপেস্ট এর পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন।

শেষ কথা

আমি আমার আর্টিকেলে ব্রণের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। বিভিন্ন রকম ফেসওয়াশ ও ঔষধ এবং ঘরোয়া উপায় তুলে ধরেছি। আশা করছি আমার লেখা মুখের ব্রণ দূর করার উপায় আর্টিকেল পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। আশা করছি ভবিষ্যতে আপনাদের রূপচর্চা বিষয়ক আরো অনেক তথ্য প্রদান করব। যা দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url